প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে থাকা সমমনা দলগুলোর জন্য বাকি আসনগুলোর বেশিরভাগ ফাঁকা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় অনেক আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। পরে এসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানা
ঘোষণা অনুযায়ী যে তিনটি আসন থেকে খালেদা জিয়া প্রার্থী হবেন সেগুলো হলো— দিনাজপুর-৩ (দিনাজপুর সদর উপজেলা), বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা) এবং ফেনী-১ (পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ফুলগাজী উপজেলা)।
মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ কর চাই, আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, যেসব আসনে তারা (নির্বাচন করতে আগ্রহী) সেসব আসনে আমরা কোনো প্রার্থী দিইনি। আমরা আশা করছি, তারা তাদের (প্রার্থীদের) নাম ঘোষণা করবেন। আলোচনার মাধ্যমে আমরা এগুলো চূড়ান্ত করব।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩২টি আসনের জন্য দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। বাকি ৬৮টি আসনের প্রার্থীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
জরুরি বৈঠকে বসেছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। দলের সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করতে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জুলাই সনদের বিভিন্ন প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ও সনদ বাস্তবায়নের জন্য ভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে সরকার। সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জরুরি এ বৈঠকেই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। পরে সংবাদ সম্মেলনে সে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হতে পারে।
জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শতাধিক আসনে আংশিক এমপি প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করতে পারে বিএনপি। এরপর অন্যান্য আসনে ধাপে ধাপে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে দলটি। সেই লক্ষ্যেই সম্প্রতি সারাদেশের তিনশ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সবমিলিয়ে প্রায়
এনসিপির আরও অনেক নেতার মতোই সারজিসে উত্থানও জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে। তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। আন্দোলনের দিনগুলোতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন তিনি। তাতে আলোচনা-প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা-নিন্দাও কম পেতে হয়নি।
গুলশানে হোটেল লেকশোরে বিএনপির প্রবাসে দলের নেতাকর্মীদের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্যপদ গ্রহনের কর্মসূচি হিসেবে বিএনপির ওয়েবসাইটে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের কার্যেক্রম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান হয়।
সোমবার সংবাদ সম্মেলন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কি না। বর্তমান পরিস্থিতির ফলে কোনো অপশক্তির কাছে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে দেশে সংঘাত, অপপ্রচার ও অপকৌশল চলছে।’
রোববার (২ নভেম্বর) দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তরে। চিঠিতে উপদেষ্টার অবস্থানকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। সংস্কারটা কত কঠিন বুঝতে পারছেন? অনেকে বলেন লৌকিক সংস্কারের লাভ কী? সংস্কার তো এভাবে একটা দুইটা করেই করতে হবে। দল যদি সংস্কার না হয়, রাজনীতি কীভাবে সংস্কার হবে?
এতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনও প্রত্যক্ষ করিনি।