অরুণ কুমার
তখন অনেক রাত। রবীন্দ্রনাথ জেগে আছেন। হয়তো লিখছিলেন, কিংবা ভাবনার জগতে ছিলেন নিমগ্ন। হঠাৎ কে যেন গান গেয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঝুলবারান্দায় আসেন। কুঠিবাড়ির সামনে চওড়া গেঁয়ো পথ। সেই পথে গান গেয়ে যাচ্ছে অচেনা শিল্পী। লোকটার হাতে লন্ঠন। দূর থেকে ম্লান আলোয় পুরো চেহারা বোঝা যায় না। গানটা ভারি ভালো লাগে রবি ঠাকুরের। যেমন কথা, তেমনি মিঠে সুর। গায়কিও চমৎকার। পরদিন রবীন্দ্রনাথ জানতে পারেন, রাতে যিনি গান গাইতে গাইতে এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি শিলাইদহ পোস্ট অফিসের ডাকহরকরা। অর্থাৎ রানার। রাতে ডাক নিয়ে ফেরার পথে উচ্চ স্বরে গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি। লোকটার নাম গগন। গগন হরকরা।
লোকটার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ভাবেন রবীন্দ্রনাথ। ডেকে পাঠান তাঁকে। দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ গগন। বয়সেও রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বেশ বড়। গান তিনি গান, তবে অন্যের লেখা গান নয়। নিজের লেখা, নিজেরই সুর। রবীন্দ্রনাথ আবার শোনেন সেই গান। বড় ভালো লাগে।
বেশ কয়েক বছর পর। এ দেশের রাজনীতি তখন উত্তাল। ব্রিটিশ সরকার শাসন আর শোষণের সুবিধার্থে বাংলাকে ভেঙে দুভাগ করতে চাইছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথসহ দেশের বহু মানুষ তখন এই বাংলা ভাগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আন্দোলন করে। সেই আন্দলনের সময় রবীন্দ্রনাথ একটা গান লেখেন। সেটাই এখন আমাদের জাতীয় সংগীত। কিন্তু গানটা রবীন্দ্রনাথ লিখলেও, সুরটা তাঁর নিজের নয়, শিলাইদহের সেই ডাকহরকরা সেই রাতে যে গান গাইতে গাইতে ডাকের বস্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই গানটার সুর বসিয়ে দিলেন আমার সোনার বাংলা গানের গায়ে। পেয়ে গেলাম মন নরম করে দেওয়া আমাদের জাতীয় সংগীতটা। আর গগন হরকরার সেই গানের কথা ছিল:
‘আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে…
হারায়ে সেই মানুষে, কার উদ্দেশে
আমি কার উদ্দেশে বেড়াই ঘুরে…’
তখন অনেক রাত। রবীন্দ্রনাথ জেগে আছেন। হয়তো লিখছিলেন, কিংবা ভাবনার জগতে ছিলেন নিমগ্ন। হঠাৎ কে যেন গান গেয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঝুলবারান্দায় আসেন। কুঠিবাড়ির সামনে চওড়া গেঁয়ো পথ। সেই পথে গান গেয়ে যাচ্ছে অচেনা শিল্পী। লোকটার হাতে লন্ঠন। দূর থেকে ম্লান আলোয় পুরো চেহারা বোঝা যায় না। গানটা ভারি ভালো লাগে রবি ঠাকুরের। যেমন কথা, তেমনি মিঠে সুর। গায়কিও চমৎকার। পরদিন রবীন্দ্রনাথ জানতে পারেন, রাতে যিনি গান গাইতে গাইতে এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি শিলাইদহ পোস্ট অফিসের ডাকহরকরা। অর্থাৎ রানার। রাতে ডাক নিয়ে ফেরার পথে উচ্চ স্বরে গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি। লোকটার নাম গগন। গগন হরকরা।
লোকটার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ভাবেন রবীন্দ্রনাথ। ডেকে পাঠান তাঁকে। দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ গগন। বয়সেও রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বেশ বড়। গান তিনি গান, তবে অন্যের লেখা গান নয়। নিজের লেখা, নিজেরই সুর। রবীন্দ্রনাথ আবার শোনেন সেই গান। বড় ভালো লাগে।
বেশ কয়েক বছর পর। এ দেশের রাজনীতি তখন উত্তাল। ব্রিটিশ সরকার শাসন আর শোষণের সুবিধার্থে বাংলাকে ভেঙে দুভাগ করতে চাইছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথসহ দেশের বহু মানুষ তখন এই বাংলা ভাগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আন্দোলন করে। সেই আন্দলনের সময় রবীন্দ্রনাথ একটা গান লেখেন। সেটাই এখন আমাদের জাতীয় সংগীত। কিন্তু গানটা রবীন্দ্রনাথ লিখলেও, সুরটা তাঁর নিজের নয়, শিলাইদহের সেই ডাকহরকরা সেই রাতে যে গান গাইতে গাইতে ডাকের বস্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই গানটার সুর বসিয়ে দিলেন আমার সোনার বাংলা গানের গায়ে। পেয়ে গেলাম মন নরম করে দেওয়া আমাদের জাতীয় সংগীতটা। আর গগন হরকরার সেই গানের কথা ছিল:
‘আমি কোথায় পাব তারে
আমার মনের মানুষ যে রে…
হারায়ে সেই মানুষে, কার উদ্দেশে
আমি কার উদ্দেশে বেড়াই ঘুরে…’
এবারের সময়টা যেন শুধু মা-মেয়ের। তেমনই দেখা গেল মিথিলার স্টোরিতে দেওয়া ছোট এক ভিডিওতে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, মায়ের পাশে বসে ইংরেজি গান গাইছে আইরা। আর তাতে গিটার সঙ্গত করছেন মা মিথিলা।
১৯ ঘণ্টা আগেসংবাদমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়—‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ না বলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও'র সঙ্গে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষের তর্ক-বিতর্ক, এমনকি দুর্ব্যবহার বা মারধরের ঘটনাও ঘটে। গুগলে ‘স্যার না বলায়’ লিখে খুঁজলেই এমন শত শত খবর পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ইউএনওকে স্যার না বলা
১ দিন আগেএই যুদ্ধ কেন হয়েছিল তা বুঝতে গেলে আমাদের উনিশ শতকের মাঝামাঝি ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একবার ঝালিয়ে নিতে হবে। ১৭০৭ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই মুঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
২ দিন আগেডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়া এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের পলিফেনলস, যেমন punicalagin (পিউনিকালাজিন) এবং ellagic acid (এল্যাজিক অ্যাসিড), যেগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
২ দিন আগে