শিক্ষকরা সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একই সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও জলকামানের পানি ছিটিয়ে শিক্ষকদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা পিছিয়ে গিয়ে আবার প্রেস ক্লাবের দিকে চলে যান।
খাবারের মান উন্নয়নসহ পরিস্থিতির পরিবর্তন করার জন্য ম্যানেজারকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন ভিপি আজিজুল হক। না হলে ১৫ দিন পর ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখার কথা বলেছেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) ১৩ ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন।
পদ ফাঁকা থাকার বিষয়ে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. সেতাউর রহমান বলেন, যে পদগুলো ফাঁকা আছে, সেগুলো ছাড়াই হল সংসদ চলবে। অন্য কোনোভাবে সেগুলো পূরণ করার উপায় নেই।
বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধির নাম সিনেট সদস্য হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। তারা হলেন—ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান, সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্না এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।
এছাড়া নাট্য সম্পাদক পদে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের রুহুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহমুদুল হাসান কিরণ, সহক্রীড়া (ছাত্র) পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মাহাদী হাসান, সহক্রীড়া (ছাত্রী) পদে ফারহানা লুবনা। আইটি ও গ্রন্থাগার পদে ফার্মেসি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের রাশেদুল ইমন লিখন, সহসমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়
নির্বাচনে জাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। বাকি চারটির মধ্যে দুটি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও দুটি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত।
আর ভিপিসহ মোট চারটি পদে বিজয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র ও অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র), সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস) এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহম
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে শীর্ষ ৪টি পদের মধ্যে ৩টিসহ মোট ২৫টি মধ্যে ২১ টি পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনিরুজ্জামান, সদস্য সচিব এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য লুৎফুল এলাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি, যা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
জাকসু নির্বাচনকে নিয়ে গত তিনদিন নানা নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়। ওই দিন সকাল থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে নির্বাচন নিয়ে। বিকেলে নির্বাচন বয়কট করেছেন ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড না থাকা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে একজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিএনপিপন্থি চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন চলছে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা।
ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্যে ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
অনশনকারীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে এবং তাদের দেখতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেন। পরে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর)
সংবাদ সম্মেলনে এ শিক্ষক বলেন, আমার সহকর্মীর (চারুকলার শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস) মৃত্যুর জন্য প্রশাসন দায়ী। যদি মেশিনে ভোট গণনা হতো হয়তো আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারাতাম না। গত তিনদিন ধরে আমরা অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের কি পরিবার নেই? শারীরিক মানসিক ক্লান্তি নেই?
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অংশীজনদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নির্বাচন আয়োজন করে। একে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতি ও এর মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখি।