রাশিয়া নিয়ে পাঠানো হয় ইউক্রেন যুদ্ধে, খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের নাজিরের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ০৩

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের নাজির উদ্দিনকে প্যাকেজিং কোম্পানিতে চাকরির কথা বলে নেয়া হয় রাশিয়ায়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর পাঠানো হয় সামরিক প্রশিক্ষণে। ১৪ দিন প্রশিক্ষণ দেয়ার পর পাঠানো হয় ইউক্রেন যুদ্ধে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সাথে যোগাযোগ নেই নাজিরের। তার চিন্তায় তার বাবা, নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তার স্ত্রী। শিশু সন্তান চেয়ে আছে বাবার অপেক্ষায়। নাজির উদ্দিনের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কুরমুশী গ্রামে। ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিনের একমাত্র সন্তান তিনি।

জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর নাজির উদ্দিন রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। দুবাই হয়ে রাশিয়া পৌঁছান তিনি। তারপর একটি ক্যাম্পে কয়েকদিন রাখা হয়। কিছুদিন পর সেখান থেকে বিমানে আরেক জায়গায় নেয়া হয়। ওই জায়গায় ১৪ দিনের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে নেয়া হয় তাদের। গত ১৬ এপ্রিল সকালে নাজির উদ্দিন টেলিফোন কান্না করে বাবা ও স্ত্রীকে জানান, তাদের ইউক্রেনের সম্মুখ সমরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেদিনের পর থেকে বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগ নেই নাজির উদ্দিনের।

এর আগে ২০১৭ সালে নাজির ইরাক গিয়েছিলেন। তিন বছর সেখানে চাকরি করে দেশে ফিরে আসেন। নিজ এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু সফল হননি। তাই আবার বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার সাথে ঢাকার মিরপুর এলাকার এসপি গ্লোবাল নামক একটি জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের মামুন নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে রাশিয়া যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

নাজিরের বাবা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে প্যাকেজিং কোম্পানীতে চাকরির আশা নিয়ে রাশিয়া গেছে। তাকে কেন যুদ্ধে পাঠানো হলো। তাকে যারা চাকরি দেয়ার মিথ্যা কথা বলে রাশিয়া নিয়ে যুদ্ধে পাঠিয়েছে, তাদের বিচার চাই। তিনি তার ছেলেকে ফিরিয়ে আনায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকার ও রাশিয়ান দূতাবাদের প্রতি দাবি জানান।

নাজির উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নাজির। রাশিয়া যাওয়ার পর তাকে যখন যুদ্ধের প্রশিক্ষণে পাঠানোর কথা জানতে পারে, তখন থেকে প্রতিদিন টেলিফোন করে কান্নাকাটি করতেন। ১৬ এপ্রিলের পর থেকে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মরে গেছেন, সে সম্পর্কেও কোন খোঁজ পাচ্ছেন না।

তিনি আরো বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। সেও প্রতিদিন বাবার খবরের আশায় মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে। সরকার প্রধানের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

স্থানীয় সোহাগ বলেন, সে অনেক ভালো লোক ছিলো, তার সাথে দালাল চক্রের এরকম করা ঠিক হয়নি। আমরা এলাকাবাসী চাচ্ছি নাজিরকে যেন দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় যুবদল নেতা কারাগারে

নাটোরের সিংড়া উপজেলার উত্তর দমদমা এলাকায় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় পান্না সরকার (৩৬) নামে এক যুবদল নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে পুলিশ তাকে চালান দিলে এ আদেশ দেন আদালত। এর আগে শুক্রবার (৩০ মে) রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

১৫ ঘণ্টা আগে

চবিতে তরুণীকে লাথি মারা কর্মীকে জামায়াতের বহিষ্কার

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে তরুণীকে লাথি মারায় আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে মহানগর জামায়াত। অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৬ ঘণ্টা আগে

রাজধানীতে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম এলাকায় দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতদের নাম-ঠিকানা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাদের বয়স হবে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫। আজ শনিবার দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

১৮ ঘণ্টা আগে

শিক্ষার্থীদের অজানা, শিক্ষকদের ভুলে যাওয়া এক জাদুঘর

ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ। দীর্ঘ ইতিহাস আর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের বাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে ছিল একটি নিজস্ব জাদুঘর, যা আজ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পড়ে আছে তালাবদ্ধ অবস্থায়। অযত্ন, অবহেলা ও অবমূল্যায়নের নিদর্শন হয়ে, গৌরবময় অতীতের সাক্ষ্

১৮ ঘণ্টা আগে