রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শরিফুলে স্বস্তি, এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ২৫
জাকের আলী ও শামীম হোসেনের জুটি বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্যটা ছিল আগের ম্যাচের চেয়েও কম। তবে নাটকীয়তায় আগের ম্যাচকেও ছাড়িয়ে গেল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি। আগের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গী হয়ে ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতাতে হয়েছিল লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে। এ ম্যাচেও সোহানের সঙ্গী হতে হলো আরেক বোলারকে, এবার তিনি পেসার শরিফুল। তার ক্যামিওতেই শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।

এ জয়ের মাধ্যমে ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজও এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিওর আগে বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত ছিলেন শরিফুল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তারই হাতে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সিরিজে টিকে থাকতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না রশিদ খানদের। টসে হেরে বাংলাদেশ বোলিং বেছে নিলে তাদের শুরুটা খারাপও হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৫৫ রান। তবে রানের গতি ছিল কিছুটা মন্থর।

১৯ বলে ২৩ রান করা সেদিকউল্লাহ অটল অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৭১ রানের মাথায় আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে একাদশ ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান নাসুম আহমেদ। ৩৭ বলে ৩৮ রান করে তিনিই আফগান ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার।

পরের ওভারেই ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে ফেরান রিশাদ। তিনি করেন ৪ বলে ১ রান। চতুর্দশ ওভারে ৯ বলে ১৪ রান করা দারবিশ রসুলকে ফেরান নাসুম। ৩-এ ব্যাটিংয়ে নামা রহমানুল্লাহ গুরবাজ অনেকটা সময় ক্রিজে ছিলেন। ২২ বলে ৩০ রান করার পর সপ্তদশ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি।

এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর মোহাম্মদ নবির জুটি ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ২২ বলে ২৯ রানের জুটি গড়ে তারা দলের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যান। ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ওমরজাই, ১২ বলে ২০ করে অপরাজিত ছিলেন নবি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। নাসুম ৪ ওভারে ২৫ রান দিলেও রিশাদ ছিলেন খরুচে, ৪ ওভারে দেন ৪৫ রান। শরিফুল একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১৩। অন্যদিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়েও উইকেটের দেখা পাননি। উইকেট পাননি মোস্তাফিজও, তিনি ৪ ওভারে দেন ৪০ রান।

১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে দুই ওপেনার অর্ধশত রান তুলে নিলেও এ দিন ব্যর্থ দুজনেই। তানজিদ হাসান ৭ বলে ২ আর পারভেজ হোসেন ইমন ৫ বলে ২ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩-এ নামা সাইফ হাসানও খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ১৪ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি।

২৪ রানেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলার কাজটি করেন ক্যাপ্টেন জাকের আলী ও শামীম হোসেন। তাদের দুজনের ৩৭ বলে ৫৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়। এই জুটি ভাঙলে অবশ্য ফের বাংলাদেশের ভঙ্গুর মিডল ওভারে মড়ক লাগে।

দলীয় ৮০ রানের মাথায় জাকের আউট হয়ে যান ২৫ বলে ৩২ রান করে। ১০২ রানের মাথায় শামীম আউট হন ২২ বলে ৩৩ রান করে। এরপর ১২২ রানের মাথায় নাসুম আহমেদ (১১ বলে ১০ রান), ১২৭ রানের মাথায় সাইফুদ্দিন (২ বলে ৪ রান) আর ১২৯ রানের মাথায় রিশাদকে (২ বলে ২ রান) আউট করে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখনো জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯ রান।

স্নায়ুর চাপ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন নুরুল হাসান সোহান আর শরিফুল। মাত্র ৮ বলেই ২১ রানের জুটি গড়ে তারা জয় নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের। আগের ম্যাচের মতোই সোহান ২১ বলে ৩১ রানের কার্যকর একটি ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দলের জয়ে। শরিফুলের ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানের ক্যামিওর কথা তো বলাই বাহুল্য।

এই দুজনের দৃঢ়তাতেই শেষ পর্যন্ত ওমরজাইয়ের ২৩ রানের ৪ উইকেট আর রশিদ খানের ২৯ রানে ২ উইকেটের দুর্দান্ত বোলিং কাজে আসেনি। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া মুজিব উর রহমানের বোলিংও দলকে জয় এনে দিতে পারেনি।

ad
ad

খেলা থেকে আরও পড়ুন

ঘরে বসে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল দ্বৈরথ আবারও উত্তেজনার সঙ্গে ফিরে এসেছে। তবে লাল-সবুজরা ভারতের বিপক্ষে দীর্ঘ ২২ বছরের জয়ের অভাবের আক্ষেপ আজ ঢাকায় দূর করতে চায়।

১৯ ঘণ্টা আগে

‘সেঞ্চুরি’র সামনে মুশফিক, আবেগঘন স্ট্যাটাস তামিমের

হ্যাঁ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম আগামীকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর টেস্টে নামবেন নিজের শততম টেস্ট ম্যাচে। তিনিই হচ্ছেন দেশের প্রথম এবং স্বাভাবিকভাবেই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্টে এই ‘সেঞ্চুরি’র গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছেন।

১ দিন আগে

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ট্রফিটি তিনি উন্মোচন করেন।

২ দিন আগে

৯৩ রানে অলআউট, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার ভারতের

ইডেন গার্ডেনসে রোলার-কোস্টার রাইডের মতো এক টেস্টের সমাপ্তি হলো তৃতীয় দিনেই। মাত্র ১২৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন-বিষে নীল হয়ে গেল ভারত। সাইমন হার্মার ও কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ৩০ রানের হার দেখল পন্ত-বুমরাহরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ

৩ দিন আগে