জাকসুর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর নাগাদ হয়তো জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ফল পাওয়া যেতে পারে।
পোলিং এজেন্টরা অভিযোগে বলেন, নির্বাচনের কালি হিসেবে ভোটারদের আঙুলে যে কালি ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই অমোচনীয় ছিল না। এ কালি সামান্য ঘষাতেই উঠে যাচ্ছিল। এমনকি নির্বাচনের দিন জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদ প্রার্থীর মতো অসংখ্য মানুষ অবৈধভাবে ভুয়া প্রেস-পাস ব্যবহারসহ নানা উপায়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান
এ দিন সকাল ৯টায় শুরু হয় জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু কিছু হলে আরও ঘণ্টা দুয়েক ভোট গ্রহণ অব্যাহত ছিল। সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাজী নজরুল ইসলাম হলে শেষ হয় ভোট গ্রহণ।
ব্যাপক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাসহ ভোট কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ এবং পাঁচটি প্যানেল ছাড়াও তিনজন শিক্ষকের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। তবে ভোট বর্জন করা প্যানেলগুলো এই নির্বাচন বাতিলের দাবি করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ও ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ প্যানেল।
জামায়াত আমির ফেসবুকে লেখেন, ‘মহান আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা। সত্যের ওপর অটল থাকা এবং প্রিয় জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনের ওপর আস্থাই আমাদের শক্তি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর একটি অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়ে জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। তিনি এতে কারচুপির আশঙ্কাও করছেন।
নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে পরবর্তী সময়ে সংশোধনী সংবিধান আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ডাকসুতে কখনোই জিততে না পারা ছাত্রশিবিরের এমন অবিস্মরণীয় জয়ের পাশাপাশি ছাত্রদলসহ বাকি সংগঠনগুলোর এমন ভরাডুবি বিস্ময় ছড়িয়েছে সারা দেশে। এই জয়কে ছাত্রদলসহ অন্য দলগুলোর পুরনো ধাঁচের রাজনৈতিক চর্চার বিপরীতে শিবিরের সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক চর্চার ফসল হিসেবে অভিহিত করছেন বিশ্লেষকরা।
শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, তোমাদেরকে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হয়ে বাবা-মার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে হতাশা আসবে। সেই হতাশা পরিবার, সমাজ, দেশের উপর প্রভাব পড়বে। অভিভাবকদেরকে উচিত তাদের সন্তানের প্রতি সুদৃষ্টি রাখা। সন্তানেরা লেখাপড়ায় মনোযোগী আছে কি না সেদিকে খেয়
সেলিমা রহমান বলেন, আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে মিলে আরেকটি রাজনৈতিক দল কীভাবে খেলা খেললো। এগুলো আপনাদের বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং এখন থেকে কাজ করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীকে মোনাফেকের দল উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস দাবি করেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কালকের ইলেকশনে কিন্তু দুইটা কাজই হয়েছে। ২০০৮ সালের মত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন এরা কত বড় মোনা
জামায়াত-শিবির মুনাফেক দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াত নেতাদের যখন আওয়ামী লীগ ফাঁসি দিয়েছিল, তখন বিএনপি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সুরক্ষা দিয়েছিল। আজকে জামায়াত তা বেমালুম ভুলে গেছে। যারা ফাঁসি দিয়েছিল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ৫ আগস্টের পর জামায়াতের আমির বলেছিল- আমরা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিলাম, ভারতকে মাফ