তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। এবার সম্মেলনে ৩৫৪টি প্রস্তাব উঠছে। সম্মেলন শেষ হবে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদর দপ্তরে (নয়াদিল্লি) বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ৫৫তম মহাপরিচালক পর্যায়ের এই সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী (মহাপ
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটিও বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস— এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।
ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে এবারে যাত্রা শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খোদ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন এই কমিশন সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনার ভিত্তিতে এই রূপরেখা চূড়ান্ত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরে আমাদের বড় অর্জন হলো— এতে আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে এ সফর সহায়তা করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনব। এটি অবশ্যই করা হবে। তা না হলে জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আগামীকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, জানিয়েছেন শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারতকে এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে কি না— এমন প্রশ্ন রাখা হয় রফিকুল আলমের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রকাশ্যেই আছে।
র্যাব বিলুপ্তসহ জাতিসংঘের অন্য সব প্রস্তাবের বিষয়ে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাব আলোচনা-পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা সবাই বসব। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) তা জানাব।
কমিশনের কার্যপরিধি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন আগামী নির্বাচন (ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুল
এতদিন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে নানা রকম বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল। এখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলো। চাপের কারণেই কি সরকারকে আশ্বাস দিতে হলো, এ নিয়ে আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আওয়ামী লীগের আমলে গড়ে তোলা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, গত সরকার আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সব ক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটি নমুনা। কীভাবে একটি দেশকে সব দিক থেকে ধ্বংস করা যায়, সব করেছে। একেবারে সামান্যতম যে মানবিক অধিকার, সেটুকু থেকেও বঞ্চিত করে
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি পুলিশ, প্রসিকিউটর এবং বিচারকসহ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের শাসন সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করা