নেত্রকোনা প্রতিনিধি
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে গ্রামীণ সংস্কৃতি ও কৃষিতে খনার বচনের তাৎপর্য তুলে ধরতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলছে খনার মেলা। স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলঘর পরিসর আয়োজিত মেলায় কথা ও গানে খনার বচন তুলে ধরা হয়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) কেন্দুয়া উপজেলার আঙ্গারোয়া গ্রামে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কৃষক ও সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে এই মেলা।
রোববার বিকেল পর্যন্ত গ্রামীণ সংস্কৃতির পালাগান, কবিতা, বাউল গান, কিচ্ছাপালা অনুষ্ঠিত হয় মেলায়। আয়োজকরা জানান, চলমান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ের মধ্যে গাইন গীতসহ লুকায়িত সংগীতের বিভিন্ন ধারা, শ্লোক, খনার কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীবন আর জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।
স্থানীয় কৃষক ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা অনুষ্ঠানের যোগ দিয়েছেন। সেখানে রয়েছে বাঁশের বেত দিয়ে তৈরি কুলা, পাইল্লা, ধুছন, দাঁড়িপাল্লা, ধারি, মাটির তৈরি কলস, মটকি, সানকি, পাতিল। আরও রয়েছে পাট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন চিত্রপটসহ কৃষির নানা উপকরণের প্রদর্শনী, কৃষকদের মধ্যে দেশীয় বীজের বিনিময়। পরিবেশের কথা বিবেচনা করে মেলা প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক সামগ্রী নিষিদ্ধ করেছেন আয়োজকরা।
মেলায় গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক, প্রবীণ কৃষক বাউল মিয়া হোসেন, শিল্পী কফিল আহমেদ, কৃষ্ণকলি ও তার দল, শিল্পী আদিত্য ভৌমিক, বাউলশিল্পী সুনীল কর্মকার, সংগঠন সমগীত, ব্যান্ড সহজিয়া, চিৎকার, মুসা কলিম মুকুল, ফকির সাহেব, কুয়াশা মূর্খ, নূপুর সুলতানা, মঙ্গলঘরের শিল্পী কৃষক দুদু কাঞ্চন, দুলাল চিশতিসহ অন্যরা।
খনার মেলায় গান-কবিতা-আলোচনার মাধ্যমে খনার বচনের কথা তুলে ধরা হয়। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সকালে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর খনার ওপর বিশেষ আলোচনা পর্ব ‘জল ভালা ভাসা/ মানুষ ভালা চাষা’ নিয়ে কথা বলেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সংগঠক দেলোয়ার জাহান, কবি আহমেদ নকিব, লেখক ও সংস্কৃতি সংগঠক বাকি বিল্লাহ, শিল্পী ও সংস্কৃতি সংগঠক বীথি ঘোষ, কবি আসমা বীথি, সংস্কৃতি সংগঠক আবুল কালাম আল আজাদ, লোক-সাহিত্য গবেষক সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাস, মঙ্গলঘর পরিসরের প্রধান সংগঠক বদরুন নূর চৌধুরী।
সংগঠক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছর থেকে আঙ্গারোয়া গ্রামে তারা এই মেলা শুরু করেছেন। মেলার আয়োজন করতে পেরে তারা এক ধরনের নতুন অনুভূতি ও আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন। কারণ, জনজীবনের দৈনন্দিন কার্যকলাপ, আচার-অনুষ্ঠান, কৃষি সংস্কৃতি, সমাজের সংস্কার ও বিশ্বাস নিয়ে খনা বচন রচনা করেছেন। এসব বচনের মধ্য দিয়ে লোকায়ত বাংলার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে।
লেখক পাভেল পার্থ বলেন, খনা আমাদের সমাজের নানান অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রবাদ-প্রবচনের মাধ্যমে। এসব বচনের সঙ্গে কৃষি সংস্কৃতির এবং প্রাণ-প্রকৃতির সম্পর্ক আছে। আমরা আজ যে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলছি, খনা তা হাজার বছর আগেই বলে গেছেন।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাসিন্দা কৃষক কামাল মিয়া বলেন, গত বছর এই মেলা হয়েছে শুনেছি, কিন্তু আসা হয়নি। এবার মেলায় আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খনার বচনে কৃষির অনেক নতুন বিষয় জানতে পেরেছি। খনার বচন প্রকৃতি সম্পর্কে কৃষককে অনেক ধারণা দিতে পারে। এরকম মেলার আয়োজন বিভিন্ন স্থানে আরো হওয়া উচিত।
খনার বচন মেলায় আসা কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা অধ্যক্ষ তাজিম উদ্দীন ফকির বলেন, খনার মেলার ধারণাটি আকর্ষণীয়। খনার বচনের বিষয়টাকে বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে আমরা সামনে আনিনি কখনো। তিনি কোনো রাজনৈতিক বা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। আর্থসামাজিক যে সত্যগুলো মানুষের জীবনের সঙ্গে, খাবারের সঙ্গে, আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্ত, সেই সত্যগুলো খনা বলতেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া কম্যুনিকেশন প্রতিষ্ঠান কুল এক্সপোজার এ মেলা আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে।
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে গ্রামীণ সংস্কৃতি ও কৃষিতে খনার বচনের তাৎপর্য তুলে ধরতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলছে খনার মেলা। স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলঘর পরিসর আয়োজিত মেলায় কথা ও গানে খনার বচন তুলে ধরা হয়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) কেন্দুয়া উপজেলার আঙ্গারোয়া গ্রামে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কৃষক ও সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে এই মেলা।
রোববার বিকেল পর্যন্ত গ্রামীণ সংস্কৃতির পালাগান, কবিতা, বাউল গান, কিচ্ছাপালা অনুষ্ঠিত হয় মেলায়। আয়োজকরা জানান, চলমান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ের মধ্যে গাইন গীতসহ লুকায়িত সংগীতের বিভিন্ন ধারা, শ্লোক, খনার কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীবন আর জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।
স্থানীয় কৃষক ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা অনুষ্ঠানের যোগ দিয়েছেন। সেখানে রয়েছে বাঁশের বেত দিয়ে তৈরি কুলা, পাইল্লা, ধুছন, দাঁড়িপাল্লা, ধারি, মাটির তৈরি কলস, মটকি, সানকি, পাতিল। আরও রয়েছে পাট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন চিত্রপটসহ কৃষির নানা উপকরণের প্রদর্শনী, কৃষকদের মধ্যে দেশীয় বীজের বিনিময়। পরিবেশের কথা বিবেচনা করে মেলা প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক সামগ্রী নিষিদ্ধ করেছেন আয়োজকরা।
মেলায় গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক, প্রবীণ কৃষক বাউল মিয়া হোসেন, শিল্পী কফিল আহমেদ, কৃষ্ণকলি ও তার দল, শিল্পী আদিত্য ভৌমিক, বাউলশিল্পী সুনীল কর্মকার, সংগঠন সমগীত, ব্যান্ড সহজিয়া, চিৎকার, মুসা কলিম মুকুল, ফকির সাহেব, কুয়াশা মূর্খ, নূপুর সুলতানা, মঙ্গলঘরের শিল্পী কৃষক দুদু কাঞ্চন, দুলাল চিশতিসহ অন্যরা।
খনার মেলায় গান-কবিতা-আলোচনার মাধ্যমে খনার বচনের কথা তুলে ধরা হয়। ছবি: রাজনীতি ডটকম
সকালে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর খনার ওপর বিশেষ আলোচনা পর্ব ‘জল ভালা ভাসা/ মানুষ ভালা চাষা’ নিয়ে কথা বলেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সংগঠক দেলোয়ার জাহান, কবি আহমেদ নকিব, লেখক ও সংস্কৃতি সংগঠক বাকি বিল্লাহ, শিল্পী ও সংস্কৃতি সংগঠক বীথি ঘোষ, কবি আসমা বীথি, সংস্কৃতি সংগঠক আবুল কালাম আল আজাদ, লোক-সাহিত্য গবেষক সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাস, মঙ্গলঘর পরিসরের প্রধান সংগঠক বদরুন নূর চৌধুরী।
সংগঠক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছর থেকে আঙ্গারোয়া গ্রামে তারা এই মেলা শুরু করেছেন। মেলার আয়োজন করতে পেরে তারা এক ধরনের নতুন অনুভূতি ও আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন। কারণ, জনজীবনের দৈনন্দিন কার্যকলাপ, আচার-অনুষ্ঠান, কৃষি সংস্কৃতি, সমাজের সংস্কার ও বিশ্বাস নিয়ে খনা বচন রচনা করেছেন। এসব বচনের মধ্য দিয়ে লোকায়ত বাংলার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে।
লেখক পাভেল পার্থ বলেন, খনা আমাদের সমাজের নানান অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রবাদ-প্রবচনের মাধ্যমে। এসব বচনের সঙ্গে কৃষি সংস্কৃতির এবং প্রাণ-প্রকৃতির সম্পর্ক আছে। আমরা আজ যে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলছি, খনা তা হাজার বছর আগেই বলে গেছেন।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাসিন্দা কৃষক কামাল মিয়া বলেন, গত বছর এই মেলা হয়েছে শুনেছি, কিন্তু আসা হয়নি। এবার মেলায় আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খনার বচনে কৃষির অনেক নতুন বিষয় জানতে পেরেছি। খনার বচন প্রকৃতি সম্পর্কে কৃষককে অনেক ধারণা দিতে পারে। এরকম মেলার আয়োজন বিভিন্ন স্থানে আরো হওয়া উচিত।
খনার বচন মেলায় আসা কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা অধ্যক্ষ তাজিম উদ্দীন ফকির বলেন, খনার মেলার ধারণাটি আকর্ষণীয়। খনার বচনের বিষয়টাকে বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে আমরা সামনে আনিনি কখনো। তিনি কোনো রাজনৈতিক বা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। আর্থসামাজিক যে সত্যগুলো মানুষের জীবনের সঙ্গে, খাবারের সঙ্গে, আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্ত, সেই সত্যগুলো খনা বলতেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া কম্যুনিকেশন প্রতিষ্ঠান কুল এক্সপোজার এ মেলা আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কীভাবে ফি নেওয়া হবে—সে বিষয়ে সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই, যা থাকাটা প্রয়োজন।
১৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক করোনা রোগী বাথরুমে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের বাথরুমে পড়ে তিনি মারা যান। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হার্ট এটাকে তিনি মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
১৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতার ছেলের আকিকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ওই সাতজন আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মঙ্গলবার রাতে সেখানে হাজির হন। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেলে সেখানে গিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
১ দিন আগেপুলিশ ও জেলা বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, দুই বছর আগে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ওই ঘটনায় নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের আমলী কেশবপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে সুমন মিয়া গত ১১ মে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন।
১ দিন আগে