বিক্ষোভ মিছিলে ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘আলী হুসেনের ছাত্রত্ব, বাতিল করো করতে হবে’, ‘নিপীড়কের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’সহ নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও হল শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় এনসিপির প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান বিএনপির নেতারা। দুই দলের নেতারা বেশ কিছু সময় ধরে দেশের সমসাময়িক পরস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেন।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ বলেন, গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে বৈঠক শেষ করে বের হয়ে খন্দকার লুৎফর রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা রয়েছে। কিন্তু এই আন্তরিকতা যথেষ্ট নয়। ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হওয়ার পরও নির্বাচন নিয়ে যে আশঙ্কা রয়েছে, তা একাত্তর ও ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তি দেশে বিদেশে বসেই ষড়যন্ত্র করছে।
শহীদ জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেলিমা রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশে এক স্বৈরশাসক দীর্ঘদিন পাথরের মতো বসে থেকে জনগণকে শোষণ ও নিপীড়ন করেছে। এ অবৈধ স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করতে বিএনপি দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন করেছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত ৫ আগস্ট স্বেরাচার পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখনো কিছু কিছু দল কর্তৃত্ববাদীর ভয় দেখায়, নিজেদের নিরঙ্কুশ ভাবে। কিন্তু মনে রাখবেন- নিরঙ্কুশ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আর এই দেশের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জনগণের হাতে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
হাইকোর্টের আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) স্থগিতের ঘোষণায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। তাৎক্ষণিকভাবে ডাকসুর প্রার্থী ও ঢাবি শিক্ষার্থীরা বিক্ষভ মিছিল করছেন। যেকোনো মূল্যে ডাকসু আয়োজনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে বিএনপি। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আমূল একটি পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে নিঃসন্দেহ আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্ব
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছেন, সেই সময়েই নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।
তারেক রহমান বলেন, এক বছর আগে বলেছিলাম, আগামী নির্বাচন ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সাম্প্রতিক সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় তারা আশ্বস্ত হয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ‘সঠিক সময়েই’ নির্বাচন হবে।
জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি এ ধরনের দাবিতে মোটেও ভীত নয়। বরং কোনো আঘাত এলে জবাব দিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান তিনি। প্রয়োজনে সবাই ঢাকা এসে জাপাকে নিষিদ্ধের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।