মৌলভীবাজার মডেল থানা সূত্র জানা গেছে, জেলার প্রভাবশালী বহু আওয়ামী লীগ নেতার নামও এই তালিকায় রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলার পর্যায়ের এক সময়ের ক্ষমতাধর নেতাদের নামও এখানে উঠে এসেছে।
নিহতের নাম মোস্তাক মিয়া (৩০)। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকেরবাজার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মমিন উদ্দিন চৌধুরী।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থানে নেন। এ সময় পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতাকর্ম
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার জেরে সংসদ সদস্যের বাসায় ইট নিক্ষেপ এবং আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি হয়। হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় ৩৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি। এছাড়া কয়েকটি কলেজে পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রথম বন্যা শুরু হয় গত ২৯ মে। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। বন্যার দ্বিতীয় ধাক্কা আসে গত ১৬ জুন। সেদিন আবার পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে। পরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা দেখা
ইউএনও কাজী শামীম বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তানসম্ভবা এক নারীও ছিলেন। আশ্রয়কেন্দ্রেই ওই প্রসূতি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এটা আমাদের জন্য আবেগের বিষয় হয়ে ওঠে।’
দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শিশুসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে। তবে নিখোঁজ ছিলেন ৩ জন। তাদের মধ্যে জোছনা বেগমের লাশ রাতে উদ্ধার করা গেলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। এরা হলেন, নিহত জোছনা বেগমের সন্তান এক বছর বয়সী শিশু ময়না ও গুলো বিবি (৭০)।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারে মোট ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার কারণে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে মৌলভীবাজার সদরে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনগর উপজেলায় দুটি, বড়লেখা উপজেলায় ১৫টি, জুড়ী উপজেলায় সাতটি এবং কুলাউড়ায় দশটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৮১ সে.মি.,যা ২৪ ঘন্টা আগে ছিলো ১১৭ সে.মিটারের উপরে, একই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদ সীমায় ০১ সে. মি. উপর দিয়ে চলছে, যা আগের দিন বিপদ
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে আজ সকালে বৃষ্টি কম হয়েছে। সুনামগঞ্জ এবং এর উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মূলত পানি বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
সিলেটে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ। ফলে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের প্লাবিত হয়েছে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট এলাকার নিম্নাঞ্চল।
নিহতরা হলেন-নরসিংদী সদরের কামারগাঁওয়ের মো. দেলোয়ারের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৫) ও ছেলে আব্দুল্লাহ (৭)। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। আহত অবস্থায় দেলোয়ারকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অটোচালককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দেশে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার (২৮ জুন)পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আঙ্গুরা বেগমকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায় তার সন্তান ফজল মিয়া। ওই দিনই আঙ্গুরা বেগমের ভাই বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের আব্দুর
সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়, পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে জেলার ১৩ উপজেলা, সিলেট সিটি করপোরেশন ও চারটি পৌরসভায় বানের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়। এতে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৫ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিতে তলিয়ে যায় গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, বিশ^নাথসহ বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামীণ সড়ক।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর চৌধুরী সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।এসময় বন্যাদুর্গতদের মাঝে তিনি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন।