ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
একটি মানুষ হঠাৎ করে বুকে ব্যথা নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, চারপাশে হইচই শুরু হলো, কেউ অ্যাম্বুলেন্স ডাকছে, কেউবা বুক চেপে ধরেছে রোগীর। এমন দৃশ্য আজকাল আমাদের চেনা হয়ে গেছে, হয় আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রে, নয়তো পাড়ার কারও। এটি যে হার্ট অ্যাটাক, তা বুঝতে খুব বেশি দেরি হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই হার্ট অ্যাটাক কি এক মুহূর্তেই ঘটে যায়? নাকি তার আগে আমাদের শরীর কোনো বার্তা দেয়, কোনো সতর্ক সংকেত দেয়, যা আমরা অবহেলা করে যাই?
আসলে হার্ট অ্যাটাক সাধারণত একদিনে হয় না। এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, আর শরীর নানা ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়ে দেয়—সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। সেই ইঙ্গিতগুলো ঠিক সময়ে বুঝে ব্যবস্থা নিলে হয়তো বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।
হার্ট অ্যাটাক হলো একধরনের হৃদরোগ, যখন হৃদপিণ্ডের কোনো একটি ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে হার্টের কোনো অংশ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না এবং ধীরে ধীরে সেই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মারা যায়। এই ধমনী বন্ধ হওয়ার পেছনে মূলত দায়ী হয় 'প্লাক' নামে এক ধরনের চর্বিজমাকৃত পদার্থ, যা রক্তনালির দেয়ালে জমে জমে একসময় পথ রুদ্ধ করে ফেলে।
এই প্রক্রিয়াটি হঠাৎ শুরু হয় না। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া—এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রভাবে রক্তনালির মধ্যে চর্বি জমে এবং একদিন সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বলে হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই প্রাণঘাতী অবস্থা আসার আগে শরীর কিছু বার্তা দেয়, যেগুলোকে ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’ বা পূর্ব-লক্ষণ বলা হয়। আর এসব লক্ষণকে গুরুত্ব না দিলে বিপদ ঘনিয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ড. স্টিভেন নিসেন বলেন, “প্রায় ৫০ ভাগ রোগী হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্তত কয়েক দিন বা সপ্তাহ আগে থেকেই কোনো না কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সেগুলোকে অবহেলা করে এবং চিকিৎসকের কাছে দেরিতে আসে।” তাঁর মতে, “যদি আমরা এই পূর্বলক্ষণগুলো দ্রুত চিনতে শিখি, তবে অর্ধেক হার্ট অ্যাটাক আমরা প্রতিরোধ করতে পারি।”
সবচেয়ে সাধারণ পূর্বলক্ষণ হলো বুকে চাপ ধরা বা অস্বস্তি লাগা। এটি অনেক সময় জ্বলুনি, ভারী কিছু বসে আছে এমন অনুভূতি, কিংবা পাঁজরের মাঝামাঝি এক অদ্ভুত ব্যথা হিসেবে প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেন, এটি গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা, তাই ওষুধ খেয়ে চুপ করে থাকেন। অথচ এটি হতে পারে আসন্ন হার্ট অ্যাটাকের প্রথম সংকেত।
অনেক সময় এই বুকে অস্বস্তি ডান বা বাঁ হাতে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে বাঁ হাতে। এই হাতব্যথা আবার ঘাড়, পিঠ বা চোয়ালেও ছড়িয়ে যেতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে এসব কিছু না হয়ে শুধু পিঠব্যথা বা ঘাড়ের ব্যথাই একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ অনেক সময় পুরুষদের মতো হয় না। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. হারমোনি রেইন বলেন, “নারীরা অনেক সময় ক্লান্তি, নিঃশ্বাসে কষ্ট, হালকা মাথা ঘোরা বা বমিভাবকে হার্টের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপসর্গগুলোর মধ্যে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস লুকিয়ে থাকে।” বিশেষ করে পোস্টমেনোপজাল নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
আরেকটি লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো অনুভূতি। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, একটু হেঁটেই হাঁপিয়ে যাওয়া, কিংবা রাতে ঘুমের সময় হঠাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভব—এসবকিছু হার্টের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকে মনে করেন, এটা বয়সের জন্য বা শারীরিক দুর্বলতার ফল, কিন্তু এটি ভুল ধারণা।
এছাড়া অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম, হঠাৎ ক্লান্তি লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, গা গুলানো বা বমি বমি ভাব—এসবকিছুকে আমরা সাধারণ অসুস্থতা ভাবলেও, হার্ট অ্যাটাক আসার আগে এই লক্ষণগুলোর মধ্যে অনেক সময় সুনির্দিষ্ট বার্তা লুকিয়ে থাকে।
জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত জার্মান হার্ট সেন্টারের প্রধান গবেষক ড. কার্ল হ্যান্স স্ট্রাউস বলেন, “হার্ট অ্যাটাকের আগে কিছু লক্ষণ এতটাই ধোঁয়াটে হয় যে, রোগী ও চিকিৎসক উভয়েই প্রাথমিক পর্যায়ে ভুল করেন। তাই সবসময় একটি স্বাভাবিক শরীরের আচরণে হঠাৎ পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অভ্যাস বা পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাদের ছোট লক্ষণেও সাবধান হওয়া উচিত।”
তবে শুধু লক্ষণ চিনে নেওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং নিজের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে জানা, নিয়মিত চেকআপ করা এবং জীবনযাপন পদ্ধতি ঠিক রাখাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। চিকিৎসকেরা বারবার বলে থাকেন, হার্ট অ্যাটাক যতটা না হঠাৎ ঘটে, তার চেয়ে বেশি গড়ে ওঠে ধীরে ধীরে। প্রতিদিনকার অনিয়ম, স্ট্রেস, রাতজাগা, ফাস্টফুড, অলসতা—সব মিলিয়ে আমরা নিজের অজান্তেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিই।
হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে হলে নিয়মিত হাঁটা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ ও সুগার পরিমাপ, খাবারে চর্বি কমানো, ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করা, মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া বছর অন্তর অন্তর ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল পরীক্ষা) করানো উচিত।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো—শরীরের কথা শুনতে শিখতে হবে। আমরা প্রতিদিন মোবাইলের চার্জ কম থাকলে ব্যাকআপ খুঁজি, গ্যাসের চুলায় শব্দ হলে বন্ধ করে দিই, কিন্তু নিজের শরীর যখন বার্তা দেয়, তখন কেন তা উপেক্ষা করি?
জীবন একটাই, আর তা রক্ষা করার চাবিকাঠি আমাদের হাতেই। একটু সচেতন হলেই আমরা হয়তো আমাদের প্রিয়জনকে দীর্ঘদিন পাশে রাখতে পারি। হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ আসে না, সে আগে দরজা খোলার শব্দ করে—আমাদের উচিত সেই শব্দ শুনে আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যাওয়া।
একটি মানুষ হঠাৎ করে বুকে ব্যথা নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, চারপাশে হইচই শুরু হলো, কেউ অ্যাম্বুলেন্স ডাকছে, কেউবা বুক চেপে ধরেছে রোগীর। এমন দৃশ্য আজকাল আমাদের চেনা হয়ে গেছে, হয় আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রে, নয়তো পাড়ার কারও। এটি যে হার্ট অ্যাটাক, তা বুঝতে খুব বেশি দেরি হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই হার্ট অ্যাটাক কি এক মুহূর্তেই ঘটে যায়? নাকি তার আগে আমাদের শরীর কোনো বার্তা দেয়, কোনো সতর্ক সংকেত দেয়, যা আমরা অবহেলা করে যাই?
আসলে হার্ট অ্যাটাক সাধারণত একদিনে হয় না। এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, আর শরীর নানা ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়ে দেয়—সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। সেই ইঙ্গিতগুলো ঠিক সময়ে বুঝে ব্যবস্থা নিলে হয়তো বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।
হার্ট অ্যাটাক হলো একধরনের হৃদরোগ, যখন হৃদপিণ্ডের কোনো একটি ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে হার্টের কোনো অংশ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না এবং ধীরে ধীরে সেই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মারা যায়। এই ধমনী বন্ধ হওয়ার পেছনে মূলত দায়ী হয় 'প্লাক' নামে এক ধরনের চর্বিজমাকৃত পদার্থ, যা রক্তনালির দেয়ালে জমে জমে একসময় পথ রুদ্ধ করে ফেলে।
এই প্রক্রিয়াটি হঠাৎ শুরু হয় না। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া—এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রভাবে রক্তনালির মধ্যে চর্বি জমে এবং একদিন সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই বলে হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই প্রাণঘাতী অবস্থা আসার আগে শরীর কিছু বার্তা দেয়, যেগুলোকে ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’ বা পূর্ব-লক্ষণ বলা হয়। আর এসব লক্ষণকে গুরুত্ব না দিলে বিপদ ঘনিয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ড. স্টিভেন নিসেন বলেন, “প্রায় ৫০ ভাগ রোগী হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্তত কয়েক দিন বা সপ্তাহ আগে থেকেই কোনো না কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সেগুলোকে অবহেলা করে এবং চিকিৎসকের কাছে দেরিতে আসে।” তাঁর মতে, “যদি আমরা এই পূর্বলক্ষণগুলো দ্রুত চিনতে শিখি, তবে অর্ধেক হার্ট অ্যাটাক আমরা প্রতিরোধ করতে পারি।”
সবচেয়ে সাধারণ পূর্বলক্ষণ হলো বুকে চাপ ধরা বা অস্বস্তি লাগা। এটি অনেক সময় জ্বলুনি, ভারী কিছু বসে আছে এমন অনুভূতি, কিংবা পাঁজরের মাঝামাঝি এক অদ্ভুত ব্যথা হিসেবে প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেন, এটি গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা, তাই ওষুধ খেয়ে চুপ করে থাকেন। অথচ এটি হতে পারে আসন্ন হার্ট অ্যাটাকের প্রথম সংকেত।
অনেক সময় এই বুকে অস্বস্তি ডান বা বাঁ হাতে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে বাঁ হাতে। এই হাতব্যথা আবার ঘাড়, পিঠ বা চোয়ালেও ছড়িয়ে যেতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে এসব কিছু না হয়ে শুধু পিঠব্যথা বা ঘাড়ের ব্যথাই একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ অনেক সময় পুরুষদের মতো হয় না। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. হারমোনি রেইন বলেন, “নারীরা অনেক সময় ক্লান্তি, নিঃশ্বাসে কষ্ট, হালকা মাথা ঘোরা বা বমিভাবকে হার্টের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপসর্গগুলোর মধ্যে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস লুকিয়ে থাকে।” বিশেষ করে পোস্টমেনোপজাল নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
আরেকটি লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো অনুভূতি। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, একটু হেঁটেই হাঁপিয়ে যাওয়া, কিংবা রাতে ঘুমের সময় হঠাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভব—এসবকিছু হার্টের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকে মনে করেন, এটা বয়সের জন্য বা শারীরিক দুর্বলতার ফল, কিন্তু এটি ভুল ধারণা।
এছাড়া অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম, হঠাৎ ক্লান্তি লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, গা গুলানো বা বমি বমি ভাব—এসবকিছুকে আমরা সাধারণ অসুস্থতা ভাবলেও, হার্ট অ্যাটাক আসার আগে এই লক্ষণগুলোর মধ্যে অনেক সময় সুনির্দিষ্ট বার্তা লুকিয়ে থাকে।
জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত জার্মান হার্ট সেন্টারের প্রধান গবেষক ড. কার্ল হ্যান্স স্ট্রাউস বলেন, “হার্ট অ্যাটাকের আগে কিছু লক্ষণ এতটাই ধোঁয়াটে হয় যে, রোগী ও চিকিৎসক উভয়েই প্রাথমিক পর্যায়ে ভুল করেন। তাই সবসময় একটি স্বাভাবিক শরীরের আচরণে হঠাৎ পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অভ্যাস বা পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাদের ছোট লক্ষণেও সাবধান হওয়া উচিত।”
তবে শুধু লক্ষণ চিনে নেওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং নিজের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে জানা, নিয়মিত চেকআপ করা এবং জীবনযাপন পদ্ধতি ঠিক রাখাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। চিকিৎসকেরা বারবার বলে থাকেন, হার্ট অ্যাটাক যতটা না হঠাৎ ঘটে, তার চেয়ে বেশি গড়ে ওঠে ধীরে ধীরে। প্রতিদিনকার অনিয়ম, স্ট্রেস, রাতজাগা, ফাস্টফুড, অলসতা—সব মিলিয়ে আমরা নিজের অজান্তেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিই।
হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে হলে নিয়মিত হাঁটা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ ও সুগার পরিমাপ, খাবারে চর্বি কমানো, ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করা, মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া বছর অন্তর অন্তর ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল পরীক্ষা) করানো উচিত।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো—শরীরের কথা শুনতে শিখতে হবে। আমরা প্রতিদিন মোবাইলের চার্জ কম থাকলে ব্যাকআপ খুঁজি, গ্যাসের চুলায় শব্দ হলে বন্ধ করে দিই, কিন্তু নিজের শরীর যখন বার্তা দেয়, তখন কেন তা উপেক্ষা করি?
জীবন একটাই, আর তা রক্ষা করার চাবিকাঠি আমাদের হাতেই। একটু সচেতন হলেই আমরা হয়তো আমাদের প্রিয়জনকে দীর্ঘদিন পাশে রাখতে পারি। হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ আসে না, সে আগে দরজা খোলার শব্দ করে—আমাদের উচিত সেই শব্দ শুনে আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যাওয়া।
ভিডিও বার্তায় হানিয়া বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে আসছেন একটি ছোট্ট সারপ্রাইজ নিয়ে। সেই ‘সারপ্রাইজ’ ঠিক কী, তা হয়তো করপোরেট ইভেন্টের সীমায় আটকে থাকবে। কিন্তু ভক্তদের কাছে সবচেয়ে বড় চমক তো তিনি নিজেই— ঢাকায় এসে, এই শহরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতি সমর্থন জানানো।
২২ দিন আগেকবি রেজাউদ্দিন স্টালিনকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২২ দিন আগেঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ, বিশ্বসূফি সংস্থার সদস্য হাসান শাহ সুরেশ্বরী দীপু নূরী, সায়ান, অরূপ রাহী, কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম, সহজিয়া ব্যান্ডের রাজুসহ বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমগীতের সভাপ্রধ
২৩ দিন আগেপ্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের বৃহস্পতিবার প্রথম পাতা সাজিয়েছে ট্রাম্পের সফর নিয়েই। সেখানে মূল সংবাদের পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রিটিশ ‘পোয়েট লরিয়েট’ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত কবি ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা STATE/BANQUET। বিশ্বব্যবস্থা যে রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারই এক মূর্ত
২৪ দিন আগে