শানজীদা শারমিন
রফিক, একজন কর্মঠ ও উদ্যমী ব্যক্তি। প্রায় ২০ বছর আগে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১২ বছরে তাঁর কোনো খোঁজ নেই। রফিকের স্ত্রী লতিকা, দুই সন্তান ও বয়স্ক মা অপেক্ষায় থাকতেন—ফোনের আসায়। একপর্যায়ে তারা ধরে নেন হয়তো রফিক আর ফিরে আসবেন না।
মালয়েশিয়ায় থাকা রফিকের এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারলেন, বিদেশে থাকাকালীন রফিকের নামে প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা পলিসি ও অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র ছাড়া এসব সম্পত্তি রফিকের স্ত্রী লতিকা ও তাঁদের সন্তানরা দাবি করতে পারবেন না। রফিকের পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় কেউ যদি নিখোঁজ থাকেন, তবে তাকে আইনীভাবে ‘অপমৃত্যু’ বলে ঘোষণা করা যায়।
এরপর লতিকা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অপমৃত্যু সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাঁদের প্রথমে নিম্নলিখিত নথিপত্র সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়:
এসব কাগজপত্র সংগ্রহের পর লতিকা আইনজীবীর সহায়তায় জেলা জজ আদালতে আবেদন দাখিল করলেন। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি না আসায় শুনানির পর আদালত রফিককে ‘অপমৃত্যু’ঘোষণা করে একটি সরকারি সনদ ইস্যু করেন। এই সনদটি পাওয়ার পর লতিকা ও তাঁর সন্তানরা মালয়েশিয়ায় থাকা রফিকের বন্ধুর মাধ্যমে সেখানে থাকা রফিকের সম্পত্তি দাবি করতে সক্ষম হন।
রফিক যদি প্রবাসে নিখোঁজ না হয়ে দেশেই নিখোঁজ হতেন, তাহলেও সম্পত্তির উত্তরাধিকার ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে একই। মূলত, যদি একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ হিসেবে প্রমাণিত করা যায়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে তাকে আইনিভাবে মৃত ঘোষণা করে ‘অপমৃত্যু সনদ’ বা ‘নিখোঁজ ঘোষণাপত্র’ জারি করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা সেই ব্যক্তির উত্তরেরাধিকার দাবি করতে পারেন।
তবে প্রবাসে নিখোঁজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র এবং শুনানির সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে। দেশে নিখোঁজ হলে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংবাদপত্র বিজ্ঞপ্তি, আত্মীয়দের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য ইত্যাদি প্রমাণাদি জমা দিতে হয়। নির্ধারিত সময়কালের পরে, কোনো আপত্তি না থাকলে আদালত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে, যাতে পরিবারের উত্তরাধিকারের ব্যবস্থা কার্যকর হয়।
যদি দেশেই কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে নিখোঁজ থেকে বা অপমৃত্যু বলে ধরা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও সুনির্দিষ্ট ধাপ মেনে চলতে হয়। সাধারণত যেসব ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়, তা হলো:
প্রমান ও নথিপত্র সংগ্রহ
আদালতে আবেদন দাখিল: যে কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে, যার উপর আইনগত অধিকার আছে, সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে একটি আবেদন (Petition) দাখিল করতে হয়। এই আবেদনে ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার সময়কাল, প্রমানাদি, ও পারিবারিক অবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তি ও আপত্তির সময়: আদালত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয়, সাধারণত নির্দিষ্ট সময় (যেমন ৬ মাস বা ১ বছর) পর্যন্ত, যাতে কেউ যদি সেই ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়ে কোন প্রমাণ বা আপত্তি জানাতে চায় তা করতে পারে। নির্ধারিত সময়কালে কোনও আপত্তি না থাকলে আদালত নথিপত্র ও সাক্ষ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়।
অপমৃত্যু ঘোষণা ও সনদ ইস্যু: সব তথ্য ও প্রমাণাদি যাচাই হয়ে গেলে, আদালত ওই ব্যক্তিকে আইনি ভাবে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর একটি সরকারী সনদ বা ‘অপমৃত্যু সনদ’ ইস্যু করা হয়, যা ওই ব্যক্তির উত্তরাধিকার দাবি ও সম্পত্তির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ারিশরা অবশেষে সেই নিখোঁজ ব্যক্তির ছাড়পত্র ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে পারেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দ্বন্দ্ব বা সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়।
রফিক, একজন কর্মঠ ও উদ্যমী ব্যক্তি। প্রায় ২০ বছর আগে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১২ বছরে তাঁর কোনো খোঁজ নেই। রফিকের স্ত্রী লতিকা, দুই সন্তান ও বয়স্ক মা অপেক্ষায় থাকতেন—ফোনের আসায়। একপর্যায়ে তারা ধরে নেন হয়তো রফিক আর ফিরে আসবেন না।
মালয়েশিয়ায় থাকা রফিকের এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারলেন, বিদেশে থাকাকালীন রফিকের নামে প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা পলিসি ও অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র ছাড়া এসব সম্পত্তি রফিকের স্ত্রী লতিকা ও তাঁদের সন্তানরা দাবি করতে পারবেন না। রফিকের পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় কেউ যদি নিখোঁজ থাকেন, তবে তাকে আইনীভাবে ‘অপমৃত্যু’ বলে ঘোষণা করা যায়।
এরপর লতিকা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অপমৃত্যু সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাঁদের প্রথমে নিম্নলিখিত নথিপত্র সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়:
এসব কাগজপত্র সংগ্রহের পর লতিকা আইনজীবীর সহায়তায় জেলা জজ আদালতে আবেদন দাখিল করলেন। এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি না আসায় শুনানির পর আদালত রফিককে ‘অপমৃত্যু’ঘোষণা করে একটি সরকারি সনদ ইস্যু করেন। এই সনদটি পাওয়ার পর লতিকা ও তাঁর সন্তানরা মালয়েশিয়ায় থাকা রফিকের বন্ধুর মাধ্যমে সেখানে থাকা রফিকের সম্পত্তি দাবি করতে সক্ষম হন।
রফিক যদি প্রবাসে নিখোঁজ না হয়ে দেশেই নিখোঁজ হতেন, তাহলেও সম্পত্তির উত্তরাধিকার ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে একই। মূলত, যদি একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ হিসেবে প্রমাণিত করা যায়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে তাকে আইনিভাবে মৃত ঘোষণা করে ‘অপমৃত্যু সনদ’ বা ‘নিখোঁজ ঘোষণাপত্র’ জারি করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়। এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা সেই ব্যক্তির উত্তরেরাধিকার দাবি করতে পারেন।
তবে প্রবাসে নিখোঁজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র এবং শুনানির সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে। দেশে নিখোঁজ হলে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংবাদপত্র বিজ্ঞপ্তি, আত্মীয়দের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য ইত্যাদি প্রমাণাদি জমা দিতে হয়। নির্ধারিত সময়কালের পরে, কোনো আপত্তি না থাকলে আদালত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে, যাতে পরিবারের উত্তরাধিকারের ব্যবস্থা কার্যকর হয়।
যদি দেশেই কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে নিখোঁজ থেকে বা অপমৃত্যু বলে ধরা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও সুনির্দিষ্ট ধাপ মেনে চলতে হয়। সাধারণত যেসব ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়, তা হলো:
প্রমান ও নথিপত্র সংগ্রহ
আদালতে আবেদন দাখিল: যে কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে, যার উপর আইনগত অধিকার আছে, সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে একটি আবেদন (Petition) দাখিল করতে হয়। এই আবেদনে ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার সময়কাল, প্রমানাদি, ও পারিবারিক অবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তি ও আপত্তির সময়: আদালত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয়, সাধারণত নির্দিষ্ট সময় (যেমন ৬ মাস বা ১ বছর) পর্যন্ত, যাতে কেউ যদি সেই ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়ে কোন প্রমাণ বা আপত্তি জানাতে চায় তা করতে পারে। নির্ধারিত সময়কালে কোনও আপত্তি না থাকলে আদালত নথিপত্র ও সাক্ষ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়।
অপমৃত্যু ঘোষণা ও সনদ ইস্যু: সব তথ্য ও প্রমাণাদি যাচাই হয়ে গেলে, আদালত ওই ব্যক্তিকে আইনি ভাবে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর একটি সরকারী সনদ বা ‘অপমৃত্যু সনদ’ ইস্যু করা হয়, যা ওই ব্যক্তির উত্তরাধিকার দাবি ও সম্পত্তির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ারিশরা অবশেষে সেই নিখোঁজ ব্যক্তির ছাড়পত্র ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে পারেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দ্বন্দ্ব বা সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়।
কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১৩ দিন আগেঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ, বিশ্বসূফি সংস্থার সদস্য হাসান শাহ সুরেশ্বরী দীপু নূরী, সায়ান, অরূপ রাহী, কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম, সহজিয়া ব্যান্ডের রাজুসহ বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমগীতের সভাপ্রধ
১৪ দিন আগেপ্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের বৃহস্পতিবার প্রথম পাতা সাজিয়েছে ট্রাম্পের সফর নিয়েই। সেখানে মূল সংবাদের পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রিটিশ ‘পোয়েট লরিয়েট’ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত কবি ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা STATE/BANQUET। বিশ্বব্যবস্থা যে রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারই এক মূর্ত
১৫ দিন আগেকানাডা প্রবাসী হলেও দেশের টানে এই ফিল্ম নির্মাণ করেছেন শিল্পী লুমিন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু ও মিডিয়ার প্রিয় মানুষ ডা. আশীষ না থাকলে এটি সম্ভব হতো না। আগত সব অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
২২ দিন আগে