ক্রীড়া ডেস্ক
বলা হয়ে থাকে, টি-টুয়েন্টির তুলনায় বাংলাদেশ ওডিআই তথা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচই ভালো খেলে থাকে। তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে তাই চাঙ্গা হয়েই মাঠে নেমেছিলেন মিরাজরা। কিন্তু বাস্তবতা দেখালো সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে উলটো বাংলাদেশই হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেল আফগানিস্তানের কাছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর লক্ষ্য ছিল একটাই— আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।
বিস্মরণযোগ্য ব্যাটিংয়ে সেটি আর সম্ভব হয়নি। উলটো আফগানিস্তানের করা ২৯৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রানের বিশাল হারের লজ্জা সঙ্গী হয়েছে মিরাজদের। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয়েছে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জাও।
আগের দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে টাইগার ব্যাটাররার ওপেনার সাইফ বল হাতে সাফল্যের পর ব্যাটিংয়ে নেমেও ৫৪ বলে ৪৩ রানের মোটামুটি একটি ইনিংস খেলেছেন। এরপর দলের আর একজন ব্যাটারও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি!
দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ রান করেছেন ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা হাসান মাহমুদ! ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ২৭ ওভার ১ বলেই দল অলআউট হয়েছে ৯৩ রানে।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে আফগানিস্তান জায়গা করে দিয়েছিল ডান হাতি পেসার বিলাল সামিকে। ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে তিনিই রেখেছেন সবচেয়ে বড় ভূমিকা। তারকা স্পিনার রশিদ খানও বরাবরের মতোই ব্যাটারদের চেপে ধরেছেন, তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসটা এগোচ্ছিল মিশ্র গতিতে। আফগান দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেন ৯৯ রান। দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ অটলকে নিয়ে জাদরান গড়ে তোলেন ৭৪ রানের জুটি। এর জন্য অবশ্য ৯৩ বল খেলতে হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে এ দিন চমক হয়ে আসেন সাইফ হাসান। ৩২তম ওভারে বল পেয়েই বাজিমাত করেন তিনি। খেলার বিপরীত স্রোতে প্রথম ওভারেই তুলে নেন অটলকে। ওভারটি মেডেনও নেন তিনি। পরের ওভারে তুলে নেন হাশমতউল্লাহ শহিদির উইকেটও। তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও চতুর্থ ওভারে তুলে নেন ইকরাম আলিখিলেরি উইকেট।
সাইফের বোলিং ফিগার তখন ৪ ওভারে ১ মেডেন, ৬ রানে ৩ উইকেট! এর মধ্যে ওপেনার জাদরানকে ৯৫ রানে রানআউট করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগান ব্যাটাররা যখন ধুঁকছেন, তখনই বিস্ময়করভাবে সাইফ হাসানকে বোলিং থেকে সরিয়ে নেন ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের ওভারগুলো অন্য বোলাররা চলনসই বোলিং করলেও সাইফকে আর ফিরিয়ে আনেননি। সাইফকে কেনই বা তিনি বোলিং থেকে সরিয়ে নিলেন, কেনেই বা আর ফিরিয়ে আনলেন না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন ধারাভাষ্যকাররাও!
তারপরও সাইফ বোলিং থেকে সরে যাওয়ার পরে খুব খারাপ করছিলেন না অন্য বোলাররার ৩৯তম থেকে ৪৮তম ওভার পর্যন্ত ১০ সময়ে বোলাররা দেন ৫৯ রান, এর মধ্যে তুলে নেন আরও চারটি উইকেট। কিন্তু মোহাম্মদ নবি তখনো ছিলেন উইকেটে। শেষ ২ ওভারে তিনিই ঘুরিয়ে দেন খেলা।
৪৯তম ওভারে বোলিং শুরু করেছিলেন নাহিদ রানা। প্রথম দুই বলে আসে ১ রান, তৃতীয় বলটি হয় ওয়াইড। এরপরই ব্যথা পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান নাহিদ। বাকি ওভার শেষ করতে নিজেই বল তুলে নেন মিরাজ। সেই ৪ বলের মধ্যে তিন তিনটি ছক্কা মেরে মিরাজকে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন নবি। সব মিলিয়ে ওই ওভারে আসে ২৫ রান।
শেষ ওভার করতে আসা হাসান মাহমুদকেও ছাড় দেননি নবি। তিন বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় তুলে নেন ১৯ রান। এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে অর্ধশত রানের ইনিংস খেলার রেকর্ডটিও নিজের করে নেন নবি, যা এতদিন ছিল পাকিস্তানের মিজবাউল হকের দখলে।
৩৮তম ওভারে যখন সাইফ চতুর্থ ওভার শেষ করলেন, তখনো হয়তো বাংলাদেশি সমর্থকরা ২৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখার স্বপ্ন দেখছিলেন আফগানিস্তানকে। নবির তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত সেই তা গিয়ে ঠেকে ২৯৩ রানে।
আফগান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১১ বলে ৯৫ রান করেছেন জাদরান। নবি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৬২ রানে। এ ছাড়া ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন গুরবাজ, ৪৭ বলে ২৯ করেছেন অটল, ২১ বলে ২০ করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সাইফের ৩ উইকেটের বাইরে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ আর তানভির ইসলাম। এর মধ্যে তানভির ১০ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান। হাসান ছিলেন যথেষ্ট খরুচে, ৬ ওভারেই দিয়েছেন ৫৭ রান। ৯ ওভার ৪ বলে ৬৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। রিশাদ ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে আফগানদের রানের গতিতে বাঁধ দিয়েছেন, কিন্তু উইকেটের দেখা পাননি।
৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বিলাল সামি। ৩ ম্যাচে ২১৩ রান করে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান খেলার ঢঙের সঙ্গে সঙ্গী ছিল অবিবেচনাপ্রসূত শট আর ব্যাখ্যাতীত অস্থিরতা। তারই খেসারত দিতে হলো আফগানদের কাছে ওয়ানডেতে প্রথমাবরের মতো হোয়াইটওয়াশ হয়ে।
এ হতাশা কাটাতে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই দলের সামনে। শনিবার থেকেই ফের আরেকটি ওয়ানডে সিরিজে নামতে হচ্ছে তাদের। এবার প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য কিছুটা হলেও তাদের জন্য স্বস্তির কথা হলো, এ সিরিজটি তারা খেলবে দেশের মাটিতে। তাতে কি আফগান-ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা? সে প্রশ্নের জবাব পেতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
বলা হয়ে থাকে, টি-টুয়েন্টির তুলনায় বাংলাদেশ ওডিআই তথা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচই ভালো খেলে থাকে। তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে তাই চাঙ্গা হয়েই মাঠে নেমেছিলেন মিরাজরা। কিন্তু বাস্তবতা দেখালো সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে উলটো বাংলাদেশই হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেল আফগানিস্তানের কাছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর লক্ষ্য ছিল একটাই— আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।
বিস্মরণযোগ্য ব্যাটিংয়ে সেটি আর সম্ভব হয়নি। উলটো আফগানিস্তানের করা ২৯৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রানের বিশাল হারের লজ্জা সঙ্গী হয়েছে মিরাজদের। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয়েছে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জাও।
আগের দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে টাইগার ব্যাটাররার ওপেনার সাইফ বল হাতে সাফল্যের পর ব্যাটিংয়ে নেমেও ৫৪ বলে ৪৩ রানের মোটামুটি একটি ইনিংস খেলেছেন। এরপর দলের আর একজন ব্যাটারও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি!
দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ রান করেছেন ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা হাসান মাহমুদ! ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ২৭ ওভার ১ বলেই দল অলআউট হয়েছে ৯৩ রানে।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে আফগানিস্তান জায়গা করে দিয়েছিল ডান হাতি পেসার বিলাল সামিকে। ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে তিনিই রেখেছেন সবচেয়ে বড় ভূমিকা। তারকা স্পিনার রশিদ খানও বরাবরের মতোই ব্যাটারদের চেপে ধরেছেন, তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসটা এগোচ্ছিল মিশ্র গতিতে। আফগান দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেন ৯৯ রান। দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ অটলকে নিয়ে জাদরান গড়ে তোলেন ৭৪ রানের জুটি। এর জন্য অবশ্য ৯৩ বল খেলতে হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে এ দিন চমক হয়ে আসেন সাইফ হাসান। ৩২তম ওভারে বল পেয়েই বাজিমাত করেন তিনি। খেলার বিপরীত স্রোতে প্রথম ওভারেই তুলে নেন অটলকে। ওভারটি মেডেনও নেন তিনি। পরের ওভারে তুলে নেন হাশমতউল্লাহ শহিদির উইকেটও। তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও চতুর্থ ওভারে তুলে নেন ইকরাম আলিখিলেরি উইকেট।
সাইফের বোলিং ফিগার তখন ৪ ওভারে ১ মেডেন, ৬ রানে ৩ উইকেট! এর মধ্যে ওপেনার জাদরানকে ৯৫ রানে রানআউট করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগান ব্যাটাররা যখন ধুঁকছেন, তখনই বিস্ময়করভাবে সাইফ হাসানকে বোলিং থেকে সরিয়ে নেন ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের ওভারগুলো অন্য বোলাররা চলনসই বোলিং করলেও সাইফকে আর ফিরিয়ে আনেননি। সাইফকে কেনই বা তিনি বোলিং থেকে সরিয়ে নিলেন, কেনেই বা আর ফিরিয়ে আনলেন না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন ধারাভাষ্যকাররাও!
তারপরও সাইফ বোলিং থেকে সরে যাওয়ার পরে খুব খারাপ করছিলেন না অন্য বোলাররার ৩৯তম থেকে ৪৮তম ওভার পর্যন্ত ১০ সময়ে বোলাররা দেন ৫৯ রান, এর মধ্যে তুলে নেন আরও চারটি উইকেট। কিন্তু মোহাম্মদ নবি তখনো ছিলেন উইকেটে। শেষ ২ ওভারে তিনিই ঘুরিয়ে দেন খেলা।
৪৯তম ওভারে বোলিং শুরু করেছিলেন নাহিদ রানা। প্রথম দুই বলে আসে ১ রান, তৃতীয় বলটি হয় ওয়াইড। এরপরই ব্যথা পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান নাহিদ। বাকি ওভার শেষ করতে নিজেই বল তুলে নেন মিরাজ। সেই ৪ বলের মধ্যে তিন তিনটি ছক্কা মেরে মিরাজকে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন নবি। সব মিলিয়ে ওই ওভারে আসে ২৫ রান।
শেষ ওভার করতে আসা হাসান মাহমুদকেও ছাড় দেননি নবি। তিন বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় তুলে নেন ১৯ রান। এর মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে অর্ধশত রানের ইনিংস খেলার রেকর্ডটিও নিজের করে নেন নবি, যা এতদিন ছিল পাকিস্তানের মিজবাউল হকের দখলে।
৩৮তম ওভারে যখন সাইফ চতুর্থ ওভার শেষ করলেন, তখনো হয়তো বাংলাদেশি সমর্থকরা ২৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখার স্বপ্ন দেখছিলেন আফগানিস্তানকে। নবির তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত সেই তা গিয়ে ঠেকে ২৯৩ রানে।
আফগান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১১ বলে ৯৫ রান করেছেন জাদরান। নবি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৬২ রানে। এ ছাড়া ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন গুরবাজ, ৪৭ বলে ২৯ করেছেন অটল, ২১ বলে ২০ করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সাইফের ৩ উইকেটের বাইরে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ আর তানভির ইসলাম। এর মধ্যে তানভির ১০ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান। হাসান ছিলেন যথেষ্ট খরুচে, ৬ ওভারেই দিয়েছেন ৫৭ রান। ৯ ওভার ৪ বলে ৬৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। রিশাদ ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে আফগানদের রানের গতিতে বাঁধ দিয়েছেন, কিন্তু উইকেটের দেখা পাননি।
৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বিলাল সামি। ৩ ম্যাচে ২১৩ রান করে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান খেলার ঢঙের সঙ্গে সঙ্গী ছিল অবিবেচনাপ্রসূত শট আর ব্যাখ্যাতীত অস্থিরতা। তারই খেসারত দিতে হলো আফগানদের কাছে ওয়ানডেতে প্রথমাবরের মতো হোয়াইটওয়াশ হয়ে।
এ হতাশা কাটাতে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই দলের সামনে। শনিবার থেকেই ফের আরেকটি ওয়ানডে সিরিজে নামতে হচ্ছে তাদের। এবার প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য কিছুটা হলেও তাদের জন্য স্বস্তির কথা হলো, এ সিরিজটি তারা খেলবে দেশের মাটিতে। তাতে কি আফগান-ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা? সে প্রশ্নের জবাব পেতে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
ঢাকায় পৌঁছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় সমর্থকদের উদ্দেশে হামজা বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। ইনশা-আল্লাহ আমরা সাক্সেসফুল হব। ৯ তারিখ আমরা হংকংয়ের সঙ্গে খেলতে নামব। ইনশা-আল্লাহ সবাই আমাদের সাপোর্ট দেবেন।’
১২ দিন আগেটাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা। জবাবে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ২ ওভার আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা। হোয়াইটওয়াশ হয় আফগানিস্তান।
১২ দিন আগেআনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহারের সময় শেষ। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ১৬ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এবার ‘কারচুপির শঙ্কা’ এবং ‘ভোটারদের লুকিয়ে রাখার’ মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করলেন আরও দুইজন প্রার্থী। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল ও রাজশাহী
১৪ দিন আগেভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হলো নেতৃত্বের নতুন অধ্যায়। দীর্ঘদিনের সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মার জায়গায় ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পেলেন তরুণ ব্যাটার শুভমান গিল। টেস্টের পর এবার ওয়ানডে দলকেও নেতৃত্ব দেবেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
১৪ দিন আগে