পটুয়াখালী প্রতিনিধি
তিন দফা দাবিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শান্তিপূর্ণ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস ও চিকিৎসাসেবা থেকে বিরত থেকে একাডেমিক শাটডাউনের মাধ্যমে মানববন্ধনে অংশ নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধন চলাকালে আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১৪ এপ্রিলের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া এবং ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল দ্রুত চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়ার তিনটি দাবি তুলে ধরে ধরেন।
তাদের দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক সবুর সুমন, সুমাইয়া সাইমা শর্মী, স্বর্ণা মজুমদার প্রমুখ।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সম্প্রতি এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি, অথচ একজন শিক্ষককে আগেই ওএসডি করা হয়েছে, যা ন্যায্য নয়।
তারা আরো বলেন, বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চালু ও জনবল নিয়োগের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই তাদের তিনদফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের কর্মবিরতি আরও কঠোর করা হবে।
পরে আন্দোলনকারীরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আতিকুর রহমান আন্দোলনকারীদের কাছে থেকে স্বারকলিপি গ্রহন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। ইতোমধ্যে ৫০০ শয্যার হাসপাতালের কাজ শেষ হয়েছে, আগামী জুলাই মাসে এটি চালু করা হবে। জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিক গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে সহপাঠীদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। ওই দিন বিকেলে আশিক পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আশিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠিরা বিক্ষোভে ফেটে পরে। আশিকের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবারের সকল পরীক্ষা এবং ক্লাস স্থাগিত করেছে।
এ ঘটনায় রাতেই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মো. খালেদুর রহমান মিয়াকে। আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠলে ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (কাডির্ওলোজি) এ,এস, এম শামীম আল আজাদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নাসিং ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের নামে।
তিন দফা দাবিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শান্তিপূর্ণ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস ও চিকিৎসাসেবা থেকে বিরত থেকে একাডেমিক শাটডাউনের মাধ্যমে মানববন্ধনে অংশ নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধন চলাকালে আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১৪ এপ্রিলের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া এবং ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল দ্রুত চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়ার তিনটি দাবি তুলে ধরে ধরেন।
তাদের দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক সবুর সুমন, সুমাইয়া সাইমা শর্মী, স্বর্ণা মজুমদার প্রমুখ।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সম্প্রতি এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি, অথচ একজন শিক্ষককে আগেই ওএসডি করা হয়েছে, যা ন্যায্য নয়।
তারা আরো বলেন, বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চালু ও জনবল নিয়োগের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই তাদের তিনদফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের কর্মবিরতি আরও কঠোর করা হবে।
পরে আন্দোলনকারীরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দেন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. এ এফ এম আতিকুর রহমান আন্দোলনকারীদের কাছে থেকে স্বারকলিপি গ্রহন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। ইতোমধ্যে ৫০০ শয্যার হাসপাতালের কাজ শেষ হয়েছে, আগামী জুলাই মাসে এটি চালু করা হবে। জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিক গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে সহপাঠীদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। ওই দিন বিকেলে আশিক পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আশিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠিরা বিক্ষোভে ফেটে পরে। আশিকের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবারের সকল পরীক্ষা এবং ক্লাস স্থাগিত করেছে।
এ ঘটনায় রাতেই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মো. খালেদুর রহমান মিয়াকে। আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠলে ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (কাডির্ওলোজি) এ,এস, এম শামীম আল আজাদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নাসিং ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের নামে।
রংপুরের পীরগাছায় যাত্রীবাহী পদ্মরাগ কমিউটার ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রংপুর ও লালমনিরহাটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেসহকারী শিক্ষক এস এম জিয়াউল হক অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক আজিজুর রহমানের এমপিওভুক্তি অবৈধ। এ বিষয়ে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগে