ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলায় ১৭ লাখ রোহিঙ্গা আছেন—এমন দাবিকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিউটাউনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল।
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘যারা বলেন বাংলায় ১৭ লাখ রোহিঙ্গা আছে, তারা যদি সত্যিই জানেন, তাহলে ঠিকানাটা দিন। কোথায় আছেন তারা?’
মমতা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ‘বাংলাদেশি’ বা ‘রোহিঙ্গা’ বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা (কেন্দ্র সরকার) সব বাঙালিকে বাংলাদেশি বলছে। রোহিঙ্গারা তো মিয়ানমার থেকে এসেছে, তারা বাংলা বলবে কী করে? যারা এসব বলছে, তাদের এটা পর্যন্ত জানার ক্ষমতা নেই।’
মমতা স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ থেকে শেষবার উদ্বাস্তু এসেছিল ১৯৭১ সালের মার্চে। তারা এখন ভারতের নাগরিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর কেউ অবৈধভাবে এসে থাকতে পারেন না। তবে সরকারের বিশেষ কিছু অতিথি থাকতে পারেন, যেমন—কোনো দেশের পরিস্থিতির কারণে রাজনৈতিক আশ্রয় দরকার হলে, তখন আমরা বাধা দিইনি। তাহলে সব বাঙালিকে বাংলাদেশি বলার কী মানে?’
মমতা আরও অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা থেকে বাঙালি ভাষাভাষী ভোটারদের নাম কেটে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিভিন্নভাবে বাংলা বলা হয়। তাই বলে তাদের বাংলাদেশি বলে হয়রানি করা হবে? আপনি কে যে ১৭ লাখ নাম কেটে দেবেন? কে ভোট দেবে আর কে দেবে না, তা ঠিক করার আপনি কে? ভারতের প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার রয়েছে। বাংলা বলা মানেই তো কেউ বাংলাদেশি নয়!’
মমতা আরও বলেন, ‘একজন নেতাকে অবশ্যই উদার মনের হতে হবে। আপনি যদি একটি দেশের সরকার চালান, তাহলে প্রথমে আপনার মনকে উন্মুক্ত করতে হবে। যেহেতু রাজনীতিবিদেরা সরকার চালান, তাঁরা যদি উদার না হন, তবে তাঁরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারবেন না। সরকার চালানোর জন্য আপনার একটি উন্মুক্ত মন থাকতে হবে।’
হিন্দি ভাষার আধিপত্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ওরা একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে—যারা বাংলা বলে, তাদের তাড়িয়ে দাও! কেন? ওরা জানেই না, বাংলা এশিয়ার দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা। আমি অনেক ভাষা জানি, কারণ, ভাষা জানা মানেই শেখা। তাহলে একটা ভাষার বিরুদ্ধে এত বিদ্বেষ কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা থেকে বহু শ্রমিক দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে কাজ করছেন, কারণ, তাদের দক্ষতার কদর রয়েছে। বাইরের রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখানে কাজ করছেন, তাতে আমি খুশি। ভারতের নাগরিকেরা দেশজুড়ে যেকোনো জায়গায় কাজ করতে পারেন। তাদের সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া উচিত।’
বাংলায় ১৭ লাখ রোহিঙ্গা আছেন—এমন দাবিকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিউটাউনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল।
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘যারা বলেন বাংলায় ১৭ লাখ রোহিঙ্গা আছে, তারা যদি সত্যিই জানেন, তাহলে ঠিকানাটা দিন। কোথায় আছেন তারা?’
মমতা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ‘বাংলাদেশি’ বা ‘রোহিঙ্গা’ বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা (কেন্দ্র সরকার) সব বাঙালিকে বাংলাদেশি বলছে। রোহিঙ্গারা তো মিয়ানমার থেকে এসেছে, তারা বাংলা বলবে কী করে? যারা এসব বলছে, তাদের এটা পর্যন্ত জানার ক্ষমতা নেই।’
মমতা স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ থেকে শেষবার উদ্বাস্তু এসেছিল ১৯৭১ সালের মার্চে। তারা এখন ভারতের নাগরিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর কেউ অবৈধভাবে এসে থাকতে পারেন না। তবে সরকারের বিশেষ কিছু অতিথি থাকতে পারেন, যেমন—কোনো দেশের পরিস্থিতির কারণে রাজনৈতিক আশ্রয় দরকার হলে, তখন আমরা বাধা দিইনি। তাহলে সব বাঙালিকে বাংলাদেশি বলার কী মানে?’
মমতা আরও অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা থেকে বাঙালি ভাষাভাষী ভোটারদের নাম কেটে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিভিন্নভাবে বাংলা বলা হয়। তাই বলে তাদের বাংলাদেশি বলে হয়রানি করা হবে? আপনি কে যে ১৭ লাখ নাম কেটে দেবেন? কে ভোট দেবে আর কে দেবে না, তা ঠিক করার আপনি কে? ভারতের প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার রয়েছে। বাংলা বলা মানেই তো কেউ বাংলাদেশি নয়!’
মমতা আরও বলেন, ‘একজন নেতাকে অবশ্যই উদার মনের হতে হবে। আপনি যদি একটি দেশের সরকার চালান, তাহলে প্রথমে আপনার মনকে উন্মুক্ত করতে হবে। যেহেতু রাজনীতিবিদেরা সরকার চালান, তাঁরা যদি উদার না হন, তবে তাঁরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারবেন না। সরকার চালানোর জন্য আপনার একটি উন্মুক্ত মন থাকতে হবে।’
হিন্দি ভাষার আধিপত্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘ওরা একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে—যারা বাংলা বলে, তাদের তাড়িয়ে দাও! কেন? ওরা জানেই না, বাংলা এশিয়ার দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা। আমি অনেক ভাষা জানি, কারণ, ভাষা জানা মানেই শেখা। তাহলে একটা ভাষার বিরুদ্ধে এত বিদ্বেষ কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা থেকে বহু শ্রমিক দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে কাজ করছেন, কারণ, তাদের দক্ষতার কদর রয়েছে। বাইরের রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখানে কাজ করছেন, তাতে আমি খুশি। ভারতের নাগরিকেরা দেশজুড়ে যেকোনো জায়গায় কাজ করতে পারেন। তাদের সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া উচিত।’
এই শুল্ক কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাক শিল্প। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, যেখানে বছরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। বর্তমানে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কে প্রবেশ করত।
২ দিন আগেসমস্যার শুরু যখন পারস্যের অধীনে থাকা আয়োনীয় (বর্তমান তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চল) কিছু গ্রিক নগররাষ্ট্র বিদ্রোহ করে এবং অ্যাথেন্স তাদের সাহায্য করে। দরিয়ুস এটাকে নিজের সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেন এবং অ্যাথেন্সকে শিক্ষা দিতে একটি সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন।
২ দিন আগে১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন শুরু করে। তারা বলেছিল, এটি ঐতিহাসিকভাবে ইহুদি জাতির ভূমি। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পশ্চিম তীর তাদের রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেন, ইসরায়েলের অর্থনীতি দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই প্রতিটি দেশকে এখনই ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক পর্যালোচনা করে তা স্থগিত করা উচিত। এছাড়া বিশ্বকে এখনই এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্ব
২ দিন আগে