অরুণ কুমার
কবি-সাহিত্যিকদের চায়ের প্রীতি থাকে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চায়ের নেশাটা একটু বেশিই ছিল। তিনি তো শুধু কবি নন। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। তিনি যখন গান গাইতেন, গরম চায়ের মগ আশপাশে না থাকলে গলা ছাড়তেন না। এ নিয়েই একবার হয়েছিল এক হুলুস্থুল কাণ্ড!
জাতীয় কাজী নজরুলের সঙ্গে পল্লীকবি জসীমউদদীনেরর সখ্য ছিল বেশ, জসীম উদদীন যখন কলকাতায় পড়াশোনা করেন। একবার বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সমিতিরি একটা অধিবেশন বসে ফরিদপুরে,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জণ দাশের সভাপত্তিতে। সেই অধিবেশনে যোগ দিতে কলকতাতা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন সঙ্গী-সাথী নিয়ে। আর জসীমউদদীন ছিলেন স্বেচ্ছাসেব।
নজরুল ফরিদপুরে এসে উঠেছিলেন জসীমউদদীনের বাড়িতে, তাম্বুলখানা গ্রামে। বিদ্রোহী কবির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। গ্রামের লোকেরা বিখ্যাত এই মানুষটাসে একবার যখন পেয়েছে,তখন গান না শুনে ছাড়বে কেন?
পল্লীকবির বাড়িতেই হলো গানের আসর। রাতভরে।
কিন্তু নজরুলের ছিল তীব্র চায়ের নেশা। গান গাইতে গাইত চায়ের তেষ্টা পেল সেই মাঝরাতে। ভারি মুশকিল! গাঁয়ের লোকে তখনো চা খেতে শেখেনি।ওসব বড়লোকি কারবার সাধারণ মানুষের পোষায় না।
তবু জসীমউদ্দীন সারা গ্রামে খোঁজ করলেন। আশপাশের দুচারটা গ্রামেও লোক পাঠালেন, কিন্তু চাপাতা আর মেলে না। অবশেষে আলিম মাতববর নামে এক লোক চা পাতা এনে কবিকে দিলেন। ভদ্রলোক কলকতায় গিয়ে চা খাওয়া শিখেছিলেন, গাঁয়ের লোকেদের খাওয়ানোর ভাঁড়ারে কিছু চাপাতা পড়ে ছিল। সেগুলো দিয়েই তেষ্টা মেটালেন নজরুল।
তারপর রাতভর গান হলো।
সূত্র: স্মৃতিকথা সমগ্র/জসীম উদদীন
কবি-সাহিত্যিকদের চায়ের প্রীতি থাকে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চায়ের নেশাটা একটু বেশিই ছিল। তিনি তো শুধু কবি নন। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। তিনি যখন গান গাইতেন, গরম চায়ের মগ আশপাশে না থাকলে গলা ছাড়তেন না। এ নিয়েই একবার হয়েছিল এক হুলুস্থুল কাণ্ড!
জাতীয় কাজী নজরুলের সঙ্গে পল্লীকবি জসীমউদদীনেরর সখ্য ছিল বেশ, জসীম উদদীন যখন কলকাতায় পড়াশোনা করেন। একবার বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সমিতিরি একটা অধিবেশন বসে ফরিদপুরে,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জণ দাশের সভাপত্তিতে। সেই অধিবেশনে যোগ দিতে কলকতাতা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন সঙ্গী-সাথী নিয়ে। আর জসীমউদদীন ছিলেন স্বেচ্ছাসেব।
নজরুল ফরিদপুরে এসে উঠেছিলেন জসীমউদদীনের বাড়িতে, তাম্বুলখানা গ্রামে। বিদ্রোহী কবির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। গ্রামের লোকেরা বিখ্যাত এই মানুষটাসে একবার যখন পেয়েছে,তখন গান না শুনে ছাড়বে কেন?
পল্লীকবির বাড়িতেই হলো গানের আসর। রাতভরে।
কিন্তু নজরুলের ছিল তীব্র চায়ের নেশা। গান গাইতে গাইত চায়ের তেষ্টা পেল সেই মাঝরাতে। ভারি মুশকিল! গাঁয়ের লোকে তখনো চা খেতে শেখেনি।ওসব বড়লোকি কারবার সাধারণ মানুষের পোষায় না।
তবু জসীমউদ্দীন সারা গ্রামে খোঁজ করলেন। আশপাশের দুচারটা গ্রামেও লোক পাঠালেন, কিন্তু চাপাতা আর মেলে না। অবশেষে আলিম মাতববর নামে এক লোক চা পাতা এনে কবিকে দিলেন। ভদ্রলোক কলকতায় গিয়ে চা খাওয়া শিখেছিলেন, গাঁয়ের লোকেদের খাওয়ানোর ভাঁড়ারে কিছু চাপাতা পড়ে ছিল। সেগুলো দিয়েই তেষ্টা মেটালেন নজরুল।
তারপর রাতভর গান হলো।
সূত্র: স্মৃতিকথা সমগ্র/জসীম উদদীন
ভিডিও বার্তায় হানিয়া বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে আসছেন একটি ছোট্ট সারপ্রাইজ নিয়ে। সেই ‘সারপ্রাইজ’ ঠিক কী, তা হয়তো করপোরেট ইভেন্টের সীমায় আটকে থাকবে। কিন্তু ভক্তদের কাছে সবচেয়ে বড় চমক তো তিনি নিজেই— ঢাকায় এসে, এই শহরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতি সমর্থন জানানো।
২২ দিন আগেকবি রেজাউদ্দিন স্টালিনকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২৩ দিন আগেঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ, বিশ্বসূফি সংস্থার সদস্য হাসান শাহ সুরেশ্বরী দীপু নূরী, সায়ান, অরূপ রাহী, কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম, সহজিয়া ব্যান্ডের রাজুসহ বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমগীতের সভাপ্রধ
২৪ দিন আগেপ্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের বৃহস্পতিবার প্রথম পাতা সাজিয়েছে ট্রাম্পের সফর নিয়েই। সেখানে মূল সংবাদের পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রিটিশ ‘পোয়েট লরিয়েট’ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত কবি ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা STATE/BANQUET। বিশ্বব্যবস্থা যে রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারই এক মূর্ত
২৪ দিন আগে