টিম রাজনীতি ডটকম
ডাকসু নির্বাচনে অবশেষে ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফল মিলেছে কবি সুফিয়া কামাল হলের। এই হলে ভিপি পদে ১২৭০ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৫৪৭ ভোট।
এই হলে ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৪২৩ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কার্জন হল কেন্দ্র থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফল বলছে, এই হলে সাধারণ সম্পাদক পদেও বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট। ৫০৭ ভোট নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু।
এ হলে সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ৪০২ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী পেয়েছেন ৪৯৮ ভোট। ২১৬ ভোট পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনের ফলের জন্য অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরোচ্ছে না। বিকেল ৪টায় ভোট শেষে এখন মধ্যরাতে সবাই ভিড় জমিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে। নানা স্লোগান আর করতালিতে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনের ভীট নেওয়া হয়। এরপর রাত ১২টার পর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়নি।
ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে সিনেট ভবন থেকেই। রাত ১১টার দিকে ভবনটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দফায় দফায় শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা ‘সবার সেরা ঢাবি, ঢাবি ঢাবি’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন সিনেট ভবন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর এবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সে কারণে এই নির্বাচনের ফল নিয়ে তাদের আগ্রহ অনেক বেশি। রাত গভীর হলেও তাদের সে আগ্রহে ভাটা পড়েনি। বরং নিজের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলেন কি না, তা জানতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।
এর মধ্যে ডাকসুর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাত ১২টার মধ্যে ফল ঘোষণা করার কথা জানানো হয়েছিল। তবে রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণার সুনির্দিষ্ট কোনো সময় জানায়নি।
ডাকসু নির্বাচনের পরদিন আগামীকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনে ফলাফলের কোনো আভাস এখনো পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে এখনো চলছে ভোট গণনা। ফল ঘোষণা করতে আরও কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে তথ্য মেলেনি দায়িত্বশীল কারও কাছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— ডাকসুর ফল মিলবে কখন! একই সঙ্গে এত দেরি হওয়ায় এমন শঙ্কার কথাও অনেকে জানিয়েছেন, ভোট গণনায় কোনো কারচুপি চলছে কি না। সরাসরি এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে ছাত্রদল ও বাগছাসের নেতারাও।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল ডাকসু নির্বাচনকে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াই হিসেবে অভিহিত করেছে। এই প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরও বিএনপিপন্থি ও জামায়াতপন্থিতে বিভক্ত। বিশেষ করে ঢাবি প্রক্টর জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির টিএসসি এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের, জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ও এজিএস প্রার্থী আশরেফা আক্তার।
ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় নানা অভিযোগ তুলেছে এই নির্বাচনের বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। এবার ভোট গণনা নিয়েও কারচুপির শঙ্কার কথা উঠে আসছে তাদের কাছ থেকে। এ ধরনের কিছু করা হলে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরের পৃথক পৃথক ব্রিফিংয়ে এমন উদ্বেগ ও প্রতিরোধের কথা উঠে এসেছে।
এ দিন ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। তবে ওই সময় পর্যন্ত যারা ভোটকেন্দ্রে লাইনে ছিলেন, তারাও ভোট দিতে পেরেছেন। তাদের কিছু কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে।
এরপর বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ভোট গণনা শুরু হতে হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। কেন এত দেরি হয়েছে ভোট গণনা শুরু করতে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি।
এদিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ভোট গণনা এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানোর কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে একাধিক কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল। ফলে ভোট গণনা করতে দেরি হওয়া ও এলইডি স্ক্রিন বন্ধ থাকা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে।
সন্ধ্যায় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। যদি ভোট গণনায় বিন্দুমাত্র কারচুপির চেষ্টা করা হয়, যদি শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার দমন করার অপচেষ্টা হয়, শিক্ষার্থীরা তা প্রতিরোধ করবে।
সন্ধ্যায় পৃথক ব্রিফিংয়ে বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ভোট গণনার সময় এলইডি স্ক্রিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোট গণনা করতে অনেক দেরি করা হয়েছে। ভোটের সময় নানা কারচুপির নজির আমরা দেখেছি। এখন ভোট গণনার সময়ও কারচুপির চেষ্টা চলছে। এ রকম কিছু করা হলে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ডাকসুর ভোটগ্রহণ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। আবু বাকের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সভাপতি।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু তিনি (মির্জা আব্বাস) আজ এখানে প্রবেশ করা মানে একটি ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাসের আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, রাইট (অধিকার) নেই। প্রবেশ করেছেন কেন, এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখের আশপাশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন বলেও দাবি করেন আবু বাকের। এসব নেতাকর্মীকে মির্জা আব্বাস এনেছেন কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন বাগছাসের এই নেতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিনেট ভবনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিনেট ভবনে তাদের অভিযোগ ভিসির কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তারা উপাচার্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কার্জন হল কেন্দ্রে। বিজ্ঞানের তিনটি হলের শিক্ষার্থীদের ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে, যেখানে শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রে ভোটের হার ৬৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী তাহমিনা আক্তার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জন্য যে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল,তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিপোর্ট করে ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। তার এ অভিযোগের পর ফেসবুকে সার্চ অপশনে গিয়ে তার অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া যায়নি।
ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক ক্ষুদে বার্তায় এ অভিযোগ তোলেন উমামা।
উমামা লিখেছেন, ‘আমি উমামা ফাতেমা, রিপোর্ট মেরে আমার ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।’
এর আগে গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট মারা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছিলেন উমামা ফাতেমা।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে তিনি লিখেন, ‘অনেক প্রার্থীর আইডি অলরেডি গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। হল সংসদ কিংবা সেন্ট্রাল, যাদেরই প্রতিপক্ষ মনে করা হচ্ছে, তাদের এভাবে রিপোর্ট মারা হচ্ছে। ডাকসুর শুরু থেকেই আমার আইডিতে রিপোর্ট মেরে রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আইডিটাও গায়েব করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উমামা ফাতেমা আরও লিখেন, ‘এসব কারা করছেন ও কেন করছেন, তা আমরা সবাই জানি। আপনারা নেতৃত্বে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কেমন নিরাপদ থাকবে, ভিন্নমতের মানুষেরা কীভাবে মতপ্রকাশ করবে, তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক সচেতন। এভাবে নোংরামি করে আর যাই হোক ভোটে জেতা যাবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের টিএসসি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ায় প্রশাসনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ও অনুসারীরা। একপর্যায়ে তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে এসে এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমকে টিএসসি কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলেও প্রায় সব প্যানেলের প্রার্থীদের নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবার ফলের অপেক্ষা।
ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য ভোট গণনা প্রক্রিয়াটি এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ভোট গণনা শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় ভোটকেন্দ্রগুলোর কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, তখন পর্যন্ত প্রায় সব কেন্দ্রেই অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছে। সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও তখন লাইনে দাঁড়ানো ভোটারের সংখ্যা কমে এসেছিল। তারপরও এ নির্বাচনে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচনের 'অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪' প্যানেলের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, টিএসসি বুথের ভেতরে একজন নারী অভিযোগ করেছেন, তিনি বুথ থেকে বের হয়ে দেখেছেন তার ভোটের সিগনেচার আগে থেকেই দেওয়া আছে। এখন পর্যন্ত মোট চারটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এমনও দেখা গেছে, আগে থেকেই ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, সকাল থেকেই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল। আমরা একুশে হলে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছি। হলে কী হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। এসব শিক্ষার্থীদের মনে সংশয় তৈরি করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) কার্জন হল ভোটকেন্দ্র এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় অসুস্থ হয়ে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত সাংবাদিকের নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
খবর সংগ্রহের সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শারীরিক শিক্ষা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু। সদ্যই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়া এই প্রার্থীকে হুইল চেয়ারে করে যেতে হয়েছে ভোটকেন্দ্রে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেঘমল্লার হুইলচেয়ারে করে একজন সহযোগীর সহযোগিতায় ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
২৬ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মেঘমল্লার। ১ সেপ্টেম্বর রাতে রাতে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে তার অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার হয়।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিন ৭ সেপ্টেম্বর মেঘমল্লার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে প্যানেলের সঙ্গে প্রচারে যোগ দেন। সেদিনও হুইল চেয়ারে করেই প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি।
উৎসবের আবহে শুরু হওয়া ডাকসু নির্বাচনের চিত্র বেলা গড়াতে গড়াতে বদলে যেতে শুরু করেছে। এই নির্বাচনের আলোচিত প্রার্থীদের প্রায় সবাই নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন।
এর মধ্যে এসেছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। এসব অভিযোগ ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এসেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ আবার ব্যালটে কারচুপির অভিযোগের কথা বলেছে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সাদিক-ফরহাদ তথা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ কারচুপির অভিযোগ পেয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাবির সহকারী প্রক্টর একে এম নুরে আলম।
এর আগে ডাকসুর ক্যারিয়ারবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গা অভিযোগ করেন, একজন ভোটারের ব্যালটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেওয়া ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন কবি সুফিয়া কামাল হলের নারী শিক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রের নির্বাচনি কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে প্রথম তিন ঘণ্টাতেই ৪৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
আরও সাতটি কেন্দ্রের মতো ভূতত্ত্ব কেন্দ্রেও মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই কেন্দ্রের একজন নির্বাচনি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, তিন ঘণ্টায় এই কেন্দ্রের মোট ভোটারের প্রায় ৪৫ শতাংশই ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভূতত্ত্ব বিভাগ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই এখানে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। তবে দুপুর ১২টা নাগাদ এখানে উলটো লাইন ছোট হতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ ভোটার প্রথমার্ধেই ভোট দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা একজন পোলিং অফিসারকে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কার্জন হল ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দিলে সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ডাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোলিং অফিসারের একজন ভোটারকে দুটি ব্যালট পেপার দেওয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। সেটি পোলিং অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পেরেছেন। তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন তাকে অব্যাহতি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোর সামনে ছিল ভোটারের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চাপ আরও বাড়ছে।
এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনে অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার খবর মেলেনি। তবে প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্রে কিছু অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটাররাও কিছুটা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন।
ভোটাররা বলছেন, অনেক ভোটারই লাইনে না দাঁড়িয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন, সেভাবেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকছে। ফলে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের লাইন নিয়ে কিছুটা এলোমেলো ভাব দেখা যাচ্ছে।
শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিফাত হাসান তুরান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, প্রশাসনের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। লাইন ছেড়ে কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
এসব বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করলে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয় ও ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। ছাত্রদলের প্রতি ঢাবি প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও।
ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি, এর সঙ্গে হল সংসদে আরও ১৩টি— সব মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান ভোট উৎসবে একেকজন ভোটারকে দিতে হচ্ছে ৪১টি করে ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যেই তারা গোটা ভোট প্রদান প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছেন অমর একুশে হল সংসদের স্বতন্ত্র সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী উবায়দুর রহমান হাসিব। চিকিৎসার জন্য তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
উবায়দুর রহমান হাসিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হল সংসদ নির্বাচনে অমর একুশে হলের এজিএস প্রার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র গরমে তিনি অচেতন হয়ে পড়েছেন।
কেউ নোংরামি করলে তার সঙ্গে নোংরামি করে প্রতিবাদ জানাতে চান না বলে জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের টিএসসি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদে এ কথা বলেন তিনি।
আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে অসংখ্য প্রোপাগান্ডার শিকার করা হয়েছে। আমাদের নিয়ে যদি কেউ নোংরামি করে, তার সঙ্গে নোংরামি করে প্রতিবাদ জানাতে চাই না। আমরা সত্য ও সৌন্দর্য দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাই।
আবিদ বলেন, আপনারা দেখেছেন, বারবার সব জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েদের আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্বাচনকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রোল মডেলে রূপান্তরিত করতে চাই।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আবিদ বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। প্রথম যে নিউজ করা হয়েছিল, সেটি আমাকে দেখানো হয়েছে, যা আসলে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই তাকে ভোট দিতে নিয়ে গেছেন জানিয়ে আবুদ বলেন, তিনি আমাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গেছেন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আমাকে প্রদর্শন করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থীরা এমনটি দেখার অধিকার রাখে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। অভিযোগ করলে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু আজ কোনো অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট উৎসবে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
ডাকসুর কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিএসসি ভোটকেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আবিদ বলেন, অনবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানে যে অবস্থায় আছেন, দ্রুত চলে আসেন। এই উৎসবে আপনারা যুক্ত হয়ে আপনাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করুন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ফরহাদ সেখানে গিয়েছিলেন। ঢুকতে না পেরে সেখান থেকে ফিরে যান তিনি।
ঢাবির সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থী যে কেন্দ্রের ভোটার, শুধু সেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। অন্য কোনো কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ নেই।
পরে এস এম ফরহাদও সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা নিয়ম তা মানতে হবে।’ বলেই সেখান থেকে চলে যান তিনি।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আটটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটির সামনেই রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভোটারের উপস্থিতি।
ভোট দিচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা, ভোট দিতে আসছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। ভাদ্র মাসের তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন সবাই।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় একযোগে আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটের দুই ঘণ্টা এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভোট নিয়ে কোনো কেন্দ্র থেকেই অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর মেলেনি। কোনো প্রার্থী বা ভোটার ভোট দেওয়া নিয়ে কোনো জটিলতার খবর জানাননি।
এর মধ্যে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ তুলেছিলেন, ছাত্রদল ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। বলেছেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আগে যারা যুক্ত ছিল, তারাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নাছির। এ সময় তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি শুভ সূচনা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন।
ভোটের দিন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ছাত্রদল আচরণবিধি ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ডাকসু নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিযোগের কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্রদলের কয়েকজনকে আমরা দেখেছি ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে গিয়ে ভোটারদের কাছে স্লিপ দিয়েছে। এটি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তাছাড়া কেন্দ্রের সামনে ডেস্ক বসাতে নিষেধ করা হয়েছিল। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা ডেস্কও বসাতে দেখেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভোটের দিন ভোরে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জুলাই আন্দোলনের বিজয়ের দিন ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করেছেন।
আবিদ লিখেছেন, ‘জীবনের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলছি— আমাদের ছেড়ে যাবেন না, যেভাবে ছেড়ে যাইনি ৫ আগস্টে। প্রিয় বাংলাদেশ! আমাদের দু’আতে রাখুন।’
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই নির্বাচনের নির্ধারিত আটটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটির সামনেই জড়ো হয়েছেন বিপুল পরিমাণ ভোটার। বাধাহীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় এসব কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটারদের কেন্দ্রের সামনে লাইনে এসে দাঁড়াতে দেখা গেছে সকাল ৭টার পর থেকেই।
ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় সাংবাদিকদের সামনে ফাঁকা ব্যালট বাক্স সিলগালা করেন প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারদের বুথে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পোলিং এজেন্ট নিযুক্ত করা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উমামা অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি তালিকা জমা দিলেও চূড়ান্ত তালিকায় তিনি গরমিল পেয়েছেন।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হলো। এবার কেবলই ভোটারদের বেছে নেওয়ার পালা তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আলোচিত এ নির্বাচনে ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ১২টি সম্পাদকীয় পদের পাশাপাশি ১৩টি সদস্যসহ মোট ২৮টি পদে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন ভোটাররা। অন্যদিকে হল সংসদে পদের সংখ্যা ১৩। এ নির্বাচনের ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোট দিয়ে এই ৪১টি পদে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট শুরু হতে যাচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরই— সকাল ৮টায়। ছয় বছরের বিরতিতে ফিরে আসা এ নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এরই মধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে ভোটারদের।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশকিছু ভোটার সকাল ৭টার পরপরই ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছেন।
ভোটাররা বলছেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতেই এত সকাল সকাল চলে এসেছেন তারা।