নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
দুস্থ নারীদের জন্য সরকারি সহায়তায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের তালিকায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সম্রাট কবীর বিপুলের স্ত্রী মোছা. সালমা আক্তারের নাম পাওয়া গেছে।
বুধবার (২১ মে) এ তথ্য জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) হতদরিদ্র নারীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, প্রকৃত অসচ্ছল নারীদের বাদ দিয়ে সচ্ছল পরিবারের এমন অনেক নারীর নাম তালিকায় রাখা হয়েছে।
অসচ্ছল নারীদের অভিযোগ, এসব সচ্ছল পরিবারের নারীরা সরকারি বরাদ্দের চাল তুলে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। সেই টাকায় অন্য বাজার-সদাই করেন। অন্যদিকে হতদরিদ্রদের অনেকে সরকারি সহায়তার সেই চালটুকুও পান না।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের গুদাম থেকে তালিকা থেকে নাম ডেকে ডেকে ভিডব্লিউবি প্রকল্পের চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ২৩৩ জন তালিকাভুক্ত উপকারভোগী নারী রয়েছেন। তাদের একেকজন মাসে ৩০ কেজি করে সরকারি চাল পেয়ে থাকেন।
উপকারভোগীরা জানান, বুধবার তারা একসঙ্গে পাঁচ মাসের বরাদ্দ ১৫০ কেজি চাল পেয়েছেন। বাজার দর অনুযায়ী ১৫০ কেজি চালের মূল্য ৭৫০০ টাকা। সেই তালিকায় সোহাগী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সম্রাট কবীর বিপুলের স্ত্রী সালমা আক্তারের নাম ১৯৪ নম্বর ক্রমিকে পাওয়া গেছে।
তালিকায় স্ত্রীর নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান সম্রাট কবীর বিপুল প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তবে স্ত্রীর নামে বরাদ্দ করা চাল তুলে তিনি তার প্রতিবেশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পারভীন আক্তারকে দিয়ে দেন বলে দাবি করেন।
বরাদ্দের চাল দান করার বিষয়ে চেয়ারম্যানের দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ প্রতিবেদক পারভীন আক্তারের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে পারভীন আক্তারকে পাওয়া যায়নি।
গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় দুবছর ধরে পারভীন আক্তার তার ছেলে রানা মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বসবাস করেন। তাকে কোনো সরকারি বরাদ্দ পেতে তারা দেখেননি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. ফাতেমাতুজ্জহুরা জানান, প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল দুই বছর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এবার থেকে অর্থবছরের সঙ্গে মিল রাখতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের জুন মাস পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসাবে বুধবার ভিডব্লিউবি প্রকল্পের গত পাঁচ মাসের অতিরিক্ত বরাদ্দ একসঙ্গে বিতরণ করা হয়েছে।
ভিউব্লিউবি বরাদ্দ বিতরণ উপলক্ষ্যে বুধবার ইউপি ভবনে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমাজুজ্জহুরা। প্রকল্পের দরিদ্র উপকারভোগীদের তালিকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ সুবিধাটি কেবল অসচ্ছল নারীদের জন্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
দুস্থ নারীদের জন্য সরকারি সহায়তায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের তালিকায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সম্রাট কবীর বিপুলের স্ত্রী মোছা. সালমা আক্তারের নাম পাওয়া গেছে।
বুধবার (২১ মে) এ তথ্য জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) হতদরিদ্র নারীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, প্রকৃত অসচ্ছল নারীদের বাদ দিয়ে সচ্ছল পরিবারের এমন অনেক নারীর নাম তালিকায় রাখা হয়েছে।
অসচ্ছল নারীদের অভিযোগ, এসব সচ্ছল পরিবারের নারীরা সরকারি বরাদ্দের চাল তুলে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। সেই টাকায় অন্য বাজার-সদাই করেন। অন্যদিকে হতদরিদ্রদের অনেকে সরকারি সহায়তার সেই চালটুকুও পান না।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের গুদাম থেকে তালিকা থেকে নাম ডেকে ডেকে ভিডব্লিউবি প্রকল্পের চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ২৩৩ জন তালিকাভুক্ত উপকারভোগী নারী রয়েছেন। তাদের একেকজন মাসে ৩০ কেজি করে সরকারি চাল পেয়ে থাকেন।
উপকারভোগীরা জানান, বুধবার তারা একসঙ্গে পাঁচ মাসের বরাদ্দ ১৫০ কেজি চাল পেয়েছেন। বাজার দর অনুযায়ী ১৫০ কেজি চালের মূল্য ৭৫০০ টাকা। সেই তালিকায় সোহাগী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সম্রাট কবীর বিপুলের স্ত্রী সালমা আক্তারের নাম ১৯৪ নম্বর ক্রমিকে পাওয়া গেছে।
তালিকায় স্ত্রীর নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান সম্রাট কবীর বিপুল প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তবে স্ত্রীর নামে বরাদ্দ করা চাল তুলে তিনি তার প্রতিবেশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পারভীন আক্তারকে দিয়ে দেন বলে দাবি করেন।
বরাদ্দের চাল দান করার বিষয়ে চেয়ারম্যানের দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ প্রতিবেদক পারভীন আক্তারের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে পারভীন আক্তারকে পাওয়া যায়নি।
গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় দুবছর ধরে পারভীন আক্তার তার ছেলে রানা মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় বসবাস করেন। তাকে কোনো সরকারি বরাদ্দ পেতে তারা দেখেননি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. ফাতেমাতুজ্জহুরা জানান, প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল দুই বছর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এবার থেকে অর্থবছরের সঙ্গে মিল রাখতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের জুন মাস পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসাবে বুধবার ভিডব্লিউবি প্রকল্পের গত পাঁচ মাসের অতিরিক্ত বরাদ্দ একসঙ্গে বিতরণ করা হয়েছে।
ভিউব্লিউবি বরাদ্দ বিতরণ উপলক্ষ্যে বুধবার ইউপি ভবনে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমাজুজ্জহুরা। প্রকল্পের দরিদ্র উপকারভোগীদের তালিকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ সুবিধাটি কেবল অসচ্ছল নারীদের জন্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ের পর গাছে চাপা পড়ে জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের সুরুজ আলীর দুটি, নুরুল ইসলামের একটি, আব্দুর রহিমের দুটি, আবু সিদ্দিকের একটি ও ইদ্রিস আলীর দুটি এবং সোহাগী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রিপনের দুটি, শাহ্ নেওয়াজের একটি ও সিরাজুল ইসলামের একটি বসতঘর ভেঙে গেছে
১ দিন আগেপ্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১ দিন আগেপ্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদি
১ দিন আগে