রাজশাহী ব্যুরো
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেন চালু এবং রেলের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে যৌথভাবে এ স্মারকলিপি প্রদান করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইতোপূর্বে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর রুটে চলাচল করত। যার ফলে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, অসুস্থ ব্যক্তি, চাকুরীজীবী এবং সর্ব সাধারন চলাচলের সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রেনটি অযৌক্তিক কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমস্ত সুবিধা ভোগকারী যাত্রীরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। যাত্রীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। জনগণের সুবিধা বিবেচনায় অবিলম্বে ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রেলে উন্নয়ন ও কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী কর্মকর্তার ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে। বিনিময়ে সরকার টাকা লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় নতুন সরকার এসেছে। রেল খাতে অতীতের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনী ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশন ও ট্রেনগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে।
এর আগে, বন্ধ ট্রেন আবার চালুর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলামকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজশাহী রেলভবনে তাঁর দপ্তরে অনুমতি ছাড়া ঢোকার প্রসঙ্গ তুলে তিনি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে নাগরিক সমাজ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা জিএমের কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে দপ্তরের একজন পিয়ন বলেন, জিএম মামুনুল ইসলাম শৌচাগারে আছেন। তখন তারা ভেতরে ঢুকে জিএমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে আগে থেকে রেলের দুই কর্মকর্তা বসে ছিলেন। শৌচাগার থেকে বেরিয়েই দপ্তরে লোকজন দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মামুনুল। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার চেম্বারে আসবেন, তো অনুমতি নেবেন না? একটু অনুমতি নেওয়ার তো ব্যাপার থাকে।’
তখন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘আমরা আপনার পিয়নকে জানিয়েই ঢুকেছি। আর এটা আপনার চেম্বার মানে? আপনার চেম্বার কেন? এটা সরকারি অফিস। আপনি সরকারের একজন সার্ভেন্ট।’ এ সময় জিএম বলেন, ‘কিন্তু আপনি একটা চেম্বারে আসবেন, বলবেন না?’ তখন জামাত খান বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, আপনি অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। এটা আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই অফিস চলে জনগণের টাকায়। জনগণকে কেন অনুমতি নিয়ে আসতে হবে? আজ আপনি যে ভবনে বসে আছেন, সেটা ১৯৯৭ সালে আমরা রক্ষা করেছি। এই রেলভবন রাজশাহী থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। আমরা রক্ত দিয়ে এটা রক্ষা করেছি।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জিএমের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার খুশি হওয়া উচিত ছিল যে জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজশাহীর নাগরিক সমাজ এসেছে। কিন্তু আপনি আপনার ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আপনি বলেছেন, অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। আপনি দেখেননি যে পিয়নের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে? আপনি কোনো সাংবাদিকের ফোনও ধরেন না। আপনি পাবলিক সার্ভেন্ট। ২৪ ঘণ্টা আপনি সার্ভিস দেবেন।’
পরে রাজশাহী ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম মোস্তফা (মামুন) সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর জিএম মামুনুল ইসলামের কাছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় সুজনের রাজশাহী জেলার সম্পাদক মাহমুদুল আলম, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আকবারুল হাসান (মিল্লাত), নারীনেত্রী সেলিনা বেগম, আঞ্জুমান আরা (লিপি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেন চালু এবং রেলের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে যৌথভাবে এ স্মারকলিপি প্রদান করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইতোপূর্বে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর রুটে চলাচল করত। যার ফলে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, অসুস্থ ব্যক্তি, চাকুরীজীবী এবং সর্ব সাধারন চলাচলের সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রেনটি অযৌক্তিক কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমস্ত সুবিধা ভোগকারী যাত্রীরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। যাত্রীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। জনগণের সুবিধা বিবেচনায় অবিলম্বে ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রেলে উন্নয়ন ও কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী কর্মকর্তার ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে। বিনিময়ে সরকার টাকা লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় নতুন সরকার এসেছে। রেল খাতে অতীতের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনী ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশন ও ট্রেনগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে।
এর আগে, বন্ধ ট্রেন আবার চালুর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলামকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজশাহী রেলভবনে তাঁর দপ্তরে অনুমতি ছাড়া ঢোকার প্রসঙ্গ তুলে তিনি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে নাগরিক সমাজ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা জিএমের কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে দপ্তরের একজন পিয়ন বলেন, জিএম মামুনুল ইসলাম শৌচাগারে আছেন। তখন তারা ভেতরে ঢুকে জিএমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে আগে থেকে রেলের দুই কর্মকর্তা বসে ছিলেন। শৌচাগার থেকে বেরিয়েই দপ্তরে লোকজন দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মামুনুল। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার চেম্বারে আসবেন, তো অনুমতি নেবেন না? একটু অনুমতি নেওয়ার তো ব্যাপার থাকে।’
তখন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘আমরা আপনার পিয়নকে জানিয়েই ঢুকেছি। আর এটা আপনার চেম্বার মানে? আপনার চেম্বার কেন? এটা সরকারি অফিস। আপনি সরকারের একজন সার্ভেন্ট।’ এ সময় জিএম বলেন, ‘কিন্তু আপনি একটা চেম্বারে আসবেন, বলবেন না?’ তখন জামাত খান বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, আপনি অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। এটা আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই অফিস চলে জনগণের টাকায়। জনগণকে কেন অনুমতি নিয়ে আসতে হবে? আজ আপনি যে ভবনে বসে আছেন, সেটা ১৯৯৭ সালে আমরা রক্ষা করেছি। এই রেলভবন রাজশাহী থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। আমরা রক্ত দিয়ে এটা রক্ষা করেছি।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জিএমের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার খুশি হওয়া উচিত ছিল যে জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজশাহীর নাগরিক সমাজ এসেছে। কিন্তু আপনি আপনার ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আপনি বলেছেন, অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। আপনি দেখেননি যে পিয়নের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে? আপনি কোনো সাংবাদিকের ফোনও ধরেন না। আপনি পাবলিক সার্ভেন্ট। ২৪ ঘণ্টা আপনি সার্ভিস দেবেন।’
পরে রাজশাহী ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম মোস্তফা (মামুন) সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর জিএম মামুনুল ইসলামের কাছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় সুজনের রাজশাহী জেলার সম্পাদক মাহমুদুল আলম, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আকবারুল হাসান (মিল্লাত), নারীনেত্রী সেলিনা বেগম, আঞ্জুমান আরা (লিপি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু।
১১ ঘণ্টা আগেএ বছর নান্দাইলে আউশ ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। এবার ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে মাত্র ৮৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ফলন ভালো হয়েছে, প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ২.৮২ মেট্রিক টন।
১৩ ঘণ্টা আগে