রাঙ্গামাটির ২০ স্থানে পাহাড়ধস, যান চলাচল বন্ধ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৯

কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবার ও ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, ঘাগড়া-বড়াইছড়ি-বান্দরবান এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সহ তিন সড়কে পাহাড় ধস হয়েছে। এতে সড়কের ২১টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেঙ্গেলছড়ি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীরা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর, রূপকারি ইউনিয়ন, বঙ্গলতলী ইউনিয়ন, সাজেক ইউনিয়ন, মারিশ্যা ইউনিয়ন, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন, খেদারমারা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ পৌরসভার পুরাতন মারিশ্যা, মাস্টার পাড়া, ঢেবার পাড়া, মধ্যমপাড়া, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, কলেজ পাড়া, মুসলিম ব্লক, মাদরাসা পাড়া, হাজি পাড়া, বাবু পাড়া, এফ ব্লক, কাচালং বাজার, বটতলী, লাইল্যা ঘোনাসহ ২০টিরও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

বাঘাইছড়ির বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার সাজেক ইউনিয়ন, রূপকারী ইউনিয়ন ও বাঘিাইছড়ি পৌর এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সাজেক ইউপি সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবত্তী বলেন, সাজেক ইউনিয়নে ২০০ পরিবার পানি বন্দি। পানি বন্দিদের জন্য ৪ মেট্রিক টন খাদশ্যস্য বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের খিচুড়ি বিতরণ করা হবে।

এদিকে, রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, ঘাগড়া-বড়ইছড়ি-বান্দরবান এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সহ তিন সড়কে পাহাড় ধস হয়েছে। এতে সড়কের ২১টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেঙ্গেলছড়ি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, রাঙামাটি -চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে সড়কের উপর পড়লে এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল পরে আবার তা সচল করা হয়। সবুজচাকমা বলেন, সড়ক থেকে পাহাড় ধসের মাটি সরাতে সড়ক বিভাগের লোকজন সবকটি স্পটে নিয়োজিত আছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ইতোমধ্যে ২২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪৫০ জন বন্যাদূর্গত পরিবারের ১ হাজার ৫’শ মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বন্যাদুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কে যানচলাচল বন্ধ সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ

যানজটে অতিষ্ঠ মানুষজন জানিয়েছেন বিরক্তির কথা। জুনায়েদ আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে গাড়িতে বসে আছি। কুমিল্লা শহরে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মহাসড়কেই সময় চলে যাচ্ছে। দীর্ঘ এই যানজট নিরসনে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখছি না।

১৫ ঘণ্টা আগে

নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলাকেটে হত্যা

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরে নারায়ণ পাল (৪০) নামে এক মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

১৮ ঘণ্টা আগে

সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক

১৯ ঘণ্টা আগে

ট্রেন লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে