মোহাম্মদ আলী খান
দুই পাহাড়ের মাঝে বরকতময় ভুবন মদিনা,
বহতা নদীর স্রোতধারার মতন সোনার মদিনা ঘিরে
রসুল (সা.) এর অপার ভালোবাসা,
এখানে স্বপ্নেরা কথা বলে
এখানে হৃদয় নিঃসৃত হাজারো বেদনা গুমরে গুমরে কাঁদে।
সবুজ গম্বুজ তলে সবুজ ঝালরে গোলকের মায়াবী নিশানা
ঢেউ তোলে বারবার মনের গহীনে,
মনে হয় মহাসাগরের উত্তাল তরঙ্গ মনের দিগন্তে
আছড়ে আছড়ে পড়ে;
আমি শুনি শান্তির অমিয় ধারার মধুর ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,
আমি শুনি ভরা জোছ্নার পেলবতামাখা এক সুরের মূর্ছনা,
রওজা মোবারকের কাছে যতই সালাম পৌঁছে দেই
বেড়ে যায় ততই পিপাসা,
রিয়াজুল জান্নাতের সবুজ জমিনে মাথা নত করি যতবার
মনে হয় যদি নিয়ে যেত এই শির শেষ দিবসের কিনারায়।
মসজিদে নববীতে শত সহস্র কণ্ঠের আবেগ মথিত উচ্চারণ, ‘আমিন’, ‘আমিন’ ...
বাতাসের বেগে ছুটে চলে অন্তহীন পথের মায়ায়
ভেঙ্গে যায় পাপী তাপীর মনের জগদ্দল পাথরের দুর্বিনীত স্তূপ,
শান্তির দুরন্ত ঝর্ণা কলকল ছলছল রবে ধূয়ে মুছে নিয়ে যায়
ছিল যা কালিমা, ছায়া মায়া।
দিবা রাত্রি চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজের মায়াময় আহ্বান,
আযানের সুমধুর ধ্বনি, আধঘুম চোখে তাহাজ্জোদের নামাজে শরীক হওয়া
বর্ণে বর্ণে শব্দে শব্দে গেঁথে যায় অন্তরের শুভ্র সুন্দর কাগজে।
সোনার মদিনা কাছে ডাকে বারে বারে
কত কথা শুনায় আবেগে•••
কুবা মসজিদে নামাজের ডাক, দুই কিবলার মসজিদে ক্ষণিকের অবসর,
ওহুদ প্রান্তরে শহিদের কবর জিয়ারত, গুহার গভীরে বেদনার ছাপ,
খন্দকের পথরেখা ঘিরে শৈল্পিক ব্যঞ্ছনা;
বীরে ওসমান, বীরে শেফা, বিল এ ঘারসে তিতা পানি থেকে মিষ্টি পানি
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল চত্বর,
কোরবানির পশুর হাটে উটের জাবর কাটা অপরাহ্ন,
লোহিত কণায় লেপ্টে থাকা বদর যুদ্ধের ইতিহাস খ্যাত রণাঙ্গন-
বীর শহিদদের কবরস্থান;
জালালী কবুতরের অহর্নিশ ডানা ঝাপটানো,
কখনো প্রখর খরতাপ, কখনো কঠিন পর্বতের দারুন রুক্ষতা,
কখনো প্রশান্ত ভোরে মিষ্টি মধুর হাওয়া, হঠাৎ বৃষ্টির ছোঁয়া,
খেঁজুর বাগানে থোকা থোকা ফল, সঘন সবুজ পত্রদল, শ্রদ্ধেয়
খলিফাদের কবর, জান্নাতুল বাকী ঘিরে নীরব প্রশান্তি ---
সব বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা হয়ে,
বিন্দু বিন্দু মেঘ জমে
মসজিদে নববীর অন্দরে প্রাঙ্গনে
সত্য ও সুন্দর, স্বপ্ন ও মায়া, নন্দিত ভঙ্গিমায় জড়িয়ে রেখেছে বারবার,
কে ছিড়বে এ বাঁধন?
মসজিদে নববীর খোলা ছাদে বিশাল চত্বরে সৃষ্টিকর্তার রোদ ও ছায়ার খেলা,
উপরে নীলাভ আকাশের দুর্নিবার আহ্বান, প্রায় ভরাট চাঁদের মায়া,
রাতের প্রহর বিদীর্ণ বিষন্ন করে,
ঝিরিঝিরি বাতাসের মিহিসুরে কান্না,
সব ছেড়ে চলে যেতে, মন মানে না সহজে, তবু যেতে হবে দুরন্ত মহাকালের কাছে হার মেনে,
হৃদয়ের অন্তঃস্তল থেকে হৃদয়ের মানা না শুনেই
বলে যেতে হলো,
বিদায় মদিনা,
বিদায় সোনার মদিনা, বিদায়।
***
মসজিদে নববীর ছাদে
রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরের আগে
১১ মে ২০২৫
দুই পাহাড়ের মাঝে বরকতময় ভুবন মদিনা,
বহতা নদীর স্রোতধারার মতন সোনার মদিনা ঘিরে
রসুল (সা.) এর অপার ভালোবাসা,
এখানে স্বপ্নেরা কথা বলে
এখানে হৃদয় নিঃসৃত হাজারো বেদনা গুমরে গুমরে কাঁদে।
সবুজ গম্বুজ তলে সবুজ ঝালরে গোলকের মায়াবী নিশানা
ঢেউ তোলে বারবার মনের গহীনে,
মনে হয় মহাসাগরের উত্তাল তরঙ্গ মনের দিগন্তে
আছড়ে আছড়ে পড়ে;
আমি শুনি শান্তির অমিয় ধারার মধুর ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,
আমি শুনি ভরা জোছ্নার পেলবতামাখা এক সুরের মূর্ছনা,
রওজা মোবারকের কাছে যতই সালাম পৌঁছে দেই
বেড়ে যায় ততই পিপাসা,
রিয়াজুল জান্নাতের সবুজ জমিনে মাথা নত করি যতবার
মনে হয় যদি নিয়ে যেত এই শির শেষ দিবসের কিনারায়।
মসজিদে নববীতে শত সহস্র কণ্ঠের আবেগ মথিত উচ্চারণ, ‘আমিন’, ‘আমিন’ ...
বাতাসের বেগে ছুটে চলে অন্তহীন পথের মায়ায়
ভেঙ্গে যায় পাপী তাপীর মনের জগদ্দল পাথরের দুর্বিনীত স্তূপ,
শান্তির দুরন্ত ঝর্ণা কলকল ছলছল রবে ধূয়ে মুছে নিয়ে যায়
ছিল যা কালিমা, ছায়া মায়া।
দিবা রাত্রি চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজের মায়াময় আহ্বান,
আযানের সুমধুর ধ্বনি, আধঘুম চোখে তাহাজ্জোদের নামাজে শরীক হওয়া
বর্ণে বর্ণে শব্দে শব্দে গেঁথে যায় অন্তরের শুভ্র সুন্দর কাগজে।
সোনার মদিনা কাছে ডাকে বারে বারে
কত কথা শুনায় আবেগে•••
কুবা মসজিদে নামাজের ডাক, দুই কিবলার মসজিদে ক্ষণিকের অবসর,
ওহুদ প্রান্তরে শহিদের কবর জিয়ারত, গুহার গভীরে বেদনার ছাপ,
খন্দকের পথরেখা ঘিরে শৈল্পিক ব্যঞ্ছনা;
বীরে ওসমান, বীরে শেফা, বিল এ ঘারসে তিতা পানি থেকে মিষ্টি পানি
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল চত্বর,
কোরবানির পশুর হাটে উটের জাবর কাটা অপরাহ্ন,
লোহিত কণায় লেপ্টে থাকা বদর যুদ্ধের ইতিহাস খ্যাত রণাঙ্গন-
বীর শহিদদের কবরস্থান;
জালালী কবুতরের অহর্নিশ ডানা ঝাপটানো,
কখনো প্রখর খরতাপ, কখনো কঠিন পর্বতের দারুন রুক্ষতা,
কখনো প্রশান্ত ভোরে মিষ্টি মধুর হাওয়া, হঠাৎ বৃষ্টির ছোঁয়া,
খেঁজুর বাগানে থোকা থোকা ফল, সঘন সবুজ পত্রদল, শ্রদ্ধেয়
খলিফাদের কবর, জান্নাতুল বাকী ঘিরে নীরব প্রশান্তি ---
সব বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা হয়ে,
বিন্দু বিন্দু মেঘ জমে
মসজিদে নববীর অন্দরে প্রাঙ্গনে
সত্য ও সুন্দর, স্বপ্ন ও মায়া, নন্দিত ভঙ্গিমায় জড়িয়ে রেখেছে বারবার,
কে ছিড়বে এ বাঁধন?
মসজিদে নববীর খোলা ছাদে বিশাল চত্বরে সৃষ্টিকর্তার রোদ ও ছায়ার খেলা,
উপরে নীলাভ আকাশের দুর্নিবার আহ্বান, প্রায় ভরাট চাঁদের মায়া,
রাতের প্রহর বিদীর্ণ বিষন্ন করে,
ঝিরিঝিরি বাতাসের মিহিসুরে কান্না,
সব ছেড়ে চলে যেতে, মন মানে না সহজে, তবু যেতে হবে দুরন্ত মহাকালের কাছে হার মেনে,
হৃদয়ের অন্তঃস্তল থেকে হৃদয়ের মানা না শুনেই
বলে যেতে হলো,
বিদায় মদিনা,
বিদায় সোনার মদিনা, বিদায়।
***
মসজিদে নববীর ছাদে
রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরের আগে
১১ মে ২০২৫
বট বাহিনী কয়েক হাজার, এমনকি কয়েক লাখ বট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একসঙ্গে সেই গুজব ছড়িয়ে দেয়। এইসব বট একে অপরের পোস্টে কমেন্ট করে, লাইক দেয়, শেয়ার করে যেন মনে হয় খবরটি জনপ্রিয় এবং অনেকেই তা বিশ্বাস করছে।
১ দিন আগেমোবাইল ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে কয়েকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। ফর্ম পূরণের সময় ঠিকানা মিলে না যাওয়ায় সংশোধন করতে হয়েছে।
২ দিন আগেপানি পানা বা শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখাও অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় পানি কম পান করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়, যার অন্যতম লক্ষণ হলো মাথা ব্যথা।
২ দিন আগে