তিনি বলেন, চট্টগ্রামমুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে গ্রাম বাংলা নামের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে বাসের চালক ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন আহত হযেছে্ন বলে খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।
যৌথবাহিনী অভিযানে এই পর্যন্ত ১৯ জন নারী ও ৩৫ জন পুরুষসহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হলে মঙ্গলবার এলিজাবেথ বম নামের এক নারী অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারণে তাকে পর্যবেক্ষনে রাখার পাশাপাশি মঙ্গলবার ৫২ জনকেই কারাগারে পাঠানো হয়, অন্য ২ জনকে গত সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়।
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় দফায় দফায় ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় ৮টি মামলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেক
থানচি ও রুমা উপজেলা থেকে সবচেয়ে বেশি আটক করা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা কেএনএফ সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তরুণী কিছুটা বাকপ্রতিবন্ধী। একই এলাকার ফরহাদ (২২) তাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয়। যার জেরে গত বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে ফরহাদ কৌশলে ওই তরুণীকে নির্মাণাধীন পাকা ভবনের সিঁড়ির কক্ষে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। হুমকি দেওয়ার কারণ
এ সময় ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার দে, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম, ৪২ বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার প্রশান্ত কুমার, ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খাইরুল আলম, আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শাহ আলম প্রম
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রোববার গভীর রাতে রুমা থেকে কেএনএফের তিন সদস্যকে ও থানচি থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এ ছাড়াও ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়িসহ ড্রাইভারকেও আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের মামলায় আসামি জালাল আহম্মদের যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। এরপর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। রোববার আনোয়ারা থেকে কুতুবদিয়া পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে, এরই মধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মেইল ট্রেনটি শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় একটি বালুভর্তি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাকটি রেললাইন থেকে সটকে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দুজনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল
জেলা প্রশাসন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় এসব ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রুমা থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব। কিন্তু এ ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে আবারও থানচি বাজার ও থানায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। ওইদিন মধ্যরাতে বান্দরবানের আলীকদম ২৬ মাইল এলাকায় নিরাপত
খন্দকার আল মঈন বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসুরীদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোনালী ব্যাংক বান্দরবানের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে রুমা থেকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার ২৬ মাইলের ডিম পাহাড় এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি করার জন্য একটি গাড়িকে থামার সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি না থেমে চেকপোস্টের দিকে ছুটে আসছিল, তখন দায়িত্বরত পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় গাড়ি থেকেও পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু সময় গোলাগুল
কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ বিষয়টির ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি তারা। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, অপরহণসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে গেছে।