আওয়ামী লীগ দেশে বিভাজনের রাজনীতি করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে অনেক বিভাজন-ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু মানুষ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার চিত্র দেখতে চায় না, ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করাই মূল কথা।
বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশে থাকে প্রতীক। মানুষ প্রতীক দেখে ভোট দেয়। যে কারণে প্রতীক যদি পরিচিত হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে সেই প্রতীক বা দলের জনপ্রিয়তাও থাকে আলাদা"।
জামায়াতে ইসলামী মানে ইসলাম ধর্ম না উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন,ব্যক্তির নামের শেষে যে ইসলাম থাকে তারা মূলত সেই ইসলাম। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় চালক দলের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাইযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে উজ্জীবিত হবে তরুণ প্রজন্ম, তাই তাদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের তাৎপর্য প্রতি মুহূর্তে স্মরণ রাখতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু যেদিকে তাকাই, শুধু অনৈক্যের সুর। রাজনীতিকদের মধ্যে এই যে অনৈক্য, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার ও সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মিরপুর, আজিমপুর, ভাটারা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এহসানুল জুবায়ের বলেন, তিনি (নাহিদ) তার বক্তব্যের মাধ্যমে কী বুঝাতে চাচ্ছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তার কাছে এ ধরনের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না।
সরকারের কাছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ জোর দাবি জানাচ্ছে, সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকেই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
পোস্টে নাহিদ লিখেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারপ্রক্রিয়া এবং জাতীয় সংলাপকে গণ–অভ্যুত্থানের আলোকে সংবিধান ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রকৃত প্রশ্ন থেকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এটা (পিআর আন্দোলন) তোলা হয়েছে।
জুলাই সনদের প্রস্তাবে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে বলা হলেও এর মধ্যে কেবল ১৭টি প্রস্তাবে পূর্ণ ঐকমত্য এসেছে। বাকি ৬৭টি প্রস্তাবেই কোনো না কোনো দলের দ্বিমত বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— জাতীয় ঐক্যের এই দলিল কতটা ঐক্য আনতে সক্ষম হলো দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে?
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করাসহ ৫ দফা দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল।
জামায়াতে ইসলামী কখনোই সংস্কার আলোচনায় অংশ নেয়নি—না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কোনো গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি, এমনকি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিও কোনো অঙ্গীকার দেখায়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে, সুস্থ থাকেলে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
এনসিপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান ইসি নুরুল হুদা কমিশনের মতো পথেই হাঁটছে। আমরা চাই না এই কমিশনেরও সেই পরিণতি হোক। তাদের আচরণে কোনো স্বচ্ছতা নেই, আর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করারও কোনো সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছে, তারা তাদের নিয়োগদাতাদের স্বার্থই রক্ষা করছে। অদৃশ্য শক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করতে হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি মনে করি না আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তবে এনসিপি হয়তো আংশিকভাবে বক্তব্য কেটেছে। কারণ আমি স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, ওখানে কোনো প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা এই সংঘর্ষে জড়িত নয়।’