মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমানের বৈঠকে নির্বাচনের কথা ঠিক হওয়ার পর গোলমালটা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ দেশের মানুষ বরাবরই সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে, তারা তাদের দাবি আদায় করে নিয়েছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করতে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা যেন প্রশ্রয় না পায়। জনগণের মনে যাতে এ প্রশ্ন না জাগে যে সরকার কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে চাইছে।’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘মহল্লায়-মহল্লায় আমাদের পাহারা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ফ্যাসিবাদ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। তাই নিজেদের মধ্য বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বৈঠক আশা করা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত সর্তকতার সঙ্গে তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করবে, অন্যথায় গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা করা হচ্ছে এবং তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থি।
জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বুঝে শুনে কথা বলেন। অতীতে আপনারা বুঝে শুনে কথা বলেন নাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলা করে, তখন কারা আনন্দ মিছিল করেছে? কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল? তা সবাই জানে। আপনাদের ইতিহাস জাতি জানে, আপনাদের ইতিহাস জাতির কাছে প্রকাশ করতে চাই ন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খল
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী করতে চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় হাত না দিতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কেউ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, সেটাও গণভোটের মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, কে কাকে লাল কার্ড দেখাবে, তা ঠিক করবে জনগণ। কে কী বলেছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আদৌ কোনো আলোচনা বা সমালোচনার প্রয়োজন মনে করে না।
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর যত সমালোচনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে। বিরোধী পক্ষের নানা স্লোগানে তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, অশালীর বক্তব্যের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক
তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাবা হচ্ছে, তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বললে বিএনপি ভয় পাবে ও সরে যাবে। কিন্তু বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে জানে। আমরা শহীদদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি, ফিনিক্স পাখির মতো নতুন করে জেগে উঠব।’
দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সতর্ক করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তি এবং আধিপত্যবাদী শক্তির দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে। তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কাউকে পা দেওয়া যাবে না।’
জয়নুল আবদিন বলেন, ‘কেউ কেউ বলে নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন না করলে নির্বাচন হবে না। আবার কেউ কেউ বলে, শাপলা না দিলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে। খবরদার, খবরদার, শহীদ জিয়ার ধানের শীষ নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের ওপর হামলা, খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা। সবই নির্বাচন বানচাল ও দেশে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেজ
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা বা উপস্থিতির প্রমাণ না থাকা স্বত্ত্বেও ঘটনার সাথে জড়িত বলে যাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের প্রতিবাদে
তিনি বলেন, ‘যাদের বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীলতা আছে, সম্মানবোধ নেই, সহনশীলতা নেই, তার বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে, সহনশীলতা, সম্মান, শান্তিপূর্ণ অবস্থান, দেশ গড়ার এবং মানুষের নতুন স্বপ্ন গড়ার প্রত্যয়ের রাজনীতি। যারা দেশের রাজনীতিকে আবার কলুষিত করতে চাচ্ছে, তাদের দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’