ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব নাগরিকের সমন্বয়ে রাজনীতি করে বিএনপি। এটা রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি চাই না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কল করেন। এসময় তিনি নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। কথোপকথন শেষে তিনি নুরুল হক নুরের পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে যখনই আপনি ষড়যন্ত্রে যাবেন, তখনই আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে। তা-ই হয়েছে। আওয়ামী লীগেরও ক্ষতি হয়েছে। এগুলো করে তারা নিজেদের ক্ষতিটা করেছে। অন্য কাউকে কিছু করতে হয়নি। তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছে।’
কর্মী সভায় তিনি বলেন, যাদের কথা এবং কাজে মিল আছে তাদের কথা শুনবেন। আপনারা বিএনপিকে দীর্ঘদিন ধরে চিনেন। খালেদা জিয়ার মায়েদের জন্য চিকিৎসা, শিক্ষায় অবদান রেখেছেন। আর যারা কোনো কিছু করে নাই, কোনো কিছু করার অভিজ্ঞতা নাই; তাদের কথায় বিশ্বাস করা যায় না।
রিজভী বলেন,দেশের অস্থিরতা ও দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে, পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তির বিষয়টি মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এই সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি- এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না
তিনি আরও বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। কেউ কেউ বলেন আত্মসমর্পণ করেছিলেন বা পালিয়েছিলেন। কিন্তু তার দল ও দলের নেতাকর্মীরা দাবি করে, তিনি মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডাররা পালিয়ে যায় না বা আত্মসমর্পণ করে না।'
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, জনগণের রায়কে ভয় পায় জামায়াত। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আসা কিছু বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দুই-একটি রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে পারে না। ভোটে জিততে পারবে না জেনেই উদ্ভট চিন্তা সামনে এনেছে জামায়াত। জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দিলে তা বিএনপি মেনে নেবে না।
রিজভী বলেন, বিএনপির তরফ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা। কোনো সম্প্রদায় যখন অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবাস করে, তখন ওই সম্প্রদায়ের বড় উৎসব সবার উৎসবে পরিণত হয়। উৎসব কখনও বিভাজন করে না। উৎসব মানুষে মানুষে সৌহার্দের বার্তা দেয়। এসব উৎসবের দিনে আমরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই। বিএনপির এই নেতা
দুদু বলেন, ‘মহল বিশেষ মনে করছে, নির্বাচন হলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এ জন্য তারা মুখরোচক কথাবার্তা বলে, নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চাইছে। কিন্তু যারা এসব করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে সকলের সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, তখন বারবার মনে হচ্ছিল যেন এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।’
তাপসসহ গ্যাং অব ফোরের এসব অপকর্মকারীদের সাথে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে কীভাবে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব ফোনালাপে উঠে এসেছে তাদের খুনের মনোবৃত্তি, ডাকাতির মনোবৃত্তি, রক্ত পিপাসু মনোবৃত্তির নানা বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইতিহাস সংস্কারের ইতিহাস। বিএনপির ইতিহাস রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ধারণাকে ধারণ করার ইতিহাস। বিএনপির ইতিহাস এ দেশে সংস্কারের মধ্য দিয়ে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইতিহাস।’
তিনি বলেন, একটি ঘর তৈরি করতে হলে সবাইকে মিলে কাজ করতে হয়। তখন অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। অনেক শ্রমিকের শ্রমের পর সুন্দর একটি ঘর তৈরি হয়। কিন্তু সেই ঘরটি ধ্বংস করার জন্য খুব বেশি মানুষের প্রয়োজন হয় না। এই দেশটি হলো আমাদের ঘর। এই ঘরটিতে ডাকাত পড়েছিল দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। সেই ডাকাতকে বাংলাদেশের জনগণ বি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে ফেলে চলে গেলেন। আর প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেলেন। বাকিরা হেনস্তার শিকার হলেন। এটা কি অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র?’
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা অতীতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন মাটির তলায় চাপা দিয়ে তার রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছেন। একে-ওকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। একই কায়দায় যদি আগামী নির্বাচনেও কাউকে বা কোনো দলকে জিতিয়ে দেওয়ার নীলনকশা করা হয়, তবে তা জাতির জন্য হবে চরম দুর্ভাগ্যজনক। জনগণ তখন কাউকে ছেড়ে দেবে না।
ডা. জাহিদ বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। তিনি এসে বিএনপির নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেবেন। পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে দেবেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি উদ্বেগজনক। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের আগ্রহ এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাওয়া জামায়াতের ভিন্ন উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত বহন করছে।’