একইভাবে প্রেস টিমের প্রধান ড. সালেহ শিবলী, টিভি ও রেডিও টিমের প্রধান ড. মওদুদ হোসাইন আলমগীর পাভেল, বিএনপি গ্রাসরুটস নেটওয়ার্ক টিমের প্রধান ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক টিমের প্রধান এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, কনটেন্ট জেনারেশন টিমের প্রধান ড. সাইমুম পারভেজ এবং রিসার্চ ও মনিটরিং টি
জামায়াত আমির বলেন, আমরা আমাদের মেনিফেস্টোতে সেগুলো ঘোষণা করব। তবে এখনই মেনিফেস্টো প্রকাশ করছি না। আমরা ইলেকশন ঘোষণার আগে মেনিফেস্টোর কিছু প্রকাশ করব না। মিথ্যা কোনো আশ্বাস জাতিকে দেব না। আমাদের মেনিফেস্টোর সঙ্গে একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনাও থাকবে।
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি এবং ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই; এই দূরত্ব পতিত সরকারকে সুযোগ তৈরি করে দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জামায়াত ইসলামি দল নাকি- আমি জানি না। ইসলামিক দল-অ ইসলামিক দল ক্যাটাগরি করা হয় তার পক্ষে আমি না।
তৎকালীন সরকারের কাছ থেকেও জামায়াত সুবিধা পেয়েছিল অভিযোগ করে আলাল বলেন, জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতা একসময় জাসদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, গলাকাটা পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে শিবিরের অনেক সদস্য ছাত্রলীগের ভেতর থেকে বের হয়েছে, আর এখন তারা বলছে- তারা প্রকাশ্যেই ছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি ‘জুলাই সনদ’কে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছে। তবে যেসব বিষয়ে আগে আলোচনা হয়নি, সেগুলো যেন চূড়ান্ত খসড়ায় না আসে। আমাদের প্রয়োজন সনদ নয়, প্রয়োজন একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ, যেখান থেকে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইসলামবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষী ও মুসলিমবিদ্বেষী। বাংলাদেশের মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের সেই নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত সৎ রাজনীতি করা—যে রাজনীতি মানুষের পাশে দাঁড়ায়, ইসলামের পক্ষে কথা বলে।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হয়ে যাওয়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ছাত্রদল ও শিবির নানা বাস্তবতায় এতদিন ক্যাম্পাসে যেতে পারতো না, প্রকাশ্যে পরিচয়ও দিতো না। শিবির তো একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। তবুও সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জয়জয়কার,
জামায়াতে ইসলামী উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধকে এখন নিচে নামিয়ে দিতে চায়। তারা শুধু চব্বিশের জুলাইয়ের আন্দোলন বড় করে দেখাতে চায়। নিজেদের অতীতকে স্মরণ করুন। ১৯৭১ সালে আপনাদের কী ভূমিকা ছিল- সেটা আপনারা মনে রাখবেন।’
রিজভী আরও বলেন, “বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার ও অবিচার থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছে। জুলাই-আগস্টে এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়তো কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, কিন্তু এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয়।”
বিএনপি অর্জুন গাছের ছাল, যখন যার প্রয়োজন কেটে নিয়ে যায় উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘জামায়াত এখন বেশভূষা পাল্টাতে শুরু করেছে। তারা হিন্দুদের নিয়ে সমাবেশ করে বিএনপির বদনাম করছে।
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চাওয়া হয়েছে।
ঘোষণা করা দুই কমিটির একটিতেও জায়গা হয়নি আবদুল কাদেরের, যিনি বাগছাসের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। কাদের ডাকসু নির্বাচনে বাগছাসের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীও ছিলেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত অনেক নেতাই দলে ফিরতে আবেদন করেছেন। ধীরে ধীরে এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে এবং তৃণমূলে কর্মীদের পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নেতাদের ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বহিষ্কৃত এসব নেতাদের বড় অংশকেই আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের রীতিনীতি কারও আবেগ, অনুভূতি বা আবদার অনুযায়ী পরিবর্তন হয় না। কোনো একটি দল স্বাক্ষর করেনি বলে অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। এমন চেষ্টা হলে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনের জটিলতা শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, জোটের সঙ্গেও আছে। যেসব আসনে কোন্দলের আশঙ্কা প্রবল এবং একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী আছে, সেসব আসনে এখনই প্রার্থী চূড়ান্ত করছে না বিএনপি। এছাড়া জোটের শরীকদেরও আসন দিতে হবে। সবমিলিয়ে এরকম আসন রয়েছে একশোটি।