মূলধারার গণমাধ্যমের বাহন হয়ে উঠেছে ফেসবুক

ড. কামরুল হক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ২২: ৪৯

ফেসবুক কি মূলধারার গণমাধ্যমকে সহজে হাতে পেতে সহায়তা করছে? নাকি মূলধারার গণমাধ্যমই ধীরে ধীরে ফেসবুক নির্ভর হয়ে পড়ছে? সাম্প্রতিক সময়ে এমন প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে।

মোবাইল ফোন এখন প্রায় সবার হাতে। ইন্টারনেট সংযোগও আছে মোবাইল ফোনে। আছে সহজলভ্য ডাটাও। তাই সোস্যাল মিডিয়া এখন হাতের মুঠোয়। এমন মোবাইল ফোন কি পাওয়া যাবে, যেখানে জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক ব্যবহার হয় না? কম লেখাপড়া জানা মানুষও এখন ফেসবুক ব্যবহার করেন অনায়াসে।

অন্যদিকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে কম্পিউটারের ব্যবহারও। এমন ঘরবাড়ি, অফিস বা প্রতিষ্ঠান হয়তো পাওয়া যাবে না, যেখানে কম্পিউটার নেই। কম্পিউটার থাকা মানেই তাতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে সেখানে ফেসবুকের ব্যবহারও আছে।

সোস্যাল মিডিয়াগুলো মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। সারা বিশ্বেই ফেসবুকের ব্যবাহার দ্রুত বাড়ছে। দেশেও ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ সংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। পরিসংখ্যান নিলে হয়তো দেখা যাবে, সংবাদপত্র পাঠকের চেয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক গুণ বেশি।

ইন্টারনেটকেন্দ্রিক আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের কারণে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক দ্রুত কমছে। পাঠক কমে যাওয়া মুদ্রিত সংবাদপত্রের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই মুদ্রিত সংবাদপত্র এখন আর গতানুগতিক ধারায় চলছে না। আশ্রয় নিতে হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির। ইন্টারনেটনির্ভর হতে হয়েছে। হতে হয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টালমুখী। অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে পাঠক ধরে রাখতে চাচ্ছে মুদ্রিত সংবাদপত্র।

বিশ্ব জুড়েই মুদ্রণ মাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। প্রচার সংখ্যা কমছে। পাঠক হারাচ্ছে মুদ্রিত সংবাদপত্র। অনেক প্রভাবশালী মুদ্রিত সংবাদপত্র মুদ্রণ সংস্করণ প্রকাশ করাই বন্ধ করে দিয়েছে। শুধুই অনলাইন পোর্টালে সংবাদপত্র প্রকাশ করছে।

দেশের সংবাদপত্রও এই অভিঘাত থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। শুধু তাই না, পুরোনো বা নতুন মুদ্রিত সংবাদপত্র ছাড়াও নতুন নতুন অনলাইন নিউজ পোর্টল চালু হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও দেশে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাশাপাশি হাতেগোনা কয়েকটি নিউজ পোর্টল ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই গণমাধ্যম দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সব টেলিভিশন চ্যানেল ও বিভিন্ন বার্তা সংস্থাও চালু করেছে অনলাইন পোর্টাল।

সারা দেশে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হওয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন খুব সহজেই বিপুল জনগোষ্ঠীর কাছে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল।

ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারেও অনেকটা বিপ্লবই ঘটে গেছে। বিপুল জনগোষ্ঠী সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। আর অনলাইন নিউজ পোর্টলগুলোও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সংযুক্ত হতে হয়েছে ফেসবুকের সঙ্গেও। দ্রুত ও বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছানোর জন্য নিউজ পোর্টালগুলো ফেসবুকমুখী হয়ে উঠছে।

ফেসবুক খুললেই নিউজ ফিডে অহরহ এসে হাজির হয় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের লিংক। সেই নিউজ ফিডে থাকে চমকপ্রদ বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো খবরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। দুই-তিন লাইনের সংবাদ বিবরণীর শেষে বলা থাকে— বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে। অনেক সময় তা বলা না থাকলেও কমেন্ট বক্সে ক্লিক করলেই খুলে যায় মূল নিউজ পোর্টাল। সামনে চলে আসে সেই খবর। অনেক সময় খবরের সঙ্গে ছবিও থাকে। পাওয়া যায় খবরের ভিডিও ক্লিপও। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফটোকার্ডও পাওয়া যায় ফেসবুকে, সেখানে থাকে ওই গণমাধ্যমের নিউজ পোর্টালের লিংক।

তাই ফেসবুকে সময় কাটাতে গিয়ে আগ্রহী পাঠক পেয়ে যান তরতাজা খবর। না চাইলেও তা পান। পেয়ে যান খুব সহজেই। পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর খবরের ফলোআপও। ঘটনার আগের তথ্যও সেই নিউজ পোর্টলেই পেতে পারেন পাঠক। ‘আরও খবর পড়ুন’ বা এ ধরনের কথা লিখে প্রাসঙ্গিক পূর্ববর্তী খবরের লিংক দেওয়া থাকে। শুধু একটি ক্লিক, তাতেই পাঠক পেয়ে যান চলমান ঘটনার আগের খবরও।

নিউজ পোর্টালে সংবাদ বিবরণীর মধ্যে কিছু শব্দ কিংবা বাক্য হাইপারলিংক করা থাকে। পাঠক ইচ্ছা করলে ওই বিশেষ শব্দ বা বাক্যের হাইপারলিংকে ক্লিক করে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট আরও খবর।

মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে খবর পড়ে মন ভরছে না? ছাপার অক্ষরে খবর পড়তে ইচ্ছা করছে? কোনো অসুবিধা নেই। প্রিন্ট অপশনে চলে গেলেই হলো। মন চাইলেই যেকোনো খবর প্রিন্ট করে নিয়ে পড়তে পারেন পাঠক। বিজ্ঞাপন বা যেকোনো প্রয়োজনীয় কনটেন্ট প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

ফেসবুক থেকে নিউজ পোর্টালে ঢুকলে পাঠকের চোখ শুধু একটি খবরে আটকে থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন খবরের দিকে চলে যায়। পছন্দের খবর পাঠককে টানতেই পারে। দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন পছন্দের অন্য খবরেও।

ইচ্ছা করলে ঢুকে যেতে পারেন ই-পেপারে। নিউজ পোর্টালে ই-পেপার অপশনে ক্লিক করলেই পাওয়া যায় মুদ্রিত সংবাদপত্রের অবয়ব। সেখানে পাঠক পেতে পারেন সেই দিনের মুদ্রিত সংবাদপত্রের পুরোটাই। তাই কোনো পাঠক নিউজ পোর্টালে খবর পড়তে অভ্যস্ত না হলেও অসুবিধা নেই মোটেই। মুদ্রিত সংবাদপত্রের আমেজে পড়ে নিতে পারেন সব খবর।

পুরো সংবাদপত্রটির সব পাতাই অবিকল সাজানো আছে ক্রম অনুযায়ী। যে খবর পড়তে চান তাতে ক্লিক করলেই ব্লোআপ হয়ে যায় সেটি। কেবল খবরই না, যেকোনো কনটেন্ট মুদ্রিত সংবাদপত্রের মতো করে পড়ে নিতে পারেন পাঠক। আগের কোনো বিশেষ দিনের সংবাদপত্র পড়তে ইচ্ছা করছে? কোনো সমস্যা নেই, ঢুকে যেতে হবে আর্কাইভে। দিন-তারিখ লিখে একটি শুধু ক্লিক করতে হবে। আগের দিন বা আরও আগের সংবাদপত্র মুহূর্তেই হাজির হয়ে যাবে সামনে।

নিউজ পোর্টাল থেকে পাঠক পেতে পারেন ওই সংবাদপত্রের বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার লিংক। সংবাদপত্রটির ইউটিউব চ্যানেলেও ঢুকে যেতে পারেন অনায়াসে। শুধু খবর পড়া না, দেখেও নিতে পারেন ইউটিউব চ্যানেল থেকে। চাইলে লাইভ খবর দেখার সুযোগও নিতে পারেন।

আগ্রহী ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজে থেকেও যেকোনো গণমাধ্যমের ফলোয়ার হতে পারেন। গণমাধ্যমের নাম লিখে সার্চ দিলেই তার ফেসবুক পেজ বা লিংক পাওয়া যাবে। সেখানে একটি ক্লিক করেই ফলোয়ার হওয়া যায় খুব সহজেই। এরপর থেকে ফেসবুকই নিয়ে যাবে নতুন খবরের কাছে। আপ টু ডেট খবর পেতে থাকবেন ফেসবুক থেকেই। ফেসবুকের নিউজ ফিড থেকেই পেতে থাকবেন বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা বার্তা সংস্থার খবর।

ফেসবুক নিজেও খবর প্রচারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আজকাল অনেক খবর ফেসবুক থেকেই জানা যায়। সিটিজেন জার্নালিজমও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুকের মাধ্যমে। যে কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীই সাংবাদিক হয়ে উঠছেন যখন-তখন। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক খবর তুলে আনছেন তারা। খবরের ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুকে। এতে দ্রুত অনেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রতিকার করা যাচ্ছে জনভোগান্তির। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারছে।

তবে এ ধরনের সাংবাদিকতায় অনেক সময় ভুল তথ্য প্রচারের সুযোগ থাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাতেও তা হতে পারে। মূলধারার সাংবাদিকতায় যে দায়বদ্ধতার প্রয়োজন হয়, এখানে তা থাকে না। মূলধারার সাংবাদিককে অবশ্যই তথ্য যাচাই করতে হয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বক্তব্য নিতে হয়। ফেসবুকে খবর প্রচারের ক্ষেত্রে এমন বাধ্যবাধকতা থাকে না।

সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক মূলধারার গণমাধ্যমের খবরের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস এখন গণমাধ্যমের খবরের উৎস হয় প্রায় প্রতিদিন। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রায়ই নিজের কোনো বক্তব্য বা বহুল আলোচিত বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

ইচ্ছা করলে তিনি তা গণমাধ্যমেও তা বলতে পারতেন। বিবৃতি দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। বেশি মানুষকে প্রভাবিত করার জন্যই হয়তো তারা ফেসবুকের আশ্রয় নেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তখন মূলধারার গণমাধ্যমের খবরের উৎস হয়ে ওঠে। গণমাধ্যমের খবর হয়ে উঠে সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস। ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে বিস্তারিত খবর তুলে আনেন গণমাধ্যমকর্মীরা। পাঠক ও দর্শক-শ্রোতাকে অবহিত করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার করার জন্য এখন ফেসবুক স্ট্যাটাসনির্ভর হয়ে উঠেছে। গণমাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের মুদ্রিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর সংস্কৃতি এখন নেই বললেই চলে। একসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সারা দিনই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসত। বিকেল থেকে আসত বেশি। আসত অনেক রাত পর্যন্ত। মুদ্রিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর যুগ পেরিয়েছে অনেক আগেই। ফ্যাক্সে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর দিনও শেষ হয়েছে। এসেছে ইন্টারনেটনির্ভর আধুনিক প্রযুক্তি। আর সবকিছু ছাপিয়ে ফেসবুকই যেন গণমানুষের কাছে পৌঁছার সহজ মাধ্যম।

এখন রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য-বিবৃতি দেন তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের ফেসবুক পেজগুলো এখন বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তাই গণমাধ্যমকে ফেসবুক থেকে বক্তব্য-বিবৃতির তথ্য নিয়ে খবর তৈরি করতে হয়।

মাঝে মাঝে ফেসবুকে কিছু তথ্য ভাইরাল হয়। দিনের পর দিন ফেসবুক জুড়ে তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। গণমাধ্যমের পাঠক, দর্শক, শ্রোতাও সে ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ভাইরাল বিষয়ের বিস্তারিত খবর খুঁজতে থাকেন। গণমাধ্যম তখন নীরব থাকতে পারে না। তাকে সক্রিয় হতে হয়। সেই ভাইরাল বিষয় তখন গণমাধ্যমের খবরের উৎস হয়ে ওঠে। সেই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়।

এখন ফেসবুক আর সোস্যাল মিডিয়ার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। মূলধারার গণমাধ্যম ফেসবুককে ভর করে দ্রুত বিপুলসংখ্যক পাঠক ও দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছতে চাচ্ছে। তাই ফেসবুক মূলধারার গণমাধ্যমের প্রভাবশালী সহযোগী হয়ে উঠেছে। হয়ে উঠেছে শক্তিশালী বাহন। এই প্রবণতা মূলধারার গণমাধ্যমের জন্য কল্যাণকর কি না, তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।

লেখক: সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গবেষক; সাবেক পরিচালক (গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি পরিবারই আছিয়াদের রক্ষাকবচ

নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক মাধ্যম হলো পরিবার। কারণ একটি শিশু তার শৈশবে পরিবারের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করে এবং তার জীবনের বাস্তব ঘটনাগুলো পরিবারের মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা হিসেবে পায়। শিশু যদি নিজের চিন্তা, ভাবনা ও আদর্শ অনুসারে জীবনযাপন করতে চায়, তবে তার নিজ পরিবারকে এ বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে।

৪ দিন আগে

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিল না কেউই

রাজনৈতিক সরকার বলুন কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; সব আমলেই তাদের সাথে একদল উন্মত্ত ক্ষমতাশালী মানুষ দেশকে কীভাবে প্রতিযোগিতা করে পিছিয়ে দিতে পারে, তার প্রমাণ বাংলাদেশ!

৫ দিন আগে

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের চিহ্ন যেভাবে বহন করতে হচ্ছে সীমান্তের পরিবারকে

১৬ বছরের নিমরার ঘুমটা কয়েক মুহূর্ত আগেই ভেঙে গিয়েছিল একটা ভারতীয় মিসাইলের শব্দে। বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিল সে। পা যেন আর নড়ছিল না নিমরার। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে নিমরাদের বাড়ির কয়েক মিটার দূরের মসজিদে ততক্ষণে আঘাত করেছে ওই ভারতীয় মিসাইলটা।

৫ দিন আগে

সাংস্কৃতিক সংঘাত ও বুদ্ধিনাশ: সাম্যের মৃত্যুতে সমাজের আত্মদর্শন

সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু আমাদের সামনে এমনই এক সাংস্কৃতিক সংঘাতের নির্মম প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। সাম্যর মৃত্যু কেবল রাজনৈতিক হত্যা নয়, এটি এক ভয়াবহ মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিনাশের দৃষ্টান্ত। তরুণদের চিন্তা, মত, অবস্থান, এমনকি অস্তিত্ব যদি সহ্য না হয়, তাহলে আমাদের সমাজ কোন পথে যাচ্ছে, তা

৫ দিন আগে