বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, সেগুলো এখনও মনে পড়ে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এ রায় মাইলফলক। অপরাধ বিবেচনায় এ সাজা যথেষ্ট না হলেও আগামীতে কোনো সরকার বা কোনো ব্যক্তি যেন ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে তার জন্য উদাহরণ হবে এ রায়।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে তা দেশে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর অগাধ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো মেগাপ্রজেক্টের দিকে যাব না। কারণ মেগাপ্রজেক্টের টাকা ফেরত দিতে সরকারের ১২টা বেজে যাচ্ছে। তার চেয়ে আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকে জোর দেব। মেগাপ্রজেক্ট থেকে সরে এসে স্কিল ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ বাড়াবে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘ওই ইসলামিক দলকে বলবো- নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ার চিন্তা করেন। মানুষের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। গুপ্ত রাজনীতি করবেন না। স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসেন। অপব্যাখ্যা দিবেন না। অপপ্রচার করবেন না। হাসিনা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি। ২৮ অক্টোবর, ১০ ডিসেম্বর এ
রিজভী বলেন, ‘গোঁজামিল দিয়ে কোনো কিছু করা হলে তা টেকসই হবে না। ৯০ ভাগ মানুষ যদি বুঝতে না পারে গণভোটের উদ্দেশ্য কী তাহলে সেই তিমিরে মানুষ থেকে যাবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে আল্লাহ এক এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তিনি উল্লেখ করেন, মুসলিম জাতির মধ্যে বিভাজনের কারণে ফিলিস্তিন ও মিয়ানমারে মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
নৈশভোজে আরও অংশ নেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি ছিল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার একটি প্রজেক্ট। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে, একইসাথে দুই নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় সংসদ
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ভোটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে নিজেদের মধ্যেই লড়তে হচ্ছে বিএনপিকে। কেন্দ্র বলছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ‘আপত্তি’ আমলে নেওয়া হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বিএনপিকে সতর্ক থাকতে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
আমির খসরু বলেন, আপনারা জানেন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সুযোগ নেই। তারা বিগত দিনেও পরাজিত শক্তি ছিল, এখনো পরাজিত শক্তি, ভবিষ্যতেও তারা পরাজিত শক্তি থাকবে। সুতরাং তারা নির্বাচন চায় না, তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস
৫ আগস্টের পরে নারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সেই প্রত্যাশা থাকলেও আজকে বাংলাদেশের নারী সমাজ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। উন্নয়নের কথা বলে গ্রামের নারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী ও রক্ষী বাহিনীর কায়দায় কাজ করে মানুষকে শান্তি দেয়নি। মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, গুম, খুন ও লুটপাট চালিয়েছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ সইয়ের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি হয়েছে। যেভাবে জুলাই সনদ সই হয়েছে সেভাবে এই জাতীয় সনদ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালনের জন্য বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া তিনটি রাজনৈতিক দলের দাবির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়েই প্রতিটি দলের কোনো না কোনো দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কি শেষ রক্ষা হলো?