ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ফলের জগতে ডালিম এক রহস্যময় রত্ন। রক্তিম দানাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। আমাদের দেশে ডালিমকে অনেকেই ফলের রাজা বা রক্তবর্ধক ফল বলে থাকেন। কিন্তু এই ফল যে শুধু রক্তশূন্যতার প্রতিকারেই কাজ করে, তা নয়—এই ফলের প্রতিটি দানায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা আমাদের শরীরকে বহু ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা দেশের বিজ্ঞানীরা ডালিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন, এবং তাঁরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন—ডালিম শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, অনেকাংশে তা একটি "সুপারফুড"।
ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়া এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের পলিফেনলস, যেমন punicalagin (পিউনিকালাজিন) এবং ellagic acid (এল্যাজিক অ্যাসিড), যেগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এই সব উপাদান শরীরের কোষকে সুস্থ রাখতে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে। ডালিমের রস আমাদের রক্তনালিকে সজীব রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ‘নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পপুলেশন হেলথ’-এর পুষ্টিবিদ ড. নিকোলাস ব্ল্যাকবার্ন এক গবেষণায় বলেন, “আমরা দেখেছি, যারা নিয়মিত ডালিমের রস পান করেন, তাঁদের রক্তে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে এবং রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি হৃদরোগের জন্য একটি ভালো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হতে পারে।” তাঁর মতে, দিনে এক গ্লাস ডালিমের রস অনেকাংশে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করতে পারে।
ডালিমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. লরা হার্ডি বলেন, “ডালিমে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং পলিফেনল অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে হজম শক্তি বাড়ে, এবং দীর্ঘমেয়াদি বদহজম, গ্যাস বা অম্বলের মতো সমস্যা অনেকটা কমে যায়।”
ডালিম এমন এক ফল, যা শরীরে প্রদাহ কমায়। প্রদাহ হলো বহু রোগের গোড়া—ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস এমনকি কিছু ক্যানসারও প্রদাহ থেকেই শুরু হয়। ডালিমে থাকা punicalagin নামক উপাদানটি এই প্রদাহ হ্রাস করতে কার্যকর বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ড. হান্না কুপার। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখেছি, ডালিমের নির্যাস প্রদাহ সংক্রান্ত এনজাইমগুলোকে সক্রিয়ভাবে দমন করে।”
এছাড়া ডালিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। একটি মাঝারি আকৃতির ডালিমে প্রায় ৩০% দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হতে পারে। ভিটামিন সি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত ডালিম খান বা রস পান করেন, তাঁদের ত্বক তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত হয় বলে মত দিয়েছেন ইউরোপিয়ান ডার্মাটোলজি সোসাইটির স্কিন অ্যান্ড নিউট্রিশন গবেষক ড. ফ্রাঞ্জিস্কা হ্যামার।
ডালিমের বীজে রয়েছে punicic acid, এক ধরনের উপকারী চর্বি যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। ২০২১ সালে প্রকাশিত এক জার্মান গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ডালিম খেয়ে থাকেন, তবে তাঁদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ডালিম নারীদের প্রজননস্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলে বলেও মত দিয়েছেন লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মার্থা এলিংটন। তিনি বলেন, “ডালিমে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হরমোন-সাম্য রক্ষাকারী উপাদান নারীদের ঋতুচক্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটি ডিম্বাণুর গুণগত মান বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।”
তবে সব ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু সতর্কতাও প্রয়োজন। যাদের হজমজনিত সমস্যা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদের ডালিম বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে থাকা ট্যানিন কখনো কখনো অম্বলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া, যাঁরা রক্ত তরল রাখার ওষুধ (blood thinners) খাচ্ছেন, তাঁদের ডালিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ডালিম শুধু খাওয়ার জন্য নয়, রূপচর্চাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীন মিশরীয়রা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে ডালিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতেন। আজও অনেকে এই উপায়ে ঘরোয়া স্ক্রাব হিসেবে ডালিমের খোসা ব্যবহার করেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ডালিম একটি উপকারী, পুষ্টিকর এবং রোগপ্রতিরোধী ফল। এটি শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মনের প্রশান্তিও এনে দেয়। গবেষকরা একে ‘nature’s pharmacy’ বা প্রকৃতির ফার্মেসি বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
একটি ছোট লাল দানার মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই রত্ন শুধু একটি ফল নয়—এ যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার। নিয়মিত ও পরিমিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর যেমন ভালো থাকবে, তেমনি রোগও থাকবে দূরে।
ফলের জগতে ডালিম এক রহস্যময় রত্ন। রক্তিম দানাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। আমাদের দেশে ডালিমকে অনেকেই ফলের রাজা বা রক্তবর্ধক ফল বলে থাকেন। কিন্তু এই ফল যে শুধু রক্তশূন্যতার প্রতিকারেই কাজ করে, তা নয়—এই ফলের প্রতিটি দানায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা আমাদের শরীরকে বহু ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা দেশের বিজ্ঞানীরা ডালিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন, এবং তাঁরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন—ডালিম শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, অনেকাংশে তা একটি "সুপারফুড"।
ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়া এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের পলিফেনলস, যেমন punicalagin (পিউনিকালাজিন) এবং ellagic acid (এল্যাজিক অ্যাসিড), যেগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এই সব উপাদান শরীরের কোষকে সুস্থ রাখতে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে। ডালিমের রস আমাদের রক্তনালিকে সজীব রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ‘নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পপুলেশন হেলথ’-এর পুষ্টিবিদ ড. নিকোলাস ব্ল্যাকবার্ন এক গবেষণায় বলেন, “আমরা দেখেছি, যারা নিয়মিত ডালিমের রস পান করেন, তাঁদের রক্তে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে এবং রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি হৃদরোগের জন্য একটি ভালো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হতে পারে।” তাঁর মতে, দিনে এক গ্লাস ডালিমের রস অনেকাংশে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করতে পারে।
ডালিমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. লরা হার্ডি বলেন, “ডালিমে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং পলিফেনল অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে হজম শক্তি বাড়ে, এবং দীর্ঘমেয়াদি বদহজম, গ্যাস বা অম্বলের মতো সমস্যা অনেকটা কমে যায়।”
ডালিম এমন এক ফল, যা শরীরে প্রদাহ কমায়। প্রদাহ হলো বহু রোগের গোড়া—ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস এমনকি কিছু ক্যানসারও প্রদাহ থেকেই শুরু হয়। ডালিমে থাকা punicalagin নামক উপাদানটি এই প্রদাহ হ্রাস করতে কার্যকর বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ড. হান্না কুপার। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখেছি, ডালিমের নির্যাস প্রদাহ সংক্রান্ত এনজাইমগুলোকে সক্রিয়ভাবে দমন করে।”
এছাড়া ডালিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। একটি মাঝারি আকৃতির ডালিমে প্রায় ৩০% দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হতে পারে। ভিটামিন সি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত ডালিম খান বা রস পান করেন, তাঁদের ত্বক তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত হয় বলে মত দিয়েছেন ইউরোপিয়ান ডার্মাটোলজি সোসাইটির স্কিন অ্যান্ড নিউট্রিশন গবেষক ড. ফ্রাঞ্জিস্কা হ্যামার।
ডালিমের বীজে রয়েছে punicic acid, এক ধরনের উপকারী চর্বি যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। ২০২১ সালে প্রকাশিত এক জার্মান গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ডালিম খেয়ে থাকেন, তবে তাঁদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ডালিম নারীদের প্রজননস্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলে বলেও মত দিয়েছেন লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মার্থা এলিংটন। তিনি বলেন, “ডালিমে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হরমোন-সাম্য রক্ষাকারী উপাদান নারীদের ঋতুচক্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটি ডিম্বাণুর গুণগত মান বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।”
তবে সব ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু সতর্কতাও প্রয়োজন। যাদের হজমজনিত সমস্যা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদের ডালিম বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে থাকা ট্যানিন কখনো কখনো অম্বলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া, যাঁরা রক্ত তরল রাখার ওষুধ (blood thinners) খাচ্ছেন, তাঁদের ডালিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ডালিম শুধু খাওয়ার জন্য নয়, রূপচর্চাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীন মিশরীয়রা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে ডালিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতেন। আজও অনেকে এই উপায়ে ঘরোয়া স্ক্রাব হিসেবে ডালিমের খোসা ব্যবহার করেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ডালিম একটি উপকারী, পুষ্টিকর এবং রোগপ্রতিরোধী ফল। এটি শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মনের প্রশান্তিও এনে দেয়। গবেষকরা একে ‘nature’s pharmacy’ বা প্রকৃতির ফার্মেসি বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
একটি ছোট লাল দানার মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই রত্ন শুধু একটি ফল নয়—এ যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার। নিয়মিত ও পরিমিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর যেমন ভালো থাকবে, তেমনি রোগও থাকবে দূরে।
গালওয়ান উপত্যকা ভারতের লাদাখ অঞ্চলে অবস্থিত। এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে গালওয়ান নদী, যার উৎপত্তি আকসাই চিন থেকে। এই অঞ্চল নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বহু দশক ধরেই সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
২ দিন আগেপ্লেগ—এই একটি শব্দই ইতিহাসের পাতায় রক্তাক্ত করে রেখেছে পৃথিবীর বহু দেশের নাম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ভয়ানক রোগ বারবার ফিরে এসে কেড়ে নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ।
২ দিন আগেএই ক্যান্সারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক তথ্য পেয়েছেন, আবার অনেক রহস্য আজও অমীমাংসিত। তবে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে ব্ল্যাড ক্যান্সারের সরাসরি বা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরা হয়।
২ দিন আগেঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। রবিবার (১৩ জুলাই) তিনি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১০ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
২ দিন আগে