জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ— এই দাবিগুলোই রয়েছে ইসলামি দলগুলোর দাবি-দাওয়ার তালিকার শুরুতে, যেগুলো এখনো রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার টেবিলে। এ কারণেই বিএনপি এ কর্মসূচির সরাসরি বিরোধিতা করে তীব্র সমালোচনা করেছে আন্দোল
খেলাফত মজলিস বলছে, দলীয় কোনো সফর নয় এটি। তবে সফরে বিশেষভাবে আফগানিস্তানে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে পশ্চিমা মহলে যে সমালোচনা রয়েছে, সে প্রসঙ্গে বাস্তব অবস্থান সরাসরি পরিদর্শন করবেন সফরকারীরা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থাতেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামি দল। দিনভর মিছিল-সমাবেশে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় অভিহিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তা
মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর এই কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন ছিল না। আলোচনা চলছিল, চলছে। এ অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির অর্থই হচ্ছে একটা অহেতুক চাপ তৈরির চেষ্টা করা।
‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা, এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে এই কমর্সূচির আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।
মঈন খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই সংস্কার নিয়ে একমত হয়ে যাবে এটা ভাবা ভুল। সবাইকে একমতে এনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারণায় বিশ্বাস করি না। প্রথাগত পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। প্রথাগত ধারণা ও বদ্ধ চিন্তা ভাবনা নিয়ে রাজনীতি করলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি আবারও ঘটতে পারে।
আমীর খসরু বলেন, অনেকে অনেক কিছু চাইবে, সব জায়গায় ঐকমত্য হবে না। তবে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের প্রতি আস্থা না থাকলে পরাজিত শক্তির উত্থানের সুযোগ থাকবে।
তারেক রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু
মনোনয়নপত্র জমা ও যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩:৩০টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে – এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে তাদের 'নৌকা' প্রতীকে লড়তে পারবে, এমন কোনো সম্ভাবনাই এ মুহুর্তে দেখা যাচ্ছে না।
পাঁচ দফা দাবিতে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সব মিলিয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে এক হাজার ১৬২টি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য বিতরণ হয়েছে ৫২৮টি, বাকি ৬৩৪টি হল সংসদের জন্য। এদিকে ছাত্র হলগুলোতে হল সংসদের জন্য ৪৫৪ জন ও ছাত্রী হলগুলোতে হল সংসদের জন্য ১৮০ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলে অনেক বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। বিএনপি সেটিই চায়।’ আজ বুধবার দুপুরে তিনি চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আলোচনা চলমান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা আন্দোলন আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা।'
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ নানা ভাবে বিএনপি ও দলের নেতাকর্মীদের ওপর গত ১৬ বছর ধরে যে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। এই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।