ঈদ উৎসব-পরবর্তী অর্থনীতি: চলছে বেচাকেনা হিসাব

ড. মিহির কুমার রায়
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ২৩

উৎসব আমাদের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি। বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী, উৎসব হচ্ছে আনন্দ অনুষ্ঠান, যা অনেকটা ধুমধাম বা জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপন করা হয়। এসব আনন্দ-আয়োজনে জনগোষ্ঠীর বড় অংশ সম্পৃক্ত থাকে।

উৎসবকে আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্যে তারা নানা পণ্য ও সেবা কিনে থাকেন; নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করেন। উৎসব সামনে রেখে উপহার বিতরণ করাও আমাদের সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতির অংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এ ধরনের উৎসবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, যা সাধারণভাবে উৎসবের অর্থনীতি নামে পরিচিত। সব মিলিয়ে উৎসব কেন্দ্র করে শিল্পপণ্য, কৃষিপণ্য, আমদানি করা পণ্য ও সেবা খাতে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়।

বাড়তি চাহিদার কারণে পণ্যের জোগানও বাড়ে, যা স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। পণ্য আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি থেকে সরকার বাড়তি রাজস্ব পেয়ে থাকে। উৎসবের মহাকর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত অর্থনীতির অংশকে উৎসবের অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, সেবা খাতের চাহিদা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয় নানা উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয়। উৎসবের পরিধি, এর আমেজ, উৎসব ঘিরে আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস যত বেশি থাকে, অর্থনীতিতে তত বেশি গতির সঞ্চার হয়। বাংলাদেশে এমন প্রধান দুটি উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। দুটি ঈদ ঘিরেই দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য ও গতি তৈরি হয়।

ঈদকেন্দ্রিক বাজারব্যবস্থা

ঈদ ঘিরে কী পরিমাণ বাড়তি পণ্য ও সেবা বিক্রি হয়, তার নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে আকারে এটি যে অনেক বড়, তা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। ব্যবসায়ীদের ধারণা, পোশাকশিল্পের বার্ষিক বিক্রির প্রায় ৬০ শতাংশ হয় দুই ঈদ ঘিরে। ঈদের মতো উৎসবে মিষ্টিজাতীয় পণ্যের বিক্রিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গত এক দশকে করপোরেট, তথা বড় ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য ঈদকেন্দ্রিক উপহার বিতরণের প্রচলনও অনেক বেড়েছে।

কৃষি, শিল্প, আমদানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, সেবা খাত, কর্মসংস্থান, সরকারের রাজস্ব আহরণ— সবকিছুতেই ঈদ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। উৎসবে পোশাক, জুতা, গয়না, প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এই চাহিদা পূরণে উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক ব্যস্ততায় দিন কাটায়।

Motamot-Dr-Mihir-Kumar-On-Eid-Economy

ঈদ ঘিরে প্রায় সব ধরনের পণ্যের বিক্রিই বেড়ে যায়। ফোকাস বাংলা ফাইল ছবি

পোশাকের কথাই ধরা যাক। দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পোশাকের একটি বড় অংশের জোগান দিয়ে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, কালীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো। ঈদুল ফিতরের তিন-চার মাস আগে থেকে এসব কারখানায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন চলে। পুরান ঢাকার বংশাল, সিদ্দিক বাজারসহ সংলগ্ন এলাকার ছোট ছোট কারখানায় জুতা ও ব্যাগ তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে। কারখানার মালিক ও শ্রমিকেরা যেন নাওয়া-খাওয়া ভুলে যান।

একই অবস্থা বিরাজ করে দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানায়, সেটি হতে পারে কুটিরশিল্প বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এ সময় তেল, চিনি, আটা, ময়দা, সেমাই, নুডলসসহ নানা ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যস্ততাও বেড়ে যায়।

উৎসবের সময় পোশাক, জুতা, গয়না, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। শহরের বড় শপিং মল থেকে শুরু করে গ্রামীণ জনপদের ছোট্ট দোকান পর্যন্ত ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে। এমনকি মুদি দোকানের বিক্রিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

দিন দিন দেশে ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের বিস্তার ঘটছে। সময়ের অভাব, যানজটের ধকল এড়ানো, যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়সহ নানা কারণে ক্রেতা-ভোক্তাদের মধ্যে ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উৎসবের সময়ে এসব প্ল্যাটফর্মে পণ্য ও সেবা বিক্রি অনেক বাড়ে, যা এই খাতের বিকাশ ও বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

ঈদ ঘিরে মানুষের চলাচল বাড়ে। এদের একটি বড় অংশ পরিবার ও স্বজনের সঙ্গে মিলিত হতে শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে শহরে যায়। একটি অংশ আবার উৎসবকালীন ছুটিকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। এতে পরিবহন ও ভ্রমণ খাতে সেবার চাহিদা বাড়ে।

ঈদ কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখায় এসব খাত বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থানের প্রায় ৬০ শতাংশই এসএমই, তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ওপর নির্ভরশীল। এসব শিল্প আবার অনেকাংশে উৎসবের ওপর ভর করে টিকে থাকে।

বিপুল বেকারের দেশে অসংখ্য তরুণ-তরুণী ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পাশাপাশি সেখানে কিছু কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। ঈদুল ফিতরে এসব প্ল্যাটফর্মে বিক্রি বাড়ে। উৎসবে কৃষক, অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক, যেমন— রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নৌকার মাঝি, মুটে, ডেলিভারিম্যানদেরও কাজ ও আয়-রোজগার বাড়ে।

উৎসব নানাভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে রক্তসঞ্চালন করে থাকে। ঈদ, পূজা, বিভিন্ন ধরনের মেলা ও পার্বণ ঘিরে গ্রামীণ উৎপাদকদের পণ্য বিক্রি বাড়ে। অন্যদিকে ঈদ সামনে রেখে শহরে ও প্রবাসে থাকা ব্যক্তিরা স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স হিসাবে বাড়তি টাকা পাঠান, যেন তারা উৎসবের ব্যয় নির্বাহ করতে পারেন। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ বাড়ে, বাড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা।

এ ছাড়া ঈদ ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যান। তারা গ্রামের বাজার থেকে পরিবারের জন্য নানা ধরনের পণ্য কেনেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যান। বিভিন্ন বিনোদনশিল্পসহ আরও অসংখ্য খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের মতো শিল্প খাতেও অবদান রাখে। ঈদে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে, যা গণমাধ্যমের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

এ বছরে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা

খবরে প্রকাশ, এবার ঈদে দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি বেচাকেনা হয়েছে। দেশীয় পণ্যের প্রতি ছিল ক্রেতা-ভোক্তার বিশেষ ঝোঁক। বিদেশি পণ্য খুব একটা সহজলভ্যও ছিল না। বিশেষ করে ভারতীয় পণ্যের দাপট এবার দেখা যায়নি। গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর ভারত যেতে ভিসা জটিলতার প্রভাবও ছিল বাজারে। সব মিলিয়ে দেশীয় পণ্যের একচেটিয়া দাপট ছিল এবারের ঈদবাজারে।

আবার রাজধানীর চেয়ে মফস্বল শহরে এবার তুলনামূলকভাবে বেচাকেনা ভালো হয়েছে। এর একটি বড় অংশই ছিল বাচ্চাদের পোশাক। আকাশযাত্রার টিকিট কিংবা ফার্নিচারের মতো আইটেমেরও বেচাকেনা বাড়ে ঈদে। সাধারণত পোশাক, প্রসাধনী ও বৈদ্যুতিক পণ্যকে ঈদ আইটেম হিসেবে গণ্য করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

Eid Market File Photo 06-04-2025 (1)

শপিং মল থেকে ফুটপাত— সবখানেই লাগে ঈদের ছোঁয়া। ফোকাস বাংলা ফাইল ছবি

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এবার ঈদের বাজার ছিল এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার। এটি গত বছরের রোজার ঈদের চেয়ে কিছুটা কম। ওই ঈদে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। সারা দেশের ৭০ লাখ দোকান থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়। সমিতির হিসাবমতে, শুধু রাজধানীতে ছোট-বড় বিপণিকেন্দ্র প্রায় আড়াই লাখ। দোকান আছে ৬০ লাখের মতো।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এবার ঈদে ব্যবসা পরিচালনা অনেকটাই মসৃণ ছিল। অন্যান্য বছররের মতো এবার ঈদ বাজারে এনবিআরের দিক থেকে হয়রানি ছিল না। দেশি-বিদেশি পণ্যের শ্রেণিকরণ খুব সুস্পষ্ট ছিল। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

তবে এবার প্রত্যাশা অনুসারে বেচাবিক্রি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো কম হয়েছে বিক্রি। যদি ভারতে আগের মতোই যাতায়াত সহজ হতো, তাহলে ঈদে দেশে বেচাবিক্রির পরিমাণ আরও কমে যেত। কারণ, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ‍অনেকেই কেনাকাটা করে থাকেন।

এবার কেনাবেচার পরিমাণ কম হওয়ার ব্যাখ্যায় এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আগে যে রকম মানুষের হাতে বাড়তি অর্থ থাকত, এবার সে সুযোগ নেই। যাদের বাড়তি টাকা থাকে, তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়তি কেনাকাটা করে থাকেন। আবার বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই বেতন বা বোনাস হয়েছে। একসঙ্গে বেতন-বোনাস পেয়েছেন– এরকম খুব কমই হয়েছে।

দেশীয় পণ্য, বিদেশি মলাট

জানা গেছে, এবারের ঈদে দেশীয় অনেক বস্ত্র ও পোশাক ভারতীয় ও পাকিস্তানি নামে বাজারে বিক্রি হয়েছে। আবার বিদেশি কিছু পণ্য ঈদকে টার্গেট করে এবার অনেকটা আগেভাগেই দেশের বাজারে ঢুকেছে। এ কারণে দেশীয় বস্ত্র ও পোশাক বিক্রির পরিমাণ অন্তত ২০ শতাংশ কম হয়েছে।

বেসরকারি বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক ও লিটিল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশে এবার ঈদের মানুষের মনোভাবকে পুঁজি করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অনেকের মধ্যে ভারতবিদ্বেষি মনোভাব রয়েছে— এ রকম অনুমান থেকে ভারত থেকে আনা বস্ত্র ও পোশাককে পাকিস্তানি বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার দেশীয় বস্ত্র ও পোশাককেও পাকিস্তানি পণ্য দাবি করে দ্বিগুণ দাম রাখা হয়েছে।

দেশীয় বস্ত্র ও পোশাকের মধ্যে কোনো কোনো পণ্যের মান ভারত-পাকিস্তান কেন, যেকোনো দেশের একই পণ্যের চেয়ে ভালো। এ কারণেই দেশীয় পণ্যকে বিদেশি বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তার মতে, দেড় লাখ কোটি টাকার এবারের ঈদবাজারের মধ্যে শুধু বস্ত্র ও পোশাকের পরিমাণ হবে অন্তত ৮৫ হাজার কোটি টাকার। সারা বছর দেশীয় বস্ত্র ও পোশাকের বাজারের আকার ১২ বিলিয়ন ডলার। এর একটি অংশই ঈদকেন্দ্রিক। পাজামা, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, শার্ট, গেঞ্জিসহ পরিধেয় সব বস্ত্র ও পোশাকই রয়েছে এর মধ্যে।

উপসংহার

নানা কারণে এবার ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির সামনে ছিল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। মব ভায়োলেন্স, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যাওয়া; মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া; রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ছিল আশঙ্কা।

এসব কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ধাক্কা খায়, যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীসহ জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এর ভুক্তভোগী হয়। তারপরও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঈদুল ফিতর শান্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপিত হয়েছে বলা যায়। গত বছরের তুলনায় ঈদ ঘিরে সার্বিক বেচাকেনা কমে গেলেও উৎসবের অর্থনীতি একেবারেই মলিন ছিল না।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি); সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা); সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে পারবে অন্তর্বর্তী সরকার?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সফরে রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সফরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

৮ দিন আগে

সাম্রাজ্যবাদ: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে হালের ডিপ স্টেট— একই মুদ্রার এ পিঠ-ও পিঠ!

হালের সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশবাদের নয়া কৌশলে দাবার ছকের নতুন গুটি জর্জ সোরেসের ‘ডিপ স্টেট’! এ কালের কাবলিওয়ালারা আক্রান্ত নিজ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমেই সেই সাম্রাজবাদের প্রসার ঘটিয়ে চলেছে দেশে দেশে। আর ডিপ স্টেটের প্রভুরা দেশীয় দোসরদের ব্যবহারের পর কাজ শেষে ছুড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে। তবে ততদিনে সাড়ে সর্

১৪ দিন আগে

হাইকোর্টের যে রায় ঘিরে আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন

এখন থেকে ঠিক এক বছর আগে, অর্থাৎ গত বছরের পাঁচই জুন হাইকোর্ট যখন সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছিল, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কেউ তখন ধারণাও করতে পারেনি যে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তাদের টানা দেড় দশকের শাসনের পতন ঘটে যাবে।

১৫ দিন আগে

শিক্ষায় অর্থায়ন: নিম্নমুখী বরাদ্দে ঊর্ধ্বমুখী অর্জন সম্ভব নয়

বৈষম্যের দেয়ালে ঘেরা এই বিশ্বে এখনও ২০ কোটির বেশি শিশু রয়েছে সাধারণ শিক্ষার বাইরে। যারা যাচ্ছে, তারাও আবার অনেক বিদ্যালয়ে গিয়ে যা শেখার তা শিখছে না। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালে নিম্ন আয়ের দেশে মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, আবার কম আয়ের দেশে এই সংখ্যা আরও

১৮ দিন আগে