ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা চিনি বিশ্বকবি হিসেবে, গীতাঞ্জলির রচয়িতা হিসেবে, শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। কিন্তু এই মহান ব্যক্তিত্বের আরেকটি দিক আছে- সেটা তাঁর অসাধারণ রসবোধ। কবি যেমন গভীর চিন্তায় ডুব দিতে পারতেন, তেমনি মুহূর্তেই হাসির ঝরনা বয়ে দিতে পারতেন চারপাশে।
একবার বিশ্বভারতীতে পড়তে আসেন সাহিত্যিক 'বনফুল' নামে খ্যাত বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছোট ভাই অরবিন্দ। শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই তিনি শুনলেন রবীন্দ্রনাথের কানে শোনার ক্ষমতা কিছুটা কম। তাই কবির সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি প্রস্তুত হলেন জোরে কথা বলার জন্য।
যখন অরবিন্দ রবীন্দ্রনাথের সামনে হাজির হলেন, কবি তাকে দেখেই বললেন, "কী হে, তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?" ভাবখানা এমন যে কবি তাঁকে বনফুলের আরেক ভাই কানাইয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।
অরবিন্দ তখন কানে কম শোনার কথা মনে করে চেঁচিয়ে বললেন, "আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।"
রবীন্দ্রনাথ মুহূর্তেই জবাব দিলেন, "না কানাই নয়, এ যে দেখছি একেবারে শানাই!"
এই মজার উত্তর শুনে সেখানে উপস্থিত সবাই হেসে লুটোপুটি খেয়ে পড়েছিলেন। কবির এই চটজলদি মন্তব্যে 'কানাই' থেকে 'শানাই' হয়ে যাওয়ার খেলায় ফুটে উঠেছিল তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং সাবলীল রসবোধ।
রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের হাস্যরসাত্মক মন্তব্য অসংখ্য। তিনি কখনও কাউকে বিব্রত করতেন না, বরং এমন সহজ-সরলভাবে রসিকতা করতেন যে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠত। তাঁর কথার মধ্যে থাকত না কোনো কৃত্রিমতা বা জোর করা মজা। স্বাভাবিক কথোপকথনের মধ্যেই তিনি অনর্গল বের করে দিতেন হাসির খোরাক।
এ ঘটনায় দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ কত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। অরবিন্দের জোরে কথা বলা দেখে তিনি বুঝে নিয়েছিলেন তাকে কানে কম শোনা মানুষ মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বদলে তিনি এটিকে হাসির উপলক্ষ্য বানিয়ে ফেললেন। 'কানাই' থেকে 'শানাই' - এই শব্দখেলায় কবির মেধা এবং রসবোধের সমন্বয় ঘটেছে অনন্যভাবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা চিনি বিশ্বকবি হিসেবে, গীতাঞ্জলির রচয়িতা হিসেবে, শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। কিন্তু এই মহান ব্যক্তিত্বের আরেকটি দিক আছে- সেটা তাঁর অসাধারণ রসবোধ। কবি যেমন গভীর চিন্তায় ডুব দিতে পারতেন, তেমনি মুহূর্তেই হাসির ঝরনা বয়ে দিতে পারতেন চারপাশে।
একবার বিশ্বভারতীতে পড়তে আসেন সাহিত্যিক 'বনফুল' নামে খ্যাত বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছোট ভাই অরবিন্দ। শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই তিনি শুনলেন রবীন্দ্রনাথের কানে শোনার ক্ষমতা কিছুটা কম। তাই কবির সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি প্রস্তুত হলেন জোরে কথা বলার জন্য।
যখন অরবিন্দ রবীন্দ্রনাথের সামনে হাজির হলেন, কবি তাকে দেখেই বললেন, "কী হে, তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?" ভাবখানা এমন যে কবি তাঁকে বনফুলের আরেক ভাই কানাইয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।
অরবিন্দ তখন কানে কম শোনার কথা মনে করে চেঁচিয়ে বললেন, "আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।"
রবীন্দ্রনাথ মুহূর্তেই জবাব দিলেন, "না কানাই নয়, এ যে দেখছি একেবারে শানাই!"
এই মজার উত্তর শুনে সেখানে উপস্থিত সবাই হেসে লুটোপুটি খেয়ে পড়েছিলেন। কবির এই চটজলদি মন্তব্যে 'কানাই' থেকে 'শানাই' হয়ে যাওয়ার খেলায় ফুটে উঠেছিল তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং সাবলীল রসবোধ।
রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের হাস্যরসাত্মক মন্তব্য অসংখ্য। তিনি কখনও কাউকে বিব্রত করতেন না, বরং এমন সহজ-সরলভাবে রসিকতা করতেন যে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠত। তাঁর কথার মধ্যে থাকত না কোনো কৃত্রিমতা বা জোর করা মজা। স্বাভাবিক কথোপকথনের মধ্যেই তিনি অনর্গল বের করে দিতেন হাসির খোরাক।
এ ঘটনায় দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ কত দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। অরবিন্দের জোরে কথা বলা দেখে তিনি বুঝে নিয়েছিলেন তাকে কানে কম শোনা মানুষ মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বদলে তিনি এটিকে হাসির উপলক্ষ্য বানিয়ে ফেললেন। 'কানাই' থেকে 'শানাই' - এই শব্দখেলায় কবির মেধা এবং রসবোধের সমন্বয় ঘটেছে অনন্যভাবে।
পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা গুণী এই গীতিকবি। গানগুলো হচ্ছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।
১৩ দিন আগেচলচ্চিত্র ছেড়ে দেবো করতে করতেই পাহাড়ি সান্যালের হাত ধরে অভিনয় করেন ‘বসু পরিবার’ ছবিতে। ১৯৫২ সালের সে ছবিটি বেশ নজর কাড়ে অনেকের। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। সুচিত্রা সেনের বিপরীতে উত্তমের এই ছবিটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার! উত্তম কুমারের চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠারও সূচনা তার সঙ্গে।
১৪ দিন আগেআগুন মানুষের জীবনে যেমন আশীর্বাদ, তেমনি কখনও কখনও হয়ে ওঠে অভিশাপ। রান্না, আলো বা উষ্ণতা—এসবের জন্য আগুন অপরিহার্য। কিন্তু সামান্য অসাবধানতা আগুনকে পরিণত করতে পারে ভয়ংকর বিপর্যয়ে। রান্নাঘরে চুলার গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণ, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, কিংবা শিল্পকারখানার দুর্ঘটনা—এমন অসংখ্য ঘটনায় মানুষ দগ্ধ হ
১৬ দিন আগেশুধু শক্তি যোগ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, খেজুরের ভেতর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। গর্ভাবস্থায় পেটের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১৬ দিন আগে