রাজশাহী ব্যুরো
অবৈধভাবে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মো. আতিকুর রহমান কালু রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নগরীর রাণীবাজার এলাকার মৃত তৈমুস হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালে আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য উদঘাটন করে। ফলে গত বছরের পহেলা আগস্ট দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি বিশেষ মামলা (মামলা নং-০৭/২০২৩) দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দায়ের করা এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনকে।
এর আগে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে আতিকুর রহমান কালুর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি দুদকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি নিজ নামে মোট ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখান। কিন্তু অনুসন্ধানে গিয়ে দুদক জানতে পারে, তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অন্যদিকে, আসামির আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া আয় এবং দায়-দেনাসহ মোট ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা গ্রহণযোগ্য উৎসের আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয় বাবদ তিনি ২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টাকা খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা। এ দুই অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা হয়। পরে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন জানান, আসামির নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও ছাত্র হত্যা হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওইদিন থেকে তিনি পলাতক রয়েছে। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবৈধভাবে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মো. আতিকুর রহমান কালু রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নগরীর রাণীবাজার এলাকার মৃত তৈমুস হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালে আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য উদঘাটন করে। ফলে গত বছরের পহেলা আগস্ট দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি বিশেষ মামলা (মামলা নং-০৭/২০২৩) দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দায়ের করা এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনকে।
এর আগে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে আতিকুর রহমান কালুর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি দুদকে তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি নিজ নামে মোট ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখান। কিন্তু অনুসন্ধানে গিয়ে দুদক জানতে পারে, তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৫১৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অন্যদিকে, আসামির আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া আয় এবং দায়-দেনাসহ মোট ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা গ্রহণযোগ্য উৎসের আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয় বাবদ তিনি ২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টাকা খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা। এ দুই অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা হয়। পরে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন জানান, আসামির নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও ছাত্র হত্যা হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওইদিন থেকে তিনি পলাতক রয়েছে। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু।
১৩ ঘণ্টা আগেএ বছর নান্দাইলে আউশ ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। এবার ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে মাত্র ৮৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ফলন ভালো হয়েছে, প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ২.৮২ মেট্রিক টন।
১৫ ঘণ্টা আগে