প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও হাতাহাতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। ছয় দিনের মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রমে রাকসু ও সিনেট মিকিয়ে মোট ৩৮১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাকসুর ২০টি পদে ৩১২টি ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯টি ফরম বিতরণ হয়েছে। রাকসুতে ৯টি প্যানেল এর মধ্যে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্যানেলগুলো থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন ১৯৪ জন।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের তথ্য বলছে, ডাকসুতে সর্বোচ্চ মনোনয়ন বিতরণ হয়েছে সহসভাপতি (ভিপি) পদে। এ পদের জন্য ১৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। আর কোনো সম্পাদক পদেও এত বেশি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি প্রার্থীরা। রাকসুর দ্বিতীয় শীর্ষ পদ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হতে মনোনয়ন নিয়েছেন ছয়জন।
রোববার (৩১ আগস্ট) ছিল মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের শেষ দিন। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি ঘিরে উত্তেজনা
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রদল। মনোনয়নপত্র সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধার মুখে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে মুখোমুখি অবস্থান চলে।
একপর্যায়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর দুপুর ২টা থেকে মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
শিবির ও অন্যদের মনোনয়ন সংগ্রহ
সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার মনোনয়ন নিতে গেলে ছাত্রদলের সঙ্গে তার সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে দেন। দুপুর ২টার দিকে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে ফরম নেন।
সংঘর্ষ ও আহত
দুপুর দেড়টার দিকে শিবিরের নেতাকর্মীরা রাকসু কার্যালয়ের সামনে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে বোতল ও জুতা নিক্ষেপ হয়। এ সময় শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আহত হন। সংঘর্ষে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন মনিরুল ইসলাম পড়ে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেন। সারা দিনের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।
মনোনয়ন বিতরণ ৩৮১টি
ছয় দিনে রাকসু ও সিনেটে মোট ৩৮১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাকসুর বিভিন্ন পদে ৩১২টি এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯টি ফরম বিতরণ হয়।
রাকসুতে বিভিন্ন পদের মধ্যে ভিপি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১৩ জন।জিএস পদের জন্য ছয়জন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদের জন্য আটজন নিয়েছেন মনোনয়ন ফরম।
অন্যান্য সম্পাদকীয় ক্রীড়া সম্পাদক পদে আটটি, সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনটি, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ছয়টি, মহিলা সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী মহিলা সম্পাদক পদে তিনটি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯টি, সহকারী তথ্য সম্পাদক পদে চারটি, মিডিয়া সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক পদে তিনটি, বিজ্ঞান সম্পাদক পদে তিনটি, সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক পদে ছয়টি, বিতর্ক সম্পাদক পদে দুটি, সহকারী বিতর্ক সম্পাদক পদে চারটি, পরিবেশ সম্পাদক পদে সাতটি ও সহকারী পরিবেশ সম্পাদক পদে আটটি মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হতে মনোনয়ন নিয়েছেন ৩৩ জন। পদহীনভাবেও ৯টি ফরম বিতরণ হয়েছে। এদিকে ৯টি প্যানেলের হয়ে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন ১৯৪ জন।
নির্বাচন কমিশনের সভা ও ওয়াকআউট
উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় সিনেট ভবনে রাকসু নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বৈঠক বসে। বৈঠকে শাখা ছাত্র মিশনের সভাপতির বক্তব্য নিয়ে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলে তারা সভা বর্জন করেন।
পরে ছাত্রদল ও অধিকার পরিষদও তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চললেও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায়নি। প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। উপাচার্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়ে। দুপুরে কেবল রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ঘটনাস্থলে যান। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এমন ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন।
ছাত্রনেতাদের বক্তব্য
রাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক সরদার বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা রাকসু ফি দিয়েছে। অথচ তারা ভোট দিতে পারবে না। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছি। নির্বাচনে অংশ নেব এবং দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সংগঠনের দাবির মুখে প্রশাসন যদি অন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে প্রতিরোধ করে, তবে এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত হবে। এতে রাকসু নির্বাচনে কেবল দুটি সংগঠন আধিপত্য বিস্তার করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা প্রত্যক্ষ করেছি। এটি একটি স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক।’
আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ছাত্রদল মূলত রাকসু নির্বাচন বানচালের ছক কষছিল। আমরা তালা ভেঙে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি।’
যা বলছে নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘২৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ হবে— এটি চূড়ান্ত। ছাত্ররা যেভাবে নির্বাচন চাইবে, আমরা সেভাবেই আয়োজন করব। আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব ব্যবস্থা নেব। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ৃৃ
উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও হাতাহাতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। ছয় দিনের মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রমে রাকসু ও সিনেট মিকিয়ে মোট ৩৮১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাকসুর ২০টি পদে ৩১২টি ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯টি ফরম বিতরণ হয়েছে। রাকসুতে ৯টি প্যানেল এর মধ্যে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্যানেলগুলো থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন ১৯৪ জন।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের তথ্য বলছে, ডাকসুতে সর্বোচ্চ মনোনয়ন বিতরণ হয়েছে সহসভাপতি (ভিপি) পদে। এ পদের জন্য ১৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। আর কোনো সম্পাদক পদেও এত বেশি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি প্রার্থীরা। রাকসুর দ্বিতীয় শীর্ষ পদ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হতে মনোনয়ন নিয়েছেন ছয়জন।
রোববার (৩১ আগস্ট) ছিল মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের শেষ দিন। এ দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি ঘিরে উত্তেজনা
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রদল। মনোনয়নপত্র সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধার মুখে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে মুখোমুখি অবস্থান চলে।
একপর্যায়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর দুপুর ২টা থেকে মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
শিবির ও অন্যদের মনোনয়ন সংগ্রহ
সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার মনোনয়ন নিতে গেলে ছাত্রদলের সঙ্গে তার সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে দেন। দুপুর ২টার দিকে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে ফরম নেন।
সংঘর্ষ ও আহত
দুপুর দেড়টার দিকে শিবিরের নেতাকর্মীরা রাকসু কার্যালয়ের সামনে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে বোতল ও জুতা নিক্ষেপ হয়। এ সময় শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আহত হন। সংঘর্ষে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন মনিরুল ইসলাম পড়ে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেন। সারা দিনের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।
মনোনয়ন বিতরণ ৩৮১টি
ছয় দিনে রাকসু ও সিনেটে মোট ৩৮১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাকসুর বিভিন্ন পদে ৩১২টি এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯টি ফরম বিতরণ হয়।
রাকসুতে বিভিন্ন পদের মধ্যে ভিপি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১৩ জন।জিএস পদের জন্য ছয়জন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদের জন্য আটজন নিয়েছেন মনোনয়ন ফরম।
অন্যান্য সম্পাদকীয় ক্রীড়া সম্পাদক পদে আটটি, সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনটি, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ছয়টি, মহিলা সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী মহিলা সম্পাদক পদে তিনটি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯টি, সহকারী তথ্য সম্পাদক পদে চারটি, মিডিয়া সম্পাদক পদে পাঁচটি, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক পদে তিনটি, বিজ্ঞান সম্পাদক পদে তিনটি, সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক পদে ছয়টি, বিতর্ক সম্পাদক পদে দুটি, সহকারী বিতর্ক সম্পাদক পদে চারটি, পরিবেশ সম্পাদক পদে সাতটি ও সহকারী পরিবেশ সম্পাদক পদে আটটি মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হতে মনোনয়ন নিয়েছেন ৩৩ জন। পদহীনভাবেও ৯টি ফরম বিতরণ হয়েছে। এদিকে ৯টি প্যানেলের হয়ে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন ১৯৪ জন।
নির্বাচন কমিশনের সভা ও ওয়াকআউট
উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় সিনেট ভবনে রাকসু নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বৈঠক বসে। বৈঠকে শাখা ছাত্র মিশনের সভাপতির বক্তব্য নিয়ে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলে তারা সভা বর্জন করেন।
পরে ছাত্রদল ও অধিকার পরিষদও তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চললেও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায়নি। প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। উপাচার্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়ে। দুপুরে কেবল রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ঘটনাস্থলে যান। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এমন ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন।
ছাত্রনেতাদের বক্তব্য
রাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক সরদার বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা রাকসু ফি দিয়েছে। অথচ তারা ভোট দিতে পারবে না। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছি। নির্বাচনে অংশ নেব এবং দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সংগঠনের দাবির মুখে প্রশাসন যদি অন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে প্রতিরোধ করে, তবে এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত হবে। এতে রাকসু নির্বাচনে কেবল দুটি সংগঠন আধিপত্য বিস্তার করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা প্রত্যক্ষ করেছি। এটি একটি স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক।’
আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ছাত্রদল মূলত রাকসু নির্বাচন বানচালের ছক কষছিল। আমরা তালা ভেঙে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি।’
যা বলছে নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘২৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ হবে— এটি চূড়ান্ত। ছাত্ররা যেভাবে নির্বাচন চাইবে, আমরা সেভাবেই আয়োজন করব। আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব ব্যবস্থা নেব। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ৃৃ
দেশি-বিদেশি সংবাদ প্রবাহে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিতে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাজারে এসেছে এই ইংরেজি দৈনিক। নতুন লোগোসহ পত্রিকাটির ট্যাগলাইন রাখা হয়েছে ‘উইন্ডো টু দ্য ওয়ার্ল্ড’।
১৪ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক মুজিবর বলেন, বহিরাগতদের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার বাস্তবতা নেই। শিক্ষার্থীদের সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেচবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে আগামীকাল (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বৈঠক করছি। বৈঠকের পর বাকি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
১৬ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ সাত হাজার ৫০৪ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন, নারী ভোটার ছয় কোটি ২২ লাখ পাঁচ হাজার ৮১৯ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন এক হাজার ২৩০ জন।
১৬ ঘণ্টা আগে