বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মগবাজারস্থ জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দলটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শক্ত হাতে অপরাধীদের দমনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বরং আগের মতোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চুপ, মানুষ আতঙ্কিত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতি হয়েছে যে রাস্তাঘাট, এমনকি নিজের ঘরেও ম
জি এম কাদের বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। আইনশৃংখলার এত নাজুক অবস্থা স্মরণকালে নেই বললেই চলে। শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই মানুষ আতঙ্কে ঘুমাতে পারছে না। দেশ এখন চোর, ডাকাত আর ছিনতাইকারীর অভয়ারণ্য। দেশ যেন এক আতঙ্কের রাজ্য।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহিদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় পার্টি চেয়াম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আখরে অক্ষয় হয়ে আছে আমাদের মহান জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশ আমাদের সাহসী হতে অনুপ্রাণিত করে। সকল অন্যায়-অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহস যোগায় অমর একুশে।’
তিনি বলেন, আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশন গুলো কাজ হয়েছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কি কি প্রস্তাব আছে সেগুলো আর কীভাবে বিস্তর আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।
বাংলাদেশে গত প্রায় দেড় দশকের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে এড়িয়ে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বা ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ হিসেবে রাজনৈতিক আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে দলটির নাম। তবে জাতীয় পার্টির মূল্যায়ন— অন্তর্বতী সরকারের সময়ে দেশ ভালো চলছে না। দেশকে বিভক্ত করার জন্য দলটির নীতিনির্ধারকরা দায়ী ক
রাশেদ খান বলেন, ছয় মাস হয়ে গেল, এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ ৪ দফা দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সমর্থন দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তোলা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ইতিহাসের সেরা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলব আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নিন। গণ-অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে কোনো দল যদি লুটপাট করার জন্য দেশটাকে নিজের সম্পতি মনে করে সেটাও ভুল হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চোর-পুলিশ, ডাকাত-পুলিশ চলবে না। থানার দালালরা ধরে ধরে মানুষকে মামলা দেয়, সেই মামলার ওপর পুলিশ কাজ করে। সরকার যদি ভালো না হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তারা সবাই চোর হবে। সরকারি যদি বলে, আমি গদিতে থাকবো, তখন পুলিশ ডেকে ডেকে বলে সরকার বদলালেও আমরা আছি, পিঠের চামড়া রাখবো না।’
নির্বাচন বা ক্ষমতার জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের প্রত্যয় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’।
আদালত প্রাঙ্গণে দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মিছিল, মিটিং, স্লোগান, ব্যানার, পোস্টারিং করে আদালতের ভাবমূর্তি হেয় করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বারকে বিচারিক আদালতের সীমানা থেকে আলাদা করার ব্যবস্থা করতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিটির নামে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা ফ্যাসিবাদ বিরোধী চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
তিনি বলেন, ‘একটি সংগ্রামের ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদ রাজনৈতিক ভিত্তি গড়েছে। আমরা অনেক আগেই বলেছি, একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এখন সংস্কার কমিশনের একই সিদ্ধান্ত আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা ভারসাম্যমূলক সংসদ ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছি। যা নিয়ে এখন আলোচনা চল
সাইফুল হক বলেন, ‘বিপ্লবের পেছনে যেমন প্রতিবিপ্লব থাকে, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের পেছনেও প্রতিঅভ্যুত্থানের ঝুঁকি থাকে। সে কারণে গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষকে রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেও নিজেদের মধ্যকার সাধারণ বোঝাপড়া অব্যাহত রাখতে হবে।’