ড. মোহাম্মদ হাননান
আমাদের ছোটবেলার কথা। ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ লেগে গেল। যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা যখন লাহোরের প্রান্তে পৌঁছে গেল, তখন পাকিস্তানের টনক নড়ল। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়াকে বলল মধ্যস্থতা করতে। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সালিশ বৈঠক বসেছিল।
সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বৈঠকে বসে চুক্তি করলেন, তারা আর যুদ্ধ করবেন না। ১৭ দিন স্থায়ী যুদ্ধের পর দুদেশ যার যার আগের অবস্থানে ফিরে গেল।
চুক্তি শেষে আইয়ুব খান দেশে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের বাঘা সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য অপমানজনক এমন একটি চুক্তি আপনি করতে পারলেন?’
আইয়ুব খান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘আমার করার কিছুই ছিল না, আমেরিকা আমাকে গাছে উঠিয়ে দিয়ে মই সরিয়ে নিয়ে গেছে।’ [দরবার-ই-জহুর, সংবাদ, ১৯৭৮]
ভারতের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের যুদ্ধে পাকিস্তান খুব করুণভাবেই হেরে গিয়েছিল। অথচ সে সময় আমরা প্রতিদিন শুনতাম, ‘ফেরেশতারা আসমান থেকে এসে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করছে।’
পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের ‘প্রোপাগান্ডা’ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় অতি ধূর্ত। মানুষকে মিথ্যা দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে। ১৯৭১ সালেও এমনটা তারা করেছিল। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ আজও জানে না, ১৯৭১ সালে আসলে পূর্ব-পাকিস্তানে কী রকম বর্বরতা নেমে এসেছিল।
বলছিলাম আমেরিকার মই সরিয়ে নেওয়ার কথা। আপনি একটি বিষয় মনে রাখবেন, যেখানেই যুদ্ধ আছে সেখানেই আমেরিকার একটা ব্যাপার আছে।
একজন বিচারক ছিলেন। তিনি বিচারকাজ করতে গিয়ে সবসময় মনে রাখতেন, যেখানেই একটা অপরাধ আছে, সেখানেই একটা ‘নারী’বিষয়ক ঘটনা আছে। একবার এক বাড়ির মালিক তার বাসার কাজের ছেলের বিরুদ্ধে একটা মামলা করলেন। মামলায় অভিযোগ, সে কতগুলো প্লেট ও গ্লাস ভেঙে ফেলেছে।
বিচারক ভাবলেন, এখানেও নারীবিষয়ক একটা কিছু থাকতে পারে। তিনি কাজের ছেলেকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কীভাবে এতগুলো প্লেট-গ্লাস ভেঙে ফেললে?’
ছেলেটি বলল, ‘আমি প্লেট-গ্লাস নিয়ে একতলা থেকে দোতলায় উঠছিলাম। হঠাৎ সিঁড়ির জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির দিকে নজর পড়ল। দেখলাম একজন নারী অন্তর্বাস বদলাচ্ছে। আর অমনি আমি পড়ে গেলাম।’
বিচারকের ধারণা আবারও অভ্রান্ত প্রমাণিত হলো। একইভাবে যুদ্ধ আছে কিন্তু আমেরিকা নেই— এটা কখনো হয় না। আমেরিকা সব পক্ষকেই বলে, যুদ্ধ করে সমস্যার সমাধান করো। অস্ত্র লাগে অস্ত্র নাও। টাকা পড়ে দিও।
ইউক্রেনকে দেখুন, আমি তো সেই ১৯৬৫ সালের আইয়ুব খানের অবস্থা দেখতে পাচ্ছি জেলেনেস্কির মধ্যে। এখন অস্ত্রের টাকা জেলেনেস্কি শোধ দিচ্ছে দেশের খনিজ সম্পদ লিখে দিয়ে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ কেন হয়েছিল? আপনি এখানে ২১টি কারণ খুঁজে পাবেন। এর প্রথমটা হলো— মেজর জেনারেল আইয়ুব খানের ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়ার খায়েশ। যুদ্ধ না করলে তো ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়া যায় না। তাই একটা যুদ্ধ চাই।
দ্বিতীয়ত, সামনেই ছিল নির্বাচন। নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হয়েছিলেন পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। চ্যালেঞ্জ খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল আইয়ুব খানের জন্য। তাই ভারতবিরোধী জিগির তুলতে হবে। নির্বাচনি বক্তৃতাতেও আইয়ুব খান বলতে লাগলেন, একজন নারী ভারতের সামনে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে পারবে না।
ভারত-পাকিস্তান ছোটখাটো আরও যেসব যুদ্ধ করেছে, তার মধ্যে কাশ্মির ইস্যু সবসময়ই ছিল। কাশ্মিরীরা চায় স্বাধীন কাশ্মির। পাকিস্তান কি স্বাধীন কাশ্মির চায়? তারা কাশ্মিরের যতটুকু দখল করে নিয়েছে তার নাম দিয়েছে ‘আজাদ কাশ্মির’। এটি স্বাধীন কোনো ভূখণ্ড নয়, পাকিস্তানেরই একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
কাশ্মিরের নেতা শেখ আবদুল্লাহ ১৯৪৭ সালে নেহেরুর চালে পড়ে যে ভুল করেছিলেন, কাশ্মিরিদের তা দগ্ধাতে থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। এখন কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যে রণহুংকার দেয়, তার পেছনে কাশ্মির নেই।
পাকিস্তানে দ্রুত ইমরান খানের মুক্তির দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের রোষ ধূমায়িত হয়ে উঠছে। জনগণের চোখটা তাই ভারত-জুজুর দিকেই নিয়ে বেঁচে থাকতে চাচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, শাহবাজ, বিলাওয়াল প্রমুখরা।
ভারতও এ মুহূর্তে একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় থাকতে চাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন এবং সর্বশেষ মুসলিম সমাজের ওয়াকফ এস্টেট আইনে হস্তক্ষেপ গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে রুষ্ট করে ফেলেছে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় এভাবে ভারতের জনগণকে, বিশেষ করে ভারতের মুসলমানদের এ ইস্যুতে কোণঠাসা করে রাখতে মোদিরা একাট্টা।
এসব আসলে কিছুই নয়। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখা।
লেখক: গবেষক ও লেখক
আমাদের ছোটবেলার কথা। ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ লেগে গেল। যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা যখন লাহোরের প্রান্তে পৌঁছে গেল, তখন পাকিস্তানের টনক নড়ল। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়াকে বলল মধ্যস্থতা করতে। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সালিশ বৈঠক বসেছিল।
সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বৈঠকে বসে চুক্তি করলেন, তারা আর যুদ্ধ করবেন না। ১৭ দিন স্থায়ী যুদ্ধের পর দুদেশ যার যার আগের অবস্থানে ফিরে গেল।
চুক্তি শেষে আইয়ুব খান দেশে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের বাঘা সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য অপমানজনক এমন একটি চুক্তি আপনি করতে পারলেন?’
আইয়ুব খান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘আমার করার কিছুই ছিল না, আমেরিকা আমাকে গাছে উঠিয়ে দিয়ে মই সরিয়ে নিয়ে গেছে।’ [দরবার-ই-জহুর, সংবাদ, ১৯৭৮]
ভারতের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের যুদ্ধে পাকিস্তান খুব করুণভাবেই হেরে গিয়েছিল। অথচ সে সময় আমরা প্রতিদিন শুনতাম, ‘ফেরেশতারা আসমান থেকে এসে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করছে।’
পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের ‘প্রোপাগান্ডা’ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় অতি ধূর্ত। মানুষকে মিথ্যা দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে। ১৯৭১ সালেও এমনটা তারা করেছিল। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ আজও জানে না, ১৯৭১ সালে আসলে পূর্ব-পাকিস্তানে কী রকম বর্বরতা নেমে এসেছিল।
বলছিলাম আমেরিকার মই সরিয়ে নেওয়ার কথা। আপনি একটি বিষয় মনে রাখবেন, যেখানেই যুদ্ধ আছে সেখানেই আমেরিকার একটা ব্যাপার আছে।
একজন বিচারক ছিলেন। তিনি বিচারকাজ করতে গিয়ে সবসময় মনে রাখতেন, যেখানেই একটা অপরাধ আছে, সেখানেই একটা ‘নারী’বিষয়ক ঘটনা আছে। একবার এক বাড়ির মালিক তার বাসার কাজের ছেলের বিরুদ্ধে একটা মামলা করলেন। মামলায় অভিযোগ, সে কতগুলো প্লেট ও গ্লাস ভেঙে ফেলেছে।
বিচারক ভাবলেন, এখানেও নারীবিষয়ক একটা কিছু থাকতে পারে। তিনি কাজের ছেলেকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কীভাবে এতগুলো প্লেট-গ্লাস ভেঙে ফেললে?’
ছেলেটি বলল, ‘আমি প্লেট-গ্লাস নিয়ে একতলা থেকে দোতলায় উঠছিলাম। হঠাৎ সিঁড়ির জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির দিকে নজর পড়ল। দেখলাম একজন নারী অন্তর্বাস বদলাচ্ছে। আর অমনি আমি পড়ে গেলাম।’
বিচারকের ধারণা আবারও অভ্রান্ত প্রমাণিত হলো। একইভাবে যুদ্ধ আছে কিন্তু আমেরিকা নেই— এটা কখনো হয় না। আমেরিকা সব পক্ষকেই বলে, যুদ্ধ করে সমস্যার সমাধান করো। অস্ত্র লাগে অস্ত্র নাও। টাকা পড়ে দিও।
ইউক্রেনকে দেখুন, আমি তো সেই ১৯৬৫ সালের আইয়ুব খানের অবস্থা দেখতে পাচ্ছি জেলেনেস্কির মধ্যে। এখন অস্ত্রের টাকা জেলেনেস্কি শোধ দিচ্ছে দেশের খনিজ সম্পদ লিখে দিয়ে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ কেন হয়েছিল? আপনি এখানে ২১টি কারণ খুঁজে পাবেন। এর প্রথমটা হলো— মেজর জেনারেল আইয়ুব খানের ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়ার খায়েশ। যুদ্ধ না করলে তো ‘ফিল্ড মার্শাল’ হওয়া যায় না। তাই একটা যুদ্ধ চাই।
দ্বিতীয়ত, সামনেই ছিল নির্বাচন। নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হয়েছিলেন পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। চ্যালেঞ্জ খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল আইয়ুব খানের জন্য। তাই ভারতবিরোধী জিগির তুলতে হবে। নির্বাচনি বক্তৃতাতেও আইয়ুব খান বলতে লাগলেন, একজন নারী ভারতের সামনে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে পারবে না।
ভারত-পাকিস্তান ছোটখাটো আরও যেসব যুদ্ধ করেছে, তার মধ্যে কাশ্মির ইস্যু সবসময়ই ছিল। কাশ্মিরীরা চায় স্বাধীন কাশ্মির। পাকিস্তান কি স্বাধীন কাশ্মির চায়? তারা কাশ্মিরের যতটুকু দখল করে নিয়েছে তার নাম দিয়েছে ‘আজাদ কাশ্মির’। এটি স্বাধীন কোনো ভূখণ্ড নয়, পাকিস্তানেরই একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
কাশ্মিরের নেতা শেখ আবদুল্লাহ ১৯৪৭ সালে নেহেরুর চালে পড়ে যে ভুল করেছিলেন, কাশ্মিরিদের তা দগ্ধাতে থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। এখন কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যে রণহুংকার দেয়, তার পেছনে কাশ্মির নেই।
পাকিস্তানে দ্রুত ইমরান খানের মুক্তির দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের রোষ ধূমায়িত হয়ে উঠছে। জনগণের চোখটা তাই ভারত-জুজুর দিকেই নিয়ে বেঁচে থাকতে চাচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, শাহবাজ, বিলাওয়াল প্রমুখরা।
ভারতও এ মুহূর্তে একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় থাকতে চাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন এবং সর্বশেষ মুসলিম সমাজের ওয়াকফ এস্টেট আইনে হস্তক্ষেপ গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে রুষ্ট করে ফেলেছে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় এভাবে ভারতের জনগণকে, বিশেষ করে ভারতের মুসলমানদের এ ইস্যুতে কোণঠাসা করে রাখতে মোদিরা একাট্টা।
এসব আসলে কিছুই নয়। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখা।
লেখক: গবেষক ও লেখক
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সফরে রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সফরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
৮ দিন আগেহালের সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশবাদের নয়া কৌশলে দাবার ছকের নতুন গুটি জর্জ সোরেসের ‘ডিপ স্টেট’! এ কালের কাবলিওয়ালারা আক্রান্ত নিজ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমেই সেই সাম্রাজবাদের প্রসার ঘটিয়ে চলেছে দেশে দেশে। আর ডিপ স্টেটের প্রভুরা দেশীয় দোসরদের ব্যবহারের পর কাজ শেষে ছুড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে। তবে ততদিনে সাড়ে সর্
১৪ দিন আগেএখন থেকে ঠিক এক বছর আগে, অর্থাৎ গত বছরের পাঁচই জুন হাইকোর্ট যখন সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছিল, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কেউ তখন ধারণাও করতে পারেনি যে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তাদের টানা দেড় দশকের শাসনের পতন ঘটে যাবে।
১৫ দিন আগেবৈষম্যের দেয়ালে ঘেরা এই বিশ্বে এখনও ২০ কোটির বেশি শিশু রয়েছে সাধারণ শিক্ষার বাইরে। যারা যাচ্ছে, তারাও আবার অনেক বিদ্যালয়ে গিয়ে যা শেখার তা শিখছে না। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালে নিম্ন আয়ের দেশে মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, আবার কম আয়ের দেশে এই সংখ্যা আরও
১৮ দিন আগে