এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য না আসায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের অবসান কীভাবে ঘটবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর মধ্য আবার শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ আগামী ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, জুলাই সনদে কিছুটা ঐক্য এলেও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে তার প্রতিফলন নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি একে ‘অনৈক্য’ তৈরির প্রয়াস বলেই অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ খুব বাস্তবসম্মত হয়নি।
বিবৃতিতে সরকার বলেছে, ‘এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন, সে রকম যোদ্ধাকেই আমরা বেছে নেব। এটা আমার হাতে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা করব।
জুলাই সনদের প্রস্তাবে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে বলা হলেও এর মধ্যে কেবল ১৭টি প্রস্তাবে পূর্ণ ঐকমত্য এসেছে। বাকি ৬৭টি প্রস্তাবেই কোনো না কোনো দলের দ্বিমত বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— জাতীয় ঐক্যের এই দলিল কতটা ঐক্য আনতে সক্ষম হলো দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে?
আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ সইয়ের কথা থাকলেও এতদিন ধরে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে আসা সব রাজনৈতিক দল এতে আসলেই সই করবে কি না, বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করলেও সামগ্রিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইকবাল করিম ভূঁইয়া। বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠন করার সুযোগ পেলেও বিভিন্ন মহলের স্বার্থের সংঘাতে শেষ পর্যন্ত পুরনো ব্যবস্থাই বহাল রয়েছে, কেবল বদলেছে সেই ব্যবস্থার সুবিধাভোগ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে যে কথাবার্তাগুলো চলছে, সেটি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরির চেষ্টা। আদৌ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘সেফ এক্সিট’ বিষয়টির বাস্তবতা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই। আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত রেখে সমাপ্ত করতে পারব না। যখন ঐকমত্যে পৌঁছাব, তখনই নির্বাচন সার্থক হবে।’
মাহফুজ তার স্ট্যাটাসে 'মওদূদীবাদী' বলে যাদের ইঙ্গিত করেছেন, তারা মূলত ইসলামী চিন্তাবিদ আবুল আ'লা মওদূদীর অনুসারী। বাংলাদেশে মওদূদীর রাজনৈতিক দর্শন ধারণ করে রাজনীতি করে থাকে জামায়াতে ইসলামী। মওদূদীর অনুসারীরা রাজনৈতিক দলের নামে নিজেদের রাজনীতি করার চেয়ে অন্যদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ভূমিকা রাখেন বল
সুচিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে সুচিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে পাঠাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছেন, সেই সময়েই নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।
আসিফ নজরুলের এ সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্টে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসনাত। এমনকি উপদেষ্টাকে ‘ভণ্ড’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।