গুজরাট রাজ্য পুলিশ বলছে, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ও নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আটক এসব ব্যক্তির ‘উদ্বেগজনক সংযোগ’ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বাস্তবতা হলো, প্রাচীন ভারতের জনসংখ্যা এবং যুদ্ধের সামর্থ্য বিবেচনা করলে এত বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করা সম্ভব ছিল না।
রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারতের গুজরাটে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগকেই আহমেদাবাদ থেকে আটক করা হয়। শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশ দুটির মধ্যে সবসময়ই উত্তেজনা ছিল এবং তারা কোনো না কোনোভাবে নিজেদের মধ্যে এর সমাধান করবে।
মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় একটি বাড়ির ওপর ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি প্লেন থেকে ধাতব বস্তু পড়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। আইএএফ-এর প্লেন থেকে ধাতব বস্তু পড়ায় বাড়িটির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নতুন গুলি বিনিময় নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালেও যুদ্ধ এড়ানোর একাধিক নজির রয়েছে, যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এবারও। তবে দুদেশের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
জম্মু-কাশ্মিরে প্রাণঘাতী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এ প্রস্তাব দিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার জন্য কূটনৈতিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের সংসদ সদস্যরা বলছেন, তারা ২২ এপ্রিলের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানকে যুক্ত করার যেকোনো ধরনের ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন দাবি’ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছেন।
ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল বলেন, সরকার স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে, যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান ছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। তাঁর পরিকল্পনাই ছিল এই অনুপ্রবেশ। তারা ধারণা করেছিল, ভারত প্রথমে বুঝতেই পারবে না যে কারা পাহাড় দখল করেছে।
সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কাশ্মিরের শ্রীনগরে গেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি নানা পদক্ষেপ নিয়েও তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’ থাকতে বলা হয়েছে।
এই হামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রাই তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা সংস্থা আর নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের তৎপরতা নিয়েও। বলছেন, হামলার সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় ছিল!
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, পহেলগাম হামলার চক্রান্তে তারা জড়িত ছিল এবং তারাই পথ দেখিয়ে লস্কর সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছিল।