আবু হেনা তিমু
হামিদুজ্জামান খান (জন্ম: ১৬ মার্চ ১৯৪৬, মৃত্যু: ২০ জুলাই ২০২৫) বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর কাজ শুধু রূপ-রসের শিল্প নয়; বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী প্রতীক। ভাস্কর হিসেবে তাঁর সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম ও নান্দনিক অনুভূতি বাংলাদেশের শিল্প-ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
হামিদুজ্জামান খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৬ সালে, বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিল্পের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে (বর্তমান চারুকলা অনুষদ) চিত্রকলা বিভাগে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার আধুনিক শিল্পচর্চা ও ভাস্কর্যের সঙ্গে পরিচিত হন।
হামিদুজ্জামান খানের সৃষ্ট ভাস্কর্যগুলো বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, রাজনৈতিক আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রকাশ। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে: “স্বাধীনতা” (সাভার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা), “বিজয়ের প্রতীক” (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), রানী ভিক্টোরিয়ার পরিবর্তে ঢাকার ভাস্কর্য স্থাপন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনারগাঁও হোটেলসহ বিভিন্ন পাবলিক স্থানে ব্রোঞ্জ, স্টিল ও পাথরের ভাস্কর্য।
তাঁর কাজগুলোতে বিমূর্ত রীতি, বাস্তবতা এবং প্রতীকী উপাদানের দুর্দান্ত সমন্বয় দেখা যায়। তিনি ব্রোঞ্জ, তামা, পাথর এবং স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার করে ভাস্কর্যে আধুনিকতার নতুন মাত্রা এনেছিলেন।
হামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক নিবেদিত শিক্ষকও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করেছেন বহু বছর। তাঁর হাত ধরে অনেক নতুন ভাস্কর ও শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি শিল্পশিক্ষাকে শুধু কারিগরি দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং চিন্তা, অনুভব ও ইতিহাসের গভীর পাঠের মধ্য দিয়ে একে পূর্ণতা দিয়েছেন।
তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে একুশে পদক (২০১৭), বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও সম্মাননা, এবং শিল্পকলা একাডেমির আজীবন সম্মাননা।
হামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী নন; তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস ও জাতিসত্তার এক জীবন্ত ভাষ্যকার। তাঁর সৃষ্ট ভাস্কর্যগুলো আমাদের ইতিহাসকে ছুঁয়ে যায়, আমাদের স্মৃতি ও আত্মপরিচয়কে দৃঢ় করে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে শিল্প শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং একটি জাতির বিবেক।
আজ তিনি চলে গেলেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, তবে তাঁর শিল্পচর্চা ও আদর্শ যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
হামিদুজ্জামান খান (জন্ম: ১৬ মার্চ ১৯৪৬, মৃত্যু: ২০ জুলাই ২০২৫) বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর কাজ শুধু রূপ-রসের শিল্প নয়; বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী প্রতীক। ভাস্কর হিসেবে তাঁর সৃজনশীলতা, দেশপ্রেম ও নান্দনিক অনুভূতি বাংলাদেশের শিল্প-ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
হামিদুজ্জামান খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৬ সালে, বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিল্পের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে (বর্তমান চারুকলা অনুষদ) চিত্রকলা বিভাগে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার আধুনিক শিল্পচর্চা ও ভাস্কর্যের সঙ্গে পরিচিত হন।
হামিদুজ্জামান খানের সৃষ্ট ভাস্কর্যগুলো বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, রাজনৈতিক আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রকাশ। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে: “স্বাধীনতা” (সাভার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা), “বিজয়ের প্রতীক” (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), রানী ভিক্টোরিয়ার পরিবর্তে ঢাকার ভাস্কর্য স্থাপন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনারগাঁও হোটেলসহ বিভিন্ন পাবলিক স্থানে ব্রোঞ্জ, স্টিল ও পাথরের ভাস্কর্য।
তাঁর কাজগুলোতে বিমূর্ত রীতি, বাস্তবতা এবং প্রতীকী উপাদানের দুর্দান্ত সমন্বয় দেখা যায়। তিনি ব্রোঞ্জ, তামা, পাথর এবং স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার করে ভাস্কর্যে আধুনিকতার নতুন মাত্রা এনেছিলেন।
হামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক নিবেদিত শিক্ষকও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করেছেন বহু বছর। তাঁর হাত ধরে অনেক নতুন ভাস্কর ও শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি শিল্পশিক্ষাকে শুধু কারিগরি দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং চিন্তা, অনুভব ও ইতিহাসের গভীর পাঠের মধ্য দিয়ে একে পূর্ণতা দিয়েছেন।
তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে একুশে পদক (২০১৭), বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও সম্মাননা, এবং শিল্পকলা একাডেমির আজীবন সম্মাননা।
হামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী নন; তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস ও জাতিসত্তার এক জীবন্ত ভাষ্যকার। তাঁর সৃষ্ট ভাস্কর্যগুলো আমাদের ইতিহাসকে ছুঁয়ে যায়, আমাদের স্মৃতি ও আত্মপরিচয়কে দৃঢ় করে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে শিল্প শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং একটি জাতির বিবেক।
আজ তিনি চলে গেলেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি, তবে তাঁর শিল্পচর্চা ও আদর্শ যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আজকের বিজ্ঞানীরা চাইছেন বিলুপ্ত কিছু প্রাণীকে আবার ফিরিয়ে আনতে। এভাবে আগের মতো তাদের তৈরি করে তোলা যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে বলে “ডি-এক্সটিংশন”। মানে, যেসব প্রাণী অনেক বছর আগে হারিয়ে গেছে, তাদের আবার বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা। অনেকেই চায় ডায়ার উলফ বা ম্যামথ ফিরে আসুক। কেউ কেউ জায়ান
২ দিন আগেএই যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিলেন গাইয়াস অক্টাভিয়াস—পরবর্তীতে যিনি ‘অগাস্টাস’ নামে পরিচিত হন—তার বাহিনী এবং মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা ও রোমের অন্যতম শক্তিশালী সেনানায়ক মার্ক অ্যান্টনির যৌথ বাহিনী। যুদ্ধটি মূলত সামুদ্রিক যুদ্ধ হলেও এর প্রভাব রাজনীতি, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও সাম্রাজ্যের ক্ষমতার বণ্টন পর্যন্ত ব
২ দিন আগেতালমিছরি সাধারণত খাঁটি তাল বা খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়, যেটি পরিশোধন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুকিয়ে ছোট দানার মতো স্ফটিক রূপে তৈরি হয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিভ থাকে না, যা একে সাধারণ চিনি থেকে আলাদা করে দেয়।
২ দিন আগেগত বছরের ১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ আখ্যা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সেদিন ঢাবির প্রথম মিছিল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাস ও হল থেকে তাড়িয়ে দেয়
২ দিন আগে