অরুণাভ বিশ্বাস
বাংলা ভাষায় প্রায়শই শোনা যায় একটি লোকপ্রিয় প্রবাদ—**‘মগের মুল্লুক’।** এই কথাটির অর্থ সাধারণত এমন একটি অবস্থার বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে শাসন নেই, নিয়ম-নীতি নেই, আইন-কানুন নেই—যার যার ইচ্ছামতো চলছে। কিন্তু এই কথাটির পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, যেটা সরাসরি জড়িয়ে আছে একদল ভয়ংকর সমুদ্র ডাকাত এবং বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলবর্তী জনপদের মানুষের আতঙ্কের সঙ্গে।
‘মগ’ শব্দটি এসেছে মূলত আরাকান অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠী **রাখাইন** (Rakhine) সম্প্রদায়ের প্রাচীন নাম থেকে। ইতিহাসবিদদের মতে, ১৬শ শতকে এই জাতিগোষ্ঠীকে মগ নামে ডাকা হতো। তারা তখন আরাকান বা বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস করত এবং সেই সময় তারা ছিল একটি শক্তিশালী ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। আরাকান রাজারা নিজেদের স্বাধীন সত্তা বজায় রাখার জন্য বারবার নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছিল, এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল, বিশেষ করে বর্তমান চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চল, বারবার তাদের লুণ্ঠনের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছিল।
এই মগরা শুধু স্থলপথেই হামলা চালাত না, বরং ছিল দখলদার জলদস্যু। তারা ছোট ছোট নৌকায় (যাকে বলা হতো *বারগি* বা *কালা ডিঙ্গি*) চড়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীপথ ও বন্দরগুলোতে আক্রমণ চালাত। সেই সময় মগদের সঙ্গে যোগ দেয় পর্তুগিজ সমুদ্র ডাকাতরাও, যাঁরা মূলত ইউরোপ থেকে আসা অভিযাত্রী হলেও পরে লুট ও দাস ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এই মগ-পর্তুগিজ জোট এতটাই ভয়ংকর ছিল যে তারা পুরো উপকূলীয় অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রিচার্ড অ্যাটউড তাঁর গবেষণায় লেখেন, “মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুরা সেসময় একটি সংগঠিত বাহিনীর মতো কাজ করত। তারা শুধু লুট করত না, বরং বহু নারী-পুরুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত দাস হিসেবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণ সেই সময় ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাত, কারণ কখন কোথা থেকে মগের আক্রমণ হবে—তা কেউ জানত না।”
বলা হয়, এই ‘মগের মুল্লুক’ বলার পেছনে আছে মগদের নির্মমতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ক্ষমতা। যখন কোনো এলাকায় তারা আক্রমণ চালাত, তখন পুরো প্রশাসন অচল হয়ে যেত। স্থানীয় জমিদার, রাজা বা নবাবের সেনারা অনেক সময় তাদের প্রতিহত করতে পারত না। তখন সাধারণ মানুষ বলত, “এ যেন মগের মুল্লুক”—মানে এমন একটি এলাকা বা অবস্থা যেখানে কোনো শাসন নেই, শুধু দস্যুবৃত্তিই নিয়ম।
বিশেষত ১৫৮০ থেকে ১৬৬৬ সালের মধ্যে মগদের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি ছিল। এই সময় আরাকান রাজ্যের শক্তিশালী রাজা থিরি থুদাম্মা মগ-পর্তুগিজ বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের দখলদারিত্ব স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। এই সময় তারা কেবল বাণিজ্যকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করেনি, বরং মানুষ ধরে ধরে বিক্রি করত দাসবাজারে, বিশেষত বার্মা ও ম্যান্দলের দিকের বাজারগুলোতে।
ফরাসি পর্যটক ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার ১৬৬৫ সালের দিকে যখন ভারত সফরে আসেন, তখন তিনি তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তে উল্লেখ করেন যে, “চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো মগ জলদস্যুদের জন্য নিরাপদ নয়। তারা রাতের আঁধারে গ্রামে ঢুকে পড়ত, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিত, মানুষ ধরে নিয়ে যেত। সেসব মানুষকে বন্দি করে বিক্রি করা হতো অন্য দেশে।”
এই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে যখন মোগল সাম্রাজ্য পূর্বদিকে সম্প্রসারিত হয়। ১৬৬৬ সালে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খাঁ চট্টগ্রাে অভিযান পরিচালনা করেন এবং সফলভাবে মগদের বিতাড়িত করেন। এই অভিযানে আরাকানিদের স্থায়ী ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া হয় এবং চট্টগ্রামকে মোগল সাম্রাজ্যে যুক্ত করা হয়। মগদের এই পরাজয়ের পর উপকূলীয় অঞ্চলে কিছুটা স্থিতি ফিরে আসে। তবে তাদের ভয়াবহ ইতিহাস তখনো মানুষের স্মৃতিতে গাঁথা হয়ে রয়ে যায়।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষজ্ঞ ড. ফিলিপ জেনকিন্স বলেন, “মগ জলদস্যুরা ছিল এশিয়ার ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে সমুদ্র লুট, দাস ব্যবসা ও রাজনীতি একসঙ্গে মিশে গিয়েছিল।” তিনি বলেন, “তাদের প্রভাব শুধু উপকূলীয় বন্দরেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও বাণিজ্যেও ছিল বিশাল প্রভাব।”
যদিও আজকের দিনে মগ শব্দটি অনেক সময় বর্ণগত বিদ্বেষ বা জাতিগত অবজ্ঞা হিসেবেও ব্যবহার হয়, ইতিহাস থেকে জানা যায় এরা এক সময় ছিল পরাক্রমশালী ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জাতি। তারা ধর্মে বৌদ্ধ ছিল, সংস্কৃতিতে আরাকানি এবং মগ রাজারা নিজেদের নামে মুদ্রা চালু করত, সাহিত্য-সংস্কৃতিও ছিল সমৃদ্ধ। কিন্তু বাংলার ইতিহাসে তাদের যে অধ্যায়টি সবচেয়ে বেশি মনে রাখা হয়, তা হলো লুটপাট, দাস ব্যবসা এবং দস্যুতার ভয়াবহ সময়কাল।
আজকের রাখাইন জনগোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে, তারা এই মগদের উত্তরসূরি হলেও তারা অনেকটাই আলাদা পরিচয়ের ধারক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস বদলে গেছে, কিন্তু “মগের মুল্লুক” শব্দটি আজও টিকে আছে সেই বিশৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে—যেখানে নিয়ম-নীতির শাসন বিলুপ্ত হয়ে যায়, আর দস্যু ও শক্তিধরদের হাতে পড়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য।
সুতরাং, ‘মগের মুল্লুক’ শুধু একটি প্রবাদ নয়, এটি বাংলার এক দুঃসহ ইতিহাসের রক্তাক্ত প্রতিচ্ছবি। ইতিহাস যতই পুরনো হোক না কেন, এর শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে—যখনই আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, শাসকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কেমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে, তার সাক্ষী হয়ে থাকে এই শব্দটি।
বাংলা ভাষায় প্রায়শই শোনা যায় একটি লোকপ্রিয় প্রবাদ—**‘মগের মুল্লুক’।** এই কথাটির অর্থ সাধারণত এমন একটি অবস্থার বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে শাসন নেই, নিয়ম-নীতি নেই, আইন-কানুন নেই—যার যার ইচ্ছামতো চলছে। কিন্তু এই কথাটির পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, যেটা সরাসরি জড়িয়ে আছে একদল ভয়ংকর সমুদ্র ডাকাত এবং বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলবর্তী জনপদের মানুষের আতঙ্কের সঙ্গে।
‘মগ’ শব্দটি এসেছে মূলত আরাকান অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠী **রাখাইন** (Rakhine) সম্প্রদায়ের প্রাচীন নাম থেকে। ইতিহাসবিদদের মতে, ১৬শ শতকে এই জাতিগোষ্ঠীকে মগ নামে ডাকা হতো। তারা তখন আরাকান বা বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস করত এবং সেই সময় তারা ছিল একটি শক্তিশালী ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। আরাকান রাজারা নিজেদের স্বাধীন সত্তা বজায় রাখার জন্য বারবার নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছিল, এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল, বিশেষ করে বর্তমান চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চল, বারবার তাদের লুণ্ঠনের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছিল।
এই মগরা শুধু স্থলপথেই হামলা চালাত না, বরং ছিল দখলদার জলদস্যু। তারা ছোট ছোট নৌকায় (যাকে বলা হতো *বারগি* বা *কালা ডিঙ্গি*) চড়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীপথ ও বন্দরগুলোতে আক্রমণ চালাত। সেই সময় মগদের সঙ্গে যোগ দেয় পর্তুগিজ সমুদ্র ডাকাতরাও, যাঁরা মূলত ইউরোপ থেকে আসা অভিযাত্রী হলেও পরে লুট ও দাস ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এই মগ-পর্তুগিজ জোট এতটাই ভয়ংকর ছিল যে তারা পুরো উপকূলীয় অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রিচার্ড অ্যাটউড তাঁর গবেষণায় লেখেন, “মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুরা সেসময় একটি সংগঠিত বাহিনীর মতো কাজ করত। তারা শুধু লুট করত না, বরং বহু নারী-পুরুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত দাস হিসেবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণ সেই সময় ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাত, কারণ কখন কোথা থেকে মগের আক্রমণ হবে—তা কেউ জানত না।”
বলা হয়, এই ‘মগের মুল্লুক’ বলার পেছনে আছে মগদের নির্মমতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ক্ষমতা। যখন কোনো এলাকায় তারা আক্রমণ চালাত, তখন পুরো প্রশাসন অচল হয়ে যেত। স্থানীয় জমিদার, রাজা বা নবাবের সেনারা অনেক সময় তাদের প্রতিহত করতে পারত না। তখন সাধারণ মানুষ বলত, “এ যেন মগের মুল্লুক”—মানে এমন একটি এলাকা বা অবস্থা যেখানে কোনো শাসন নেই, শুধু দস্যুবৃত্তিই নিয়ম।
বিশেষত ১৫৮০ থেকে ১৬৬৬ সালের মধ্যে মগদের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি ছিল। এই সময় আরাকান রাজ্যের শক্তিশালী রাজা থিরি থুদাম্মা মগ-পর্তুগিজ বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের দখলদারিত্ব স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। এই সময় তারা কেবল বাণিজ্যকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করেনি, বরং মানুষ ধরে ধরে বিক্রি করত দাসবাজারে, বিশেষত বার্মা ও ম্যান্দলের দিকের বাজারগুলোতে।
ফরাসি পর্যটক ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার ১৬৬৫ সালের দিকে যখন ভারত সফরে আসেন, তখন তিনি তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তে উল্লেখ করেন যে, “চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো মগ জলদস্যুদের জন্য নিরাপদ নয়। তারা রাতের আঁধারে গ্রামে ঢুকে পড়ত, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিত, মানুষ ধরে নিয়ে যেত। সেসব মানুষকে বন্দি করে বিক্রি করা হতো অন্য দেশে।”
এই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে যখন মোগল সাম্রাজ্য পূর্বদিকে সম্প্রসারিত হয়। ১৬৬৬ সালে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খাঁ চট্টগ্রাে অভিযান পরিচালনা করেন এবং সফলভাবে মগদের বিতাড়িত করেন। এই অভিযানে আরাকানিদের স্থায়ী ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া হয় এবং চট্টগ্রামকে মোগল সাম্রাজ্যে যুক্ত করা হয়। মগদের এই পরাজয়ের পর উপকূলীয় অঞ্চলে কিছুটা স্থিতি ফিরে আসে। তবে তাদের ভয়াবহ ইতিহাস তখনো মানুষের স্মৃতিতে গাঁথা হয়ে রয়ে যায়।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষজ্ঞ ড. ফিলিপ জেনকিন্স বলেন, “মগ জলদস্যুরা ছিল এশিয়ার ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে সমুদ্র লুট, দাস ব্যবসা ও রাজনীতি একসঙ্গে মিশে গিয়েছিল।” তিনি বলেন, “তাদের প্রভাব শুধু উপকূলীয় বন্দরেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও বাণিজ্যেও ছিল বিশাল প্রভাব।”
যদিও আজকের দিনে মগ শব্দটি অনেক সময় বর্ণগত বিদ্বেষ বা জাতিগত অবজ্ঞা হিসেবেও ব্যবহার হয়, ইতিহাস থেকে জানা যায় এরা এক সময় ছিল পরাক্রমশালী ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জাতি। তারা ধর্মে বৌদ্ধ ছিল, সংস্কৃতিতে আরাকানি এবং মগ রাজারা নিজেদের নামে মুদ্রা চালু করত, সাহিত্য-সংস্কৃতিও ছিল সমৃদ্ধ। কিন্তু বাংলার ইতিহাসে তাদের যে অধ্যায়টি সবচেয়ে বেশি মনে রাখা হয়, তা হলো লুটপাট, দাস ব্যবসা এবং দস্যুতার ভয়াবহ সময়কাল।
আজকের রাখাইন জনগোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে, তারা এই মগদের উত্তরসূরি হলেও তারা অনেকটাই আলাদা পরিচয়ের ধারক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস বদলে গেছে, কিন্তু “মগের মুল্লুক” শব্দটি আজও টিকে আছে সেই বিশৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে—যেখানে নিয়ম-নীতির শাসন বিলুপ্ত হয়ে যায়, আর দস্যু ও শক্তিধরদের হাতে পড়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য।
সুতরাং, ‘মগের মুল্লুক’ শুধু একটি প্রবাদ নয়, এটি বাংলার এক দুঃসহ ইতিহাসের রক্তাক্ত প্রতিচ্ছবি। ইতিহাস যতই পুরনো হোক না কেন, এর শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে—যখনই আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, শাসকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কেমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে, তার সাক্ষী হয়ে থাকে এই শব্দটি।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। রবিবার (১৩ জুলাই) তিনি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত ১০ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্যে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। আর কিডনি ফেলিওর বা সম্পূর্ণ কিডনি অকেজো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে অজান্তে চলা কিছু রোগ ও ভুল জীবনযাপন পদ্ধতি।
১ দিন আগেআইনস্টাইন ছিলেন ইহুদি। নাৎসি জার্মানি থেকে পালিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইহুদি পরিচয় নিয়েও তিনি ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন।
১ দিন আগে১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বহু বছর নীরবতায় ঢাকা ছিল সত্য। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে এই মামলার তদন্ত শুরু হলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে উঠে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রাইভেট সেক্রেটারি মহিতুল ইসলাম।
১ দিন আগে