রাজশাহী ব্যুরো
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘৭৫ সালের বাকশাল ছিল ৭২-এর সংবিধানের ক্ষমতার কাঠামোর ধারাবাহিকতা। যেমনটা শেখ হাসিনা বাকশাল ২.০ তৈরি করতে গিয়েছিলেন ওই একই সংবিধানে। তিনি ভেবেছিলেন, গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে। সেটাই তিনি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জেনারেল আজিজ তার খুনি ভাইদের সুরক্ষা দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আইজিপি বেনজীরের মতো আমলারা কেবল ক্ষমতার দাপটে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এই শাসন ব্যবস্থায় তারা এভাবে টিকে থেকে মনে করেছিল এটা রিচস্থায়ী বন্দবস্ত হবে। গর্ব করে বলেছিলেন- শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঠিকই পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা আকাঙ্খা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে। তারা নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের সেই রাজনৈতিক শক্তি আছে? আমরা কি ছাত্র-জনতাকে এখনও ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পেরেছি? এই অভুত্থান দাবি করে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠুক। কাজেই আগামী নির্বাচনের আগেই আমাদেরকে জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কোনো চাকরি নয়, কোনো পদন্নতি নয়, কোনো বদলি নয়, যে সার্ভিসেই যান। পুরো রাষ্ট্রটাকে সাজানো হয়েছিল বিরোধী দলের উপর নির্যাতনের জন্য। তাদের ভয় দেখানোর জন্য। তাদেরকে ক্রসফায়ারে গুলি করা, নিয়ে গিয়ে গুম করে দেওয়া কিংবা মধ্যরাতে একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য ক্লাস টেনের একজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে আসা। এই ছিল তাদের শাসন। ত্রাসের রাজক্ত কায়েম করে এভাবে টিকে থাকাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা পকেটে তুলে বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতি অ্যাখ্যা দিয়ে যখন আত্মসম্মানে আঘাত হানলেন তখন তারা দেশের মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। তখন আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছিলেন হাসিনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে সাকি বলেন, আইনের সংস্কার করতে হবে। আর তার ভিত্তিতে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা আয়োজন করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কেউ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে আর কেউ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র যদি পেতে হয়, তাহলে আমাদের একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। তার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান নয়, হতে হবে একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান।
রাজশাহী জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জুয়েল রানার সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী প্রমুখ।
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘৭৫ সালের বাকশাল ছিল ৭২-এর সংবিধানের ক্ষমতার কাঠামোর ধারাবাহিকতা। যেমনটা শেখ হাসিনা বাকশাল ২.০ তৈরি করতে গিয়েছিলেন ওই একই সংবিধানে। তিনি ভেবেছিলেন, গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে। সেটাই তিনি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জেনারেল আজিজ তার খুনি ভাইদের সুরক্ষা দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আইজিপি বেনজীরের মতো আমলারা কেবল ক্ষমতার দাপটে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এই শাসন ব্যবস্থায় তারা এভাবে টিকে থেকে মনে করেছিল এটা রিচস্থায়ী বন্দবস্ত হবে। গর্ব করে বলেছিলেন- শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঠিকই পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা আকাঙ্খা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে। তারা নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের সেই রাজনৈতিক শক্তি আছে? আমরা কি ছাত্র-জনতাকে এখনও ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পেরেছি? এই অভুত্থান দাবি করে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠুক। কাজেই আগামী নির্বাচনের আগেই আমাদেরকে জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কোনো চাকরি নয়, কোনো পদন্নতি নয়, কোনো বদলি নয়, যে সার্ভিসেই যান। পুরো রাষ্ট্রটাকে সাজানো হয়েছিল বিরোধী দলের উপর নির্যাতনের জন্য। তাদের ভয় দেখানোর জন্য। তাদেরকে ক্রসফায়ারে গুলি করা, নিয়ে গিয়ে গুম করে দেওয়া কিংবা মধ্যরাতে একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য ক্লাস টেনের একজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে আসা। এই ছিল তাদের শাসন। ত্রাসের রাজক্ত কায়েম করে এভাবে টিকে থাকাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা পকেটে তুলে বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতি অ্যাখ্যা দিয়ে যখন আত্মসম্মানে আঘাত হানলেন তখন তারা দেশের মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। তখন আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছিলেন হাসিনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে সাকি বলেন, আইনের সংস্কার করতে হবে। আর তার ভিত্তিতে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা আয়োজন করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কেউ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে আর কেউ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র যদি পেতে হয়, তাহলে আমাদের একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। তার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান নয়, হতে হবে একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান।
রাজশাহী জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জুয়েল রানার সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী প্রমুখ।
সংঘর্ষের কারণ না জানা গেলেও দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই কলেজের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
১ দিন আগেখাগড়াছড়ির রামগড়ে উপজেলায় মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের নিজ ঘরেই দুজনের গলা কাটা মরদেহ পাওয়া গেছে।
১ দিন আগে