অনেক প্রশ্নের ঈদ

আফরোজা পারভীন

অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনার মধ্য দিয়ে কাটছে আমাদের দিনকাল। ঘটনা সবসময় ঘটে, ঘটবেই। সব ঘটনা মনে দোলা দেয় না, দাগ কাটে না। সব ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয় না কিংবা আমাদের চিন্তায় ফেলে না। কিন্তু কোনো কোনো ঘটনা তোলপাড় করে তোলে সারা দেশ। মানুষ সরব আলোচনা করে, প্রতিবাদ করে, প্রতিকার চায়। মরিয়া হয়ে রাস্তায় নামে আন্দোলনে।

সাম্প্রতিক আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা সারা দেশ শুধু নয়, গোটা বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। আছিয়া ৮-৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছে। ও চলে গেছে সেখানে, যেখান থেকে কেউ ফেরে না। কিন্তু তার ধর্ষকদের তাৎক্ষণিক বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠলে এমন একটা আলোচনা শোনা যায়, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ তাতে কিছু নিরপরাধ লোক শাস্তি পেতে পারে।

এ কথা তো খুনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় খুনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আইন-কানুনের ফাঁক গলে কোনো কোনো সময় নিরপরাধ লোক শাস্তি আর অপরাধী খালাস পেয়ে যায়— এ কথা সত্য। আমি নিজে বিচারক থাকাকালীন একাধিক মামলায় রায় দিয়ে বিনিদ্র কাটিয়েছি রাতের পর রাত। আমার মনে হয়েছে, এই বিচারটা ঠিক হয়নি। বুঝতে পেরেছি ঠিকই, কিন্তু মামলা সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে বিচারকের করার কিছু নেই।

তাই বলে কি খুনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হবে? এই দণ্ডের বিধান আছে বলেই দিনরাত খুন হচ্ছে না। না থাকলে আরও বাড়ত। বরং যে আইনের ফাঁক গলে এসব হয়, সে আইন সংশোধন করা দরকার। মান্ধাতার আমলের আইন নিয়ে আমরা এখনো চলছি। আর আছিয়ার ক্ষেত্রে খুনিরা চিহ্নিত, তারা ধর্ষক— এটা প্রমাণিত। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীতে শিশু ধর্ষণের সাজা মৃতুদণ্ডের বিধান আছে । তাহলে সমস্যা কোথায়?

হ্যাঁ, সময়ের একটা ব্যাপার আছে। যত দ্রুতসম্ভব সময়ের বিষয়টা সমাধান করা দরকার। তাৎক্ষণিক বিচারের ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। যা হোক, আছিয়ার ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন চলে গেছে। এরপর আরও কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই মাসের শিশুও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এখন ঘটনাটা চাপা পড়ে গেছে। সে কথা আর বলতে চাই না।

ঈদের আগে মারা গেলেন স্বনামখ্যাত সন্‌জীদা খাতুন। তাকে নিয়ে কেউ কেউ রক্ষণশীল হতে পারেন, কিন্তু তিনি যে স্বনামখ্যাত, এ বিষয়ে আশা করি কেউ আপত্তি করবেন না। তিনি এ দেশের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তির একজন, যিনি কখনই কোনো রাজনীতিতে জড়াননি, কাউকে তৈলমর্দন করেননি, কোনো সুযোগ-সুবিধা নেননি।

ছায়ানট আর নালন্দার মতো প্রতিষ্ঠান গড়েছেন সন্‌জীদা খাতুন। দেশ বিদেশে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী তার। অত্যন্ত সাধারণ পরিশীলিত জীবনযাপন করে গেছেন। আমৃত্যু রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ছিলেন। মারা যাওয়ার পরও রবীন্দ্রসংগীত সঙ্গে নিয়ে গেছেন। তিনি কীভাবে যাবেন, এটা তার নিজস্ব চয়েস। তিনি দেহ দান করে গেছেন। এটাও তার নিজস্ব চয়েস।

রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে মাথায় টিপ পরিয়ে তাকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক কটূক্তি, অনেক সমালোচনা। যারা সমালোচনা করেছে তারা তার নখের যোগ্যও না। তারা যখন চিন্তায় অস্থির যে সন্‌জীদা খাতুনকে মাটি দেওয়া হবে নাকি পোড়ানো হবে, তখনই তাদের কাছে দুঃসংবাদে মতো এসেছিল খবরটা, সন্‌জীদা দেহদান করে গেছেন। মুখরোচক আলোচনার সুযোগ হারালেন অনেকেই। তবে পিছুপা হলেন না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কতটা ঠিক, সে আলোচনা জমে উঠল ফেসবুকে।

আমি বলি, এই সাহস কয়জনের থাকে, আর কয়টা পরিবার সেই সাহসকে সম্মান করে! সন্‌জীদা খাতুনের সাহস ছিল। তার পরিবার উদার। তারা সমর্থন করেছে। যে মানুষটি নিঃস্বার্থভাবে দেশকে দিয়ে গেছেন, মৃত্যুর পর তার নিরেট শরীরটিও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হলো।

আচ্ছা, সন্‌জীদা আপার বাড়িতে শোক জানাতে কি ওপর মহলের কেউ গিয়েছিলেন? জানেন আপনারা? উনি তো একজন মুক্তিযোদ্ধা। ওনাকে কি গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে? জানেন আপনারা? আমার কিন্তু চোখে পড়েনি। এ জন্যই বলে, মারা যাওয়ারও সঠিক সময় আছে। কেউ অসময়ে মরে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়, আবার কেউ সময়ে মরে যা পাওয়ার নয় তাই পায়। সবই ভাগ্য!

এই মানুষটিকে আগের কেয়ারটেকার সরকার একুশে পদক দিয়েছিল। বিগত বিএনপি, আওয়ামী লীগ কোনো সরকারই তাকে স্বাধীনতা পদক দেয়নি। অথচ তার মতো স্বাধীনতা পদকের যোগ্য আর কেউ তেমন ছিল না। যেখানে কাটপিস লেখকরা স্বাধীনতা পদক পাচ্ছে, তিনি পাননি। কারণ তিনি রাজনীতি করেননি, পক্ষভুক্ত হননি।

এ বিষয় নিয়েও আলোপ হচ্ছে। এক শ্রেণি তাকে ধুয়ে দিচ্ছে। তার জাহান্নাম নিশ্চিত করছে। আরেক শ্রেণি বলছে, তিনি তার বিশ্বাস নিয়ে গেছেন। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই।

এবারের ঈদ বেশ সাড়া ফেলেছে দেশে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে প্রথম ঈদ। এই ঈদে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা বর্ণাঢ্য ঈদ শোভাযাত্রা হয়েছে। ঢাকাবাসী শোভাযাত্রাটা খুবই পছন্দ করেছে। অবশ্য বিরূপ সমালোচনাও আছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কতটা ঠিক, কতটা নৈতিক সে প্রশ্ন উঠেছে।

এবারের ঈদ মিছিলে আলাদীনের প্রদীপের সেই দৈত্য, আলাদীন, নাবিক সিন্দাবাদ, হ্যামিলনের বংশীবাদক, নাসির উদ্দিন হোজ্জা, আলীবাবা, মর্জিনাসহ অনেকেই ছিলেন। সব ধর্মের মানুষ দিয়ে সজ্জিত ছিল শোভাযাত্রা। বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

একসময় এই বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে বা ঘটা করে বোঝানোর দরকার পড়ত না। তখন উৎসব সবারই ছিল। মনের আনন্দেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঈদ উৎসবে আর মুসলিমরা পূজা-পার্বণে যোগ দিতেন। এখন বুঝিয়ে দিতে হয় পয়সা খরচ করে। এটাই তফাৎ। আমরা কি সামনে এগোচ্ছি, নাকি পেছাচ্ছি?

মিছিলে বাংলার হাতি, রূপকথার বিখ্যাত সেই ধারালো শিংয়ের ডানাঅলা ঘোড়া ইউনিকর্ন, হোজ্জার গাধা, ঘোড়া-ঘোড়সওয়ার-সহিস, ঢাল-তলোয়ার, বাঁশি-কানেস্তারা, বাদ্যন্ত্রসহ অনেক কিছু ছিল। স্লোগান ছিল শোভাযাত্রায়। সিটি করপোরেশনের লোকেরা খুরমা-খেজুর বিতরণ করছিল গাড়ি থেকে, কখনো মুঠো ভরে, কখনো ছুড়ে দিয়ে। সঙ্গে ছিল স্লোগান— খুরমা-খেজুর ঈদ মোবারক। অর্থাৎ বিশাল আয়োজন। আর বিশাল আয়োজন মানেই বিশাল ব্যয়। মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন এতে কতটুকু হলো, তা অবশ্য মাপার যন্ত্র নেই।

ঈদের আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া, পাশে রাখা টেবিলে পানি ইত্যাদি নিয়ে। বয়স্ক লোক চেয়ারে বসে নামাজ পড়তেই পারেন। এতে আমি কোনো দোষ দেখি না। কিন্তু অন্য উপকরণগুলোর ব্যাখ্যা কী?

একজন উপদেষ্টার সামনের কাতারে দাঁড়ানো নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। তবে ব্যাখা একটা দেওয়া হয়েছে। নামাজের ভুলভাল নিয়েও কথা হচ্ছে। স্রষ্টাকে ডাকার মতো ডাকতে পারলেই হলো। কখন রুকুতে যাবে, কখন সেজদায়, তাতে কি কিছু আসে-যায়?

আমি অবশ্য ধর্মের বিষয়ে কম জানি। তবে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঈদগাহে নামাজ পড়তে না যাওয়া নিয়ে। তিনি নামাজ পড়েছেন বঙ্গভবনে। আমরা সচরাচর রাষ্ট্রপতিদের দেখেছি ঈদগাহে আমজনতার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে। এবারই ব্যতিক্রম। কেন এমনটা হলো, জানি না। ঈদ সাম্য-মৈত্রীর বন্ধন। এ উৎসব বন্ধন জোরদার করে। ঈদ সম্প্রীতির উৎসব। সেখানে রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তি কেন ঈদের জামাতে গেলেন না, সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থাকবেই।

এ প্রশ্নের সঙ্গে যোগ হয়েছে বঙ্গভবনের দাওয়াতে উপদেষ্টাদের অনুপস্থিতিও। এমনটিও কখনো শুনিনি আমরা। আমরা সাধারণ লোক, নগণ্য। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আর প্রধান উপদেষ্টাকে একসঙ্গে দেখলে আমরা পুলকিত হতাম। ওটুকুই আমাদের চাওয়া ছিল।

কিন্তু আমাদের চাওয়াগুলো পূরণ হচ্ছে না। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস, আর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা একসঙ্গে ফুল দিতে যাননি। তারা গেছেন আলাদাভাবে। এটাও বহু বছরের ব্যতিক্রম। এসব নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রচলিত নিয়মের যখন ব্যতিক্রম হয় কোনো কারণ ছাড়াই, তখনই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে।

ঈদ নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন লেখক লিখেছেন, এমন স্বস্তির ঈদ তিনি জীবনে করেননি। কেন স্বস্তির, তা অবশ্য বলেননি। আবার অনেকে বলেছেন, খুব কষ্টে আছেন। ঈদে বাচ্চাদের কাপড় কিনে দিতে পারেননি। কেউ কেউ বলেছেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর হাতে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। আর দুর্ঘটনায় এক পরিবারের তিন ভাই মারা গেছেন।

একজন মেয়েকে দেখলাম, ঈদের কেনাকাটার জন্য দুটো লাগেজ কিনেছেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে। তিনি বলছেন, লাখের নিচে লাগেজ কেনেন না, সস্তায় পেলেন তাই কিনলেন শপিং বহন করা সহজ হবে বলে। বাসায় নিয়ে ফেলে দেবেন। তিনি জানালেন, তার ঈদের বাজেট কম। মাত্র পাঁচ লাখ। এরা কারা?

অন্য একজন নারীকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করায় তিনি বললেন, তার বাজেট ১০ হাজার টাকা। অত অল্প টাকায় কী কিনবেন— এই প্রশ্ন সাংবাদিক এমনভাবে করলেন যে নারীটি কেঁদে ফেললেন। এই সাংবাদিককে ট্রেনিং দেওয়া দরকার। আর এই যে পাঁচ লাখ টাকার স্বল্পমূল্যের বাজেট নিয়ে যিনি বাজারে এলেন, তিনি কে? দেখে তো মনে হয় ছাত্রী। এত টাকা এরা পায় কোথায়? এই গরিব দেশে এরা আছে কেন? এদের কেন চিহ্নিত করা হচ্ছে না!

সব কিছু মিলিয়ে হযবরল অবস্থা। এই হযবরলতে আছিয়ার পরিবারের ঈদ কেমন হয়েছে, কে জানে। এই পরিবারের জন্য কিছু ঈদ উপহারসামগ্রী পাঠানো হয়েছিল কোনো কোনো তরফ থেকে। সে ছবি এমনভাবে তুলে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে যে লজ্জা লাগে। সে ছবিতে আছিয়ার মা-বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এ তো উপহার না, গ্লানি!

আমরা আমজনতা অনেক প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে দিশেহারা। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কী হবে। ভালো হবে না মন্দ হবে? ভালো হলে কীভাবে হবে, কবে হবে? সেই সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছি আমরা।

লেখক: কথাশিল্পী, গবেষক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

আইন করে বৈষম্য টিকিয়ে রাখার ধারাই অব্যাহত থাকবে?

দিন দিন দারিদ্র্য বাড়ছে। কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থান নেই। এ পরিস্থিতিতে বেতন বাড়ার খবর মুদ্রাস্ফীতি আরেকবার বাড়িয়ে দেবে কি না, সেটা সময় বলে দেবে।

১৬ দিন আগে

প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো ছয় মানবাধিকার সংগঠনের চিঠিতে যা আছে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সাইডলাইনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি পাঠানো হয়, যার মধ‍্যে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর কিছু বিষয় রয়েছে।

১৯ দিন আগে

‘জুলাই সনদ প্রশ্নবিদ্ধ’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এমন শব্দচয়নের বিরোধিতা করে তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ জুলাই জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে খুব শিগগিরই একটি আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা প্রকাশের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

২১ দিন আগে

শান্তিতে নোবেল নিয়ে এত বিতর্ক কেন?

অনেকে বলছেন, এবারও পুরস্কারটি যেন পশ্চিমা শক্তি ও মার্কিন নীতির সমর্থনে বিতরণ করা হয়েছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি, দেশটির বিপুল তেল মজুদ, সাধারণ জনগণের কষ্ট—সবকিছুই এক জটিল চিত্র তৈরি করেছে।

২৩ দিন আগে