ট্রাম্পের হুমকি থাকলেও যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন পুতিন: ক্রেমলিন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১: ০৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম উপেক্ষা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজের লক্ষ্যে অবিচল আছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমারা তার শর্ত মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হতে থাকবে।

ক্রেমলিনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন এমনকি সময়ের সঙ্গে তার দাবির তালিকা বড়ও করতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, পশ্চিমা চাপ সামলানোর মতো যথেষ্ট অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন পুতিন।

নানা চেষ্টা চালিয়েও ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের নিঃশর্ত সম্মতি আদায় করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অবস্থায় একদিকে কিয়েভের জন্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্র পাঠাচ্ছেন, অন্যদিকে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মস্কোকে ৫০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে মস্কোর পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে রাশিয়ার পণ্যে শতভাগ শুল্কারোপ করবেন।

ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো পক্ষই গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে এগিয়ে এসেছে বলে পুতিন বিশ্বাস করেন না। তাই দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত থামছেন না তিনি।

পুতিনের দাবি, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সামরিক বাহিনী সীমিত করতে হবে। এ ছাড়া সেখানে বসবাসকারী রুশভাষীদের নিরাপত্তা ও রুশ বাহিনীর দখল করা ভূমির অধিকারও ছেড়ে দিতে হবে।

স্পষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ না করলেও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়েও বিস্তারিত আলাপ করতে পুতিন সম্মত আছেন বলে ক্রেমলিনের ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বরাবরই পুতিনের দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, দখল করা এলাকায় রুশ সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না কিয়েভ। ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও কেবল তাদেরই রয়েছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর একাধিকবার পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে এবং বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ মস্কো সফরেও গেছেন। এরপরও শান্তি চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে মনে করেন না পুতিন।

ক্রেমলিনের ওই কর্মকর্তা বলেন, পুতিনের কাছে ট্রাম্পের সঙ্গে সখ্যের গুরুত্ব রয়েছে। উইটকফের সঙ্গেও তার ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের কাছে রাশিয়ার স্বার্থ সব কিছুর ঊর্ধ্বে।

এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র অ্যানা কেলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল হানাহানি বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে তিনি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্কের করাল গ্রাসের মধ্যে পড়বেন।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

উপমহাদেশে পর্তুগিজ জলদস্যুদের তাণ্ডব

১৫০০ সালের আশপাশে যখন ইউরোপীয় বণিকেরা জলপথে এশিয়ায় পৌঁছাতে থাকে, তখন ভারতের পশ্চিম উপকূলে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করে পর্তুগিজরা। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা কালিকটে (বর্তমান কেরালা) এসে পৌঁছান, আর এরপরই শুরু হয় পর্তুগিজদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় সামুদ্রিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযান।

৮ ঘণ্টা আগে

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে ট্রাম্পের ৫০ দিনের আল্টিমেটাম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, এর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান না হলে মস্কোর ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

১ দিন আগে

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭৮

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা থামছেই না। যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই সেখানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। এতে একদিনে কমপক্ষে আরও ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২ দিন আগে

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ কেন হয়েছিল?

এই যুদ্ধ কেন হয়েছিল তা বুঝতে গেলে আমাদের উনিশ শতকের মাঝামাঝি ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একবার ঝালিয়ে নিতে হবে। ১৭০৭ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই মুঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

২ দিন আগে