১০ এপ্রিল ভোর হয় অন্যদিনের মতোই। কিন্তু একটু বেলা বাড়তেই চিত্র পালটে যায়। দুটি যুদ্ধবিমান তীব্রবেগে উড়ে আগের মতোই গুলিবর্ষণ শুরু করে। একই সঙ্গে বিকট শব্দে মর্টার শেল পড়তে থাকে বাংকারের অদূরে। শেলের আঘাতে বিশাল গর্ত তৈরি হতে থাকে। মাটি গুঁড়ো হয়ে অনেক ওপরে উঠে যায়। পুরো এলাকা তখন ধুলোয় অন্ধকার।
বর্তমানে বিশ্ব একটি গভীর মানবিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। ফিলিস্তিনের আকাশে বারুদের ধোঁয়া, ভূমিতে রক্তের ছাপ এবং বাতাসে শিশুর কান্না প্রমাণ করে দেয়, মানবতা আজ নিদারুণভাবে পরাজিত। প্রতিদিন ফিলিস্তিনে যে নারকীয় হামলা চালানো হচ্ছে, তা শুধু একটি ভূখণ্ড দখলের বিষয় নয়; এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি, পরিচয় ও অস্তিত্
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় কেএফসি, বাটা, পিৎজা হাটসহ এক ডজনেরও বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘিরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ ও নিরাপত্তা শঙ্কা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একটি স্বাধীন জাতির জন্য সমর্থন জানানো এক কথা, কিন্তু সেই সমর্থনের নামে কারও দোকানপাট ভাঙা হলে কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা শ্রমজীবী মানুষের জীবিকায় আঘাত হানা হলে সেটি আন্দোলন নয়, সেটি ডাকাতি। একে লুটপাট, চাঁদাবাজি, ভ্রান্ত চেতনার ধ্বংসাত্মক দানবীয় উন্মাদনা ছাড়া কিছুই বলা চলে না।
রপ্তানি পণ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পালটা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাণিজ্যব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এর বাইরে নয় বাংলাদেশও। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক হয়েছে। এ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও এ বিষয়
থাইল্যান্ডের রাজধানীতে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মিনিট চল্লিশেকের এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন – ‘ফ্যাক্ট’ বা ঘটনা বলতে এটুকুই, যা নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। কিন্তু এরপর
বাড়তি চাহিদার কারণে পণ্যের জোগানও বাড়ে, যা স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। পণ্য আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি থেকে সরকার বাড়তি রাজস্ব পেয়ে থাকে। উৎসবের মহাকর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত অর্থনীতির অংশকে উৎসবের অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সে দেশে ইসলামী ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান সাধারণভাবে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্নভাবে ইসলামি মৌলবাদ এমনকি জঙ্গিবাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে অত্যন্ত কঠোরভাবে এ ধরনের বিষয়গুলোকে মোকাবিলা করা হয়েছিল।
ঢাকার শাহবাগে শহিদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাডানের প্রেসিডেন্ট ও নিউট্রিশন সামিটের চিফ অ্যাডভাইজার জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান সমন্বয়ক ডা. মো. ফজলে রাব্বি খান সামিট আয়োজনের যথার্থতা তুলে ধরেন।
এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের যোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করলেও তারা মিয়ানমারে কবে ফিরে যেতে পারবেন তা নিশ্চিত নয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভেরিফিকেশন তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে না। তাদের রেসিডেন্সি নিশ্চিত করে। রোহিঙ্গারা ত
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক, যার একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন এই শুল্ক কাঠামোতে দেশের পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে মার্কিন জিএসপি সুবিধা হারায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর এরই মধ্যে সাধারণ শুল্ক প্রযোজ্য হওয়ায় পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির ঝুঁকি আরও বাড়ে।
অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ব্যাংককে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদী যে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন, এটিকেই দুই দেশের সম্পর্কে একটি ‘ইতিবাচক’ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের আকস্মিকতায় থমকে গিয়েছিল দুই দেশের সম্পর্কের গতি।
বিক্ষিপ্ত রাজনীতির মাঠে স্বপ্ন দেখানো নতুন দল, এমনকি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। তবে সেই প্রশ্নে মুখোমুখি হয়ে বর্তমানের হালহকিকত, রাষ্ট্র পরিচালনার চ্যালেঞ্জ আর ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথাও শোনাচ্ছেন সরকারের অন্যতম প্রধান অংশীজন, সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী।
দীর্ঘদিন পর রাজধানী ঢাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমন একটি আনন্দ মিছিল আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল বাংলার সুলতানি-মোগল আমলের নানা ঐতিহ্যকে। আনন্দ মিছিলে গাধার পিঠে বসে থাকা লোককথার চরিত্র নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি পাপেট বা প্রতিকৃতিও স্থান পায়।
বর্তমানে আমরা সবাই ঈদের দিন ‘ঈদ মোবারক’ বলে থাকি। শব্দ দুটো আরবি। ‘ঈদ’ অর্থ খুশি, আনন্দ, উৎসব। ‘মোবারক’ অর্থ মঙ্গল, শুভ বা পবিত্র। দুটি শব্দ মিলিয়ে ‘ঈদ মোবারক’-এর অর্থ দাঁড়ায় ‘খুশি মঙ্গল’ বা ‘আনন্দ শুভ’ বা উৎসব পবিত্র’ বা এমন কিছু। অর্থাৎ ‘ঈদ মোবারক’ শব্দগুচ্ছ দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর যে আকাঙ্ক্ষা