টিম রাজনীতি ডটকম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) কার্জন হল ভোটকেন্দ্র এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় অসুস্থ হয়ে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সাংবাদিকের নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
খবর সংগ্রহের সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শারীরিক শিক্ষা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু। সদ্যই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়া এই প্রার্থীকে হুইল চেয়ারে করে যেতে হয়েছে ভোটকেন্দ্রে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেঘমল্লার হুইলচেয়ারে করে একজন সহযোগীর সহযোগিতায় ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
২৬ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মেঘমল্লার। ১ সেপ্টেম্বর রাতে রাতে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে তার অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার হয়।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিন ৭ সেপ্টেম্বর মেঘমল্লার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে প্যানেলের সঙ্গে প্রচারে যোগ দেন। সেদিনও হুইল চেয়ারে করেই প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি।
উৎসবের আবহে শুরু হওয়া ডাকসু নির্বাচনের চিত্র বেলা গড়াতে গড়াতে বদলে যেতে শুরু করেছে। এই নির্বাচনের আলোচিত প্রার্থীদের প্রায় সবাই নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন।
এর মধ্যে এসেছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। এসব অভিযোগ ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এসেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ আবার ব্যালটে কারচুপির অভিযোগের কথা বলেছে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সাদিক-ফরহাদ তথা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ কারচুপির অভিযোগ পেয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাবির সহকারী প্রক্টর একে এম নুরে আলম।
এর আগে ডাকসুর ক্যারিয়ারবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গা অভিযোগ করেন, একজন ভোটারের ব্যালটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন কবি সুফিয়া কামাল হলের নারী শিক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রের নির্বাচনি কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে প্রথম তিন ঘণ্টাতেই ৪৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
আরও সাতটি কেন্দ্রের মতো ভূতত্ত্ব কেন্দ্রেও মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই কেন্দ্রের একজন নির্বাচনি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, তিন ঘণ্টায় এই কেন্দ্রের মোট ভোটারের প্রায় ৪৫ শতাংশই ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভূতত্ত্ব বিভাগ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই এখানে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। তবে দুপুর ১২টা নাগাদ এখানে উলটো লাইন ছোট হতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ ভোটার প্রথমার্ধেই ভোট দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা একজন পোলিং অফিসারকে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কার্জন হল ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দিলে সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ডাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোলিং অফিসারের একজন ভোটারকে দুটি ব্যালট পেপার দেওয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। সেটি পোলিং অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পেরেছেন। তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন তাকে অব্যাহতি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোর সামনে ছিল ভোটারের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চাপ আরও বাড়ছে।
এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনে অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার খবর মেলেনি। তবে প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে কিছু অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটাররাও কিছুটা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন।
ভোটাররা বলছেন, অনেক ভোটারই লাইনে না দাঁড়িয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন, সেভাবেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকছে। ফলে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের লাইন নিয়ে কিছুটা এলোমেলো ভাব দেখা যাচ্ছে।
শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিফাত হাসান তুরান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, প্রশাসনের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। লাইন ছেড়ে কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
এসব বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করলে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয় ও ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। ছাত্রদলের প্রতি ঢাবি প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও।
ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি, এর সঙ্গে হল সংসদে আরও ১৩টি— সব মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান ভোট উৎসবে একেকজন ভোটারকে দিতে হচ্ছে ৪১টি করে ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যেই তারা গোটা ভোট প্রদান প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছেন অমর একুশে হল সংসদের স্বতন্ত্র সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী উবায়দুর রহমান হাসিব। চিকিৎসার জন্য তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
উবায়দুর রহমান হাসিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হল সংসদ নির্বাচনে অমর একুশে হলের এজিএস প্রার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র গরমে তিনি অচেতন হয়ে পড়েছেন।
কেউ নোংরামি করলে তার সঙ্গে নোংরামি করে প্রতিবাদ জানাতে চান না বলে জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের টিএসসি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদে এ কথা বলেন তিনি।
আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে অসংখ্য প্রোপাগান্ডার শিকার করা হয়েছে। আমাদের নিয়ে যদি কেউ নোংরামি করে, তার সঙ্গে নোংরামি করে প্রতিবাদ জানাতে চাই না। আমরা সত্য ও সৌন্দর্য দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাই।
আবিদ বলেন, আপনারা দেখেছেন, বারবার সব জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্বাচনকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রোল মডেলে রূপান্তরিত করতে চাই।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আবিদ বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। প্রথম যে নিউজ করা হয়েছিল, সেটি আমাকে দেখানো হয়েছে, যা আসলে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই তাকে ভোট দিতে নিয়ে গেছেন জানিয়ে আবুদ বলেন, তিনি আমাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গেছেন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আমাকে প্রদর্শন করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থীরা এমনটি দেখার অধিকার রাখে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। অভিযোগ করলে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু আজ কোনো অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট উৎসবে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
ডাকসুর কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি ভোটকেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আবিদ বলেন, অনবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানে যে অবস্থায় আছেন, দ্রুত চলে আসেন। এই উৎসবে আপনারা যুক্ত হয়ে আপনাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করুন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ফরহাদ সেখানে গিয়েছিলেন। ঢুকতে না পেরে সেখান থেকে ফিরে যান তিনি।
ঢাবির সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থী যে কেন্দ্রের ভোটার, শুধু সেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। অন্য কোনো কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ নেই।
পরে এস এম ফরহাদও সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা নিয়ম তা মানতে হবে।’ বলেই সেখান থেকে চলে যান তিনি।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আটটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটির সামনেই রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভোটারের উপস্থিতি।
ভোট দিচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা, ভোট দিতে আসছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। ভাদ্র মাসের তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন সবাই।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় একযোগে আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটের দুই ঘণ্টা এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভোট নিয়ে কোনো কেন্দ্র থেকেই অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর মেলেনি। কোনো প্রার্থী বা ভোটার ভোট দেওয়া নিয়ে কোনো জটিলতার খবর জানাননি।
এর মধ্যে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ তুলেছিলেন, ছাত্রদল ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। বলেছেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আগে যারা যুক্ত ছিল, তারাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নাছির। এ সময় তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি শুভ সূচনা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন।
ভোটের দিন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ছাত্রদল আচরণবিধি ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ডাকসু নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিযোগের কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্রদলের কয়েকজনকে আমরা দেখেছি ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে গিয়ে ভোটারদের কাছে স্লিপ দিয়েছে। এটি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাছাড়া কেন্দ্রের সামনে ডেস্ক বসাতে নিষেধ করা হয়েছিল। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা ডেস্কও বসাতে দেখেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভোটের দিন ভোরে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জুলাই আন্দোলনের বিজয়ের দিন ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করেছেন।
আবিদ লিখেছেন, ‘জীবনের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলছি— আমাদের ছেড়ে যাবেন না, যেভাবে ছেড়ে যাইনি ৫ আগস্টে। প্রিয় বাংলাদেশ! আমাদের দু’আতে রাখুন।’
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই নির্বাচনের নির্ধারিত আটটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটির সামনেই জড়ো হয়েছেন বিপুল পরিমাণ ভোটার। বাধাহীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় এসব কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটারদের কেন্দ্রের সামনে লাইনে এসে দাঁড়াতে দেখা গেছে সকাল ৭টার পর থেকেই।
ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় সাংবাদিকদের সামনে ফাঁকা ব্যালট বাক্স সিলগালা করেন প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারদের বুথে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পোলিং এজেন্ট নিযুক্ত করা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উমামা অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি তালিকা জমা দিলেও চূড়ান্ত তালিকায় তিনি গরমিল পেয়েছেন।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হলো। এবার কেবলই ভোটারদের বেছে নেওয়ার পালা তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আলোচিত এ নির্বাচনে ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ১২টি সম্পাদকীয় পদের পাশাপাশি ১৩টি সদস্যসহ মোট ২৮টি পদে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন ভোটাররা। অন্যদিকে হল সংসদে পদের সংখ্যা ১৩। এ নির্বাচনের ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোট দিয়ে এই ৪১টি পদে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট শুরু হতে যাচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরই— সকাল ৮টায়। ছয় বছরের বিরতিতে ফিরে আসা এ নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এরই মধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে ভোটারদের।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশকিছু ভোটার সকাল ৭টার পরপরই ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছেন।
ভোটাররা বলছেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতেই এত সকাল সকাল চলে এসেছেন তারা।