ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত রক্ত তৈরি হচ্ছে। হাড়ের ভেতরে থাকা "বোন ম্যারো" বা অস্থিমজ্জা রক্তের লাল কণিকা, সাদা কণিকা ও প্লাজমা কোষ তৈরি করে। এসব কোষের জন্ম, বৃদ্ধি ও মৃত্যুর একটি স্বাভাবিক ছন্দ থাকে। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে—অর্থাৎ কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে গজাতে শুরু করে, মরে না, কিংবা ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়—তখনই ব্ল্যাড ক্যান্সার বা রক্ত ক্যান্সারের জন্ম হয়। সহজ ভাষায় বললে, রক্ত তৈরির প্রক্রিয়ায় গন্ডগোল হলেই ব্ল্যাড ক্যান্সার হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। ব্ল্যাড ক্যান্সারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মাইলোমা। লিউকেমিয়া মূলত হাড়ের অস্থিমজ্জার সাদা কণিকার ক্যান্সার। লিম্ফোমা হয় "লিম্ফ সিস্টেম" নামের একধরনের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থায়। আর মাইলোমা হয় প্লাজমা কোষে, যেগুলো অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
এই ক্যান্সারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক তথ্য পেয়েছেন, আবার অনেক রহস্য আজও অমীমাংসিত। তবে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে ব্ল্যাড ক্যান্সারের সরাসরি বা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বংশগত জিনগত সমস্যা, তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসা, কিছু ভাইরাল সংক্রমণ, দীর্ঘদিন ধরে কিছু রাসায়নিক পদার্থের (যেমন: বেনজিন) সংস্পর্শে থাকা, এবং ধূমপান বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। এছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও ব্ল্যাড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর সিনিয়র রিসার্চার ড. লুইস ফার্নান্দো গার্সিয়া বলেন, “রক্তের কোষ তৈরির সময় যদি ডিএনএ-তে ক্ষতি হয়, তখন কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে। ঠিক তখনই শুরু হয় ব্ল্যাড ক্যান্সার।” তাঁর মতে, এই ক্ষতি হতে পারে জন্মসূত্রে পাওয়া জিনগত ত্রুটির কারণে, আবার হতে পারে বাইরের পরিবেশের কারণে।
এমনকি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্ট্রেসের কারণে ব্ল্যাড ক্যান্সারের হার বেড়ে চলেছে বলে জানান যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন”-এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. জেনিফার হ্যারিস। তাঁর মতে, “আমরা যে খাবার খাই, তার মধ্যে থাকা কীটনাশক, প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক উপাদান সরাসরি রক্তের কোষকে প্রভাবিত করতে পারে।”
ব্ল্যাড ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় খুব বেশি লক্ষণ দেখায় না। অনেক সময় সাধারণ ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, শরীরে নীলচে ছোপ, গায়ে ব্যথা, জ্বর কিংবা ইনফেকশনই হয় প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এই রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। আর তাতেই বিপদ বাড়ে। চিকিৎসায় দেরি হলেই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।
প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই যা ব্ল্যাড ক্যান্সার একেবারে ঠেকিয়ে রাখতে পারে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনযাপন পদ্ধতি ও সচেতনতা এই ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে।
প্রথমত, ধূমপান বন্ধ করা এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি। ধূমপানে থাকা রাসায়নিক পদার্থ (যেমন: বেনজিন) রক্তের কোষের ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। দ্বিতীয়ত, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত, বিশেষ করে যাদের পরিবারে আগে ব্ল্যাড ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে। তৃতীয়ত, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস যেমন—তাজা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক ড. এমিলি রোজ বলেন, “জীবনযাপনই এখন ক্যান্সার প্রতিরোধের মূল অস্ত্র। যত বেশি আমরা প্রাকৃতিক খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকব, তত বেশি আমরা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হব।”
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানসিক স্বাস্থ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। এজন্য নিয়মিত ধ্যান, মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
অনেক সময় আমরা রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত না হয়ে প্রতিদিন এগুলোর সংস্পর্শে থাকি—যেমন: কীটনাশক, রং, তেল, সলভেন্ট জাতীয় দ্রব্য। যাঁরা এসব পেশায় যুক্ত, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে—হাত গ্লাভস দিয়ে ঢেকে রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।
সবশেষে বলা যায়, ব্ল্যাড ক্যান্সার একটি জটিল ও ভয়ংকর রোগ হলেও সচেতনতা ও নিয়মিত জীবনাচরণ অনেকাংশেই এর ঝুঁকি কমাতে পারে। ভবিষ্যৎ চিকিৎসা আরও উন্নত হবে, জিন থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির মতো নতুন পদ্ধতির গবেষণা ইতোমধ্যে সফলতার মুখ দেখেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি দরকার, ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বিশেষজ্ঞ ড. হ্যারিসের কথায়, “আমরা যদি প্রতিদিনের ছোট অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগ দিই—যেমন: পরিচ্ছন্নতা, খাদ্য, ঘুম, ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তি—তাহলে বহু রোগের মতো ব্ল্যাড ক্যান্সারও আমাদের থেকে দূরে থাকবে।”
এই রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে দরকার স্বাস্থ্য সচেতন মনোভাব, সময়মতো চিকিৎসা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন পদ্ধতি। কারণ, জীবন যতটা জটিল, ততটাই মূল্যবান। যত্ন না নিলে রোগ এসে ভর করে, ভালোবাসলে জীবন আপনাকে সুস্থ রাখে।
আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত রক্ত তৈরি হচ্ছে। হাড়ের ভেতরে থাকা "বোন ম্যারো" বা অস্থিমজ্জা রক্তের লাল কণিকা, সাদা কণিকা ও প্লাজমা কোষ তৈরি করে। এসব কোষের জন্ম, বৃদ্ধি ও মৃত্যুর একটি স্বাভাবিক ছন্দ থাকে। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে—অর্থাৎ কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে গজাতে শুরু করে, মরে না, কিংবা ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়—তখনই ব্ল্যাড ক্যান্সার বা রক্ত ক্যান্সারের জন্ম হয়। সহজ ভাষায় বললে, রক্ত তৈরির প্রক্রিয়ায় গন্ডগোল হলেই ব্ল্যাড ক্যান্সার হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। ব্ল্যাড ক্যান্সারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মাইলোমা। লিউকেমিয়া মূলত হাড়ের অস্থিমজ্জার সাদা কণিকার ক্যান্সার। লিম্ফোমা হয় "লিম্ফ সিস্টেম" নামের একধরনের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থায়। আর মাইলোমা হয় প্লাজমা কোষে, যেগুলো অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
এই ক্যান্সারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক তথ্য পেয়েছেন, আবার অনেক রহস্য আজও অমীমাংসিত। তবে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে ব্ল্যাড ক্যান্সারের সরাসরি বা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বংশগত জিনগত সমস্যা, তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসা, কিছু ভাইরাল সংক্রমণ, দীর্ঘদিন ধরে কিছু রাসায়নিক পদার্থের (যেমন: বেনজিন) সংস্পর্শে থাকা, এবং ধূমপান বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। এছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও ব্ল্যাড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর সিনিয়র রিসার্চার ড. লুইস ফার্নান্দো গার্সিয়া বলেন, “রক্তের কোষ তৈরির সময় যদি ডিএনএ-তে ক্ষতি হয়, তখন কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে। ঠিক তখনই শুরু হয় ব্ল্যাড ক্যান্সার।” তাঁর মতে, এই ক্ষতি হতে পারে জন্মসূত্রে পাওয়া জিনগত ত্রুটির কারণে, আবার হতে পারে বাইরের পরিবেশের কারণে।
এমনকি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্ট্রেসের কারণে ব্ল্যাড ক্যান্সারের হার বেড়ে চলেছে বলে জানান যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন”-এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ড. জেনিফার হ্যারিস। তাঁর মতে, “আমরা যে খাবার খাই, তার মধ্যে থাকা কীটনাশক, প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক উপাদান সরাসরি রক্তের কোষকে প্রভাবিত করতে পারে।”
ব্ল্যাড ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় খুব বেশি লক্ষণ দেখায় না। অনেক সময় সাধারণ ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, শরীরে নীলচে ছোপ, গায়ে ব্যথা, জ্বর কিংবা ইনফেকশনই হয় প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এই রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। আর তাতেই বিপদ বাড়ে। চিকিৎসায় দেরি হলেই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।
প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই যা ব্ল্যাড ক্যান্সার একেবারে ঠেকিয়ে রাখতে পারে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনযাপন পদ্ধতি ও সচেতনতা এই ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে।
প্রথমত, ধূমপান বন্ধ করা এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি। ধূমপানে থাকা রাসায়নিক পদার্থ (যেমন: বেনজিন) রক্তের কোষের ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। দ্বিতীয়ত, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত, বিশেষ করে যাদের পরিবারে আগে ব্ল্যাড ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে। তৃতীয়ত, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস যেমন—তাজা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক ড. এমিলি রোজ বলেন, “জীবনযাপনই এখন ক্যান্সার প্রতিরোধের মূল অস্ত্র। যত বেশি আমরা প্রাকৃতিক খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকব, তত বেশি আমরা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হব।”
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানসিক স্বাস্থ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। এজন্য নিয়মিত ধ্যান, মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
অনেক সময় আমরা রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত না হয়ে প্রতিদিন এগুলোর সংস্পর্শে থাকি—যেমন: কীটনাশক, রং, তেল, সলভেন্ট জাতীয় দ্রব্য। যাঁরা এসব পেশায় যুক্ত, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে—হাত গ্লাভস দিয়ে ঢেকে রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।
সবশেষে বলা যায়, ব্ল্যাড ক্যান্সার একটি জটিল ও ভয়ংকর রোগ হলেও সচেতনতা ও নিয়মিত জীবনাচরণ অনেকাংশেই এর ঝুঁকি কমাতে পারে। ভবিষ্যৎ চিকিৎসা আরও উন্নত হবে, জিন থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির মতো নতুন পদ্ধতির গবেষণা ইতোমধ্যে সফলতার মুখ দেখেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি দরকার, ব্যক্তি ও সামাজিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বিশেষজ্ঞ ড. হ্যারিসের কথায়, “আমরা যদি প্রতিদিনের ছোট অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগ দিই—যেমন: পরিচ্ছন্নতা, খাদ্য, ঘুম, ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তি—তাহলে বহু রোগের মতো ব্ল্যাড ক্যান্সারও আমাদের থেকে দূরে থাকবে।”
এই রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে দরকার স্বাস্থ্য সচেতন মনোভাব, সময়মতো চিকিৎসা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন পদ্ধতি। কারণ, জীবন যতটা জটিল, ততটাই মূল্যবান। যত্ন না নিলে রোগ এসে ভর করে, ভালোবাসলে জীবন আপনাকে সুস্থ রাখে।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। রবিবার (১৩ জুলাই) তিনি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১০ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্যে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। আর কিডনি ফেলিওর বা সম্পূর্ণ কিডনি অকেজো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে অজান্তে চলা কিছু রোগ ও ভুল জীবনযাপন পদ্ধতি।
১ দিন আগেআইনস্টাইন ছিলেন ইহুদি। নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইহুদি পরিচয় নিয়েও তিনি ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন।
১ দিন আগে১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বহু বছর নীরবতায় ঢাকা ছিল সত্য। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে এই মামলার তদন্ত শুরু হলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে উঠে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রাইভেট সেক্রেটারি মহিতুল ইসলাম।
১ দিন আগে