ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
তালমিছরি একসময় আমাদের ঘরের পরিচিত নাম ছিল। বিশেষ করে গলা ব্যথা, কাশি কিংবা পেটের অস্বস্তিতে মায়েরা যে জিনিসটা হাতে তুলে দিতেন, সেটা হলো ছোট ছোট সাদা দানার মতো দেখতে মিষ্টি—তালমিছরি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ওষুধ এবং কৃত্রিম মিষ্টির দাপটে এই প্রাকৃতিক মিষ্টি অনেকটাই হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজও আয়ুর্বেদ এবং গ্রামবাংলার ঘরোয়া চিকিৎসায় তালমিছরির ব্যবহার আছে। কেউ কেউ তা খেজুরের গুঁড়ের সঙ্গে খান, কেউ আবার দুধে মিশিয়ে, আবার অনেকে পানীয়তে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই তালমিছরি আদৌ উপকারী কিনা? আর এর কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কি না?
তালমিছরি সাধারণত খাঁটি তাল বা খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়, যেটি পরিশোধন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুকিয়ে ছোট দানার মতো স্ফটিক রূপে তৈরি হয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিভ থাকে না, যা একে সাধারণ চিনি থেকে আলাদা করে দেয়। তবে বাজারে এখন অনেক সময় কৃত্রিমভাবে বানানো সাদা মিছরিও তালমিছরি নামে বিক্রি হয়, যেগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় এবং সেগুলো আসল তালমিছরি নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক গবেষণায় বলা হয়, “প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসা মিষ্টি যেমন তালমিছরি, তা রিফাইনড সুগার বা পরিশোধিত চিনির তুলনায় শরীরের জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে যেকোনো চিনির মতোই তা বিপজ্জনক হতে পারে।”
তালমিছরির সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর ঠাণ্ডা প্রকৃতি। আয়ুর্বেদে এটি “শীতলকারক” হিসেবে পরিচিত। এটি গলার সমস্যা, টনসিল, কাশি কিংবা গরমের কারণে ঘন ঘন তৃষ্ণার উপশমে কার্যকর। অনেক গ্রামে গলা ব্যথা হলে তালমিছরি গুঁড়ো করে তুলসীপাতা ও লেবুর রসের সঙ্গে খাওয়ানোর প্রচলন রয়েছে, যা সত্যিই উপকারী।
ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ড. কে. কে. আচার্য তাঁর “আয়ুর্বেদিক মেডিসিন” বইয়ে লিখেছেন,
“তালমিছরি কেবলমাত্র মিষ্টি নয়, এটি এক ধরণের হালকা ওষুধও। এর ঠাণ্ডা স্বভাব শরীরকে প্রশান্ত করে, কাশি কমায় এবং গলার ঝালাভাব দূর করে।”
তালমিছরি অনেক সময় হজমে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য তালমিছরি খাওয়া কিছুটা আরামদায়ক হতে পারে। এটি হালকা ডাইজেস্টিভ হিসেবে কাজ করে এবং কিছুটা অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে পরিমাণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আয়ুর্বেদ মতে, তালমিছরি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ সামঞ্জস্য করে। গ্রীষ্মকালে এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে। কেউ কেউ সারা দিনে ঠান্ডা শরবতের সঙ্গে তালমিছরি খেয়ে থাকেন, যা পানির চাহিদা মেটায় এবং ঘামের পরিমাণ কমায়। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. লিসা মার্টিন বলেন,
“যদিও তালমিছরি চিনির এক রূপ, তবুও এতে খনিজের উপস্থিতি এবং প্রাকৃতিক উৎস একে কিছুটা পুষ্টিকর করে তোলে। তবে এই উপকারিতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এর পরিমাণের ওপর।”
তবে এখানেই আসে তালমিছরির আসল চ্যালেঞ্জ—তার অপকারিতা। হ্যাঁ, তালমিছরি প্রাকৃতিক হলেও এটি মূলত গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সমাহার, অর্থাৎ শর্করা। বেশি পরিমাণে খেলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তালমিছরি মোটেই নিরাপদ নয়। অনেকেই ভুল করে ভাবেন তালমিছরি চিনি নয়, তাই ডায়াবেটিসে খাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি ভুল ধারণা।
আমেরিকার Mayo Clinic-এর এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. জেমস ব্ল্যাক বলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তালমিছরি ঠিক ততটাই ক্ষতিকর যতটা সাধারণ চিনি। কারণ শরীর এর শর্করা খুব দ্রুত রক্তে শোষণ করে এবং তা ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।”
তালমিছরি অতিরিক্ত খেলে ওজনও বাড়তে পারে। যেহেতু এটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত একটি উপাদান, নিয়মিত অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে চর্বি জমা হতে শুরু করে। বিশেষ করে যারা ব্যায়াম করেন না কিংবা সঠিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত নন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
আরেকটি দিক হলো—বাজারে পাওয়া অনেক তালমিছরি খাঁটি নয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সঙ্গে রাসায়নিক চিনি, সোডিয়াম সালফাইট বা কৃত্রিম সাদা রং মেশান, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি, লিভার এমনকি হরমোনের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তালমিছরি কেনার সময় খাঁটি উৎস থেকে নেওয়াই শ্রেয়।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (UCLA)-এর ফুড সেফটি গবেষক ড. হ্যারল্ড উইনস্টন বলেন,
“যে কোনো প্রাকৃতিক পণ্য তখনই উপকারী হয়, যখন তা খাঁটি হয় এবং পরিমাণ মতো খাওয়া হয়। দূষিত বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত তালমিছরি শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।”
সুতরাং, তালমিছরি একদিকে যেমন ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ করে, তেমনি অসচেতন বা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তা হতে পারে বিপজ্জনক। যাদের গলা ব্যথা, কাশি, গরম লাগা বা সামান্য দুর্বলতা রয়েছে, তাদের জন্য সীমিত তালমিছরি খাওয়া উপকারে আসতে পারে। কিন্তু ডায়াবেটিস, স্থূলতা, লিভার বা কিডনি সমস্যা থাকলে এটি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।
সবশেষে বলা যায়, তালমিছরি হলো প্রকৃতির উপহার, কিন্তু একে বুঝে-শুনে, পরিমিতভাবে খেতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি যেমনই হোক—চিনি, মধু বা তালমিছরি—সবই শরীরের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। তাই আয়ুর্বেদ বা আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানের সুপারিশ মেনে চললে, তালমিছরি হতে পারে মিষ্টি ও নিরাপদ এক প্রাকৃতিক সহচর। তবে মনে রাখতে হবে—সতর্কতাই স্বাস্থ্য রক্ষার প্রথম ধাপ।
তালমিছরি একসময় আমাদের ঘরের পরিচিত নাম ছিল। বিশেষ করে গলা ব্যথা, কাশি কিংবা পেটের অস্বস্তিতে মায়েরা যে জিনিসটা হাতে তুলে দিতেন, সেটা হলো ছোট ছোট সাদা দানার মতো দেখতে মিষ্টি—তালমিছরি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক ওষুধ এবং কৃত্রিম মিষ্টির দাপটে এই প্রাকৃতিক মিষ্টি অনেকটাই হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজও আয়ুর্বেদ এবং গ্রামবাংলার ঘরোয়া চিকিৎসায় তালমিছরির ব্যবহার আছে। কেউ কেউ তা খেজুরের গুঁড়ের সঙ্গে খান, কেউ আবার দুধে মিশিয়ে, আবার অনেকে পানীয়তে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই তালমিছরি আদৌ উপকারী কিনা? আর এর কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কি না?
তালমিছরি সাধারণত খাঁটি তাল বা খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়, যেটি পরিশোধন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুকিয়ে ছোট দানার মতো স্ফটিক রূপে তৈরি হয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিভ থাকে না, যা একে সাধারণ চিনি থেকে আলাদা করে দেয়। তবে বাজারে এখন অনেক সময় কৃত্রিমভাবে বানানো সাদা মিছরিও তালমিছরি নামে বিক্রি হয়, যেগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় এবং সেগুলো আসল তালমিছরি নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক গবেষণায় বলা হয়, “প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসা মিষ্টি যেমন তালমিছরি, তা রিফাইনড সুগার বা পরিশোধিত চিনির তুলনায় শরীরের জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে যেকোনো চিনির মতোই তা বিপজ্জনক হতে পারে।”
তালমিছরির সবচেয়ে বড় গুণ হলো এর ঠাণ্ডা প্রকৃতি। আয়ুর্বেদে এটি “শীতলকারক” হিসেবে পরিচিত। এটি গলার সমস্যা, টনসিল, কাশি কিংবা গরমের কারণে ঘন ঘন তৃষ্ণার উপশমে কার্যকর। অনেক গ্রামে গলা ব্যথা হলে তালমিছরি গুঁড়ো করে তুলসীপাতা ও লেবুর রসের সঙ্গে খাওয়ানোর প্রচলন রয়েছে, যা সত্যিই উপকারী।
ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ড. কে. কে. আচার্য তাঁর “আয়ুর্বেদিক মেডিসিন” বইয়ে লিখেছেন,
“তালমিছরি কেবলমাত্র মিষ্টি নয়, এটি এক ধরণের হালকা ওষুধও। এর ঠাণ্ডা স্বভাব শরীরকে প্রশান্ত করে, কাশি কমায় এবং গলার ঝালাভাব দূর করে।”
তালমিছরি অনেক সময় হজমে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য তালমিছরি খাওয়া কিছুটা আরামদায়ক হতে পারে। এটি হালকা ডাইজেস্টিভ হিসেবে কাজ করে এবং কিছুটা অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে পরিমাণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আয়ুর্বেদ মতে, তালমিছরি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ সামঞ্জস্য করে। গ্রীষ্মকালে এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে। কেউ কেউ সারা দিনে ঠান্ডা শরবতের সঙ্গে তালমিছরি খেয়ে থাকেন, যা পানির চাহিদা মেটায় এবং ঘামের পরিমাণ কমায়। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. লিসা মার্টিন বলেন,
“যদিও তালমিছরি চিনির এক রূপ, তবুও এতে খনিজের উপস্থিতি এবং প্রাকৃতিক উৎস একে কিছুটা পুষ্টিকর করে তোলে। তবে এই উপকারিতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এর পরিমাণের ওপর।”
তবে এখানেই আসে তালমিছরির আসল চ্যালেঞ্জ—তার অপকারিতা। হ্যাঁ, তালমিছরি প্রাকৃতিক হলেও এটি মূলত গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সমাহার, অর্থাৎ শর্করা। বেশি পরিমাণে খেলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তালমিছরি মোটেই নিরাপদ নয়। অনেকেই ভুল করে ভাবেন তালমিছরি চিনি নয়, তাই ডায়াবেটিসে খাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি ভুল ধারণা।
আমেরিকার Mayo Clinic-এর এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. জেমস ব্ল্যাক বলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তালমিছরি ঠিক ততটাই ক্ষতিকর যতটা সাধারণ চিনি। কারণ শরীর এর শর্করা খুব দ্রুত রক্তে শোষণ করে এবং তা ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।”
তালমিছরি অতিরিক্ত খেলে ওজনও বাড়তে পারে। যেহেতু এটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত একটি উপাদান, নিয়মিত অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে চর্বি জমা হতে শুরু করে। বিশেষ করে যারা ব্যায়াম করেন না কিংবা সঠিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত নন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
আরেকটি দিক হলো—বাজারে পাওয়া অনেক তালমিছরি খাঁটি নয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সঙ্গে রাসায়নিক চিনি, সোডিয়াম সালফাইট বা কৃত্রিম সাদা রং মেশান, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি, লিভার এমনকি হরমোনের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তালমিছরি কেনার সময় খাঁটি উৎস থেকে নেওয়াই শ্রেয়।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (UCLA)-এর ফুড সেফটি গবেষক ড. হ্যারল্ড উইনস্টন বলেন,
“যে কোনো প্রাকৃতিক পণ্য তখনই উপকারী হয়, যখন তা খাঁটি হয় এবং পরিমাণ মতো খাওয়া হয়। দূষিত বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত তালমিছরি শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।”
সুতরাং, তালমিছরি একদিকে যেমন ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ করে, তেমনি অসচেতন বা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তা হতে পারে বিপজ্জনক। যাদের গলা ব্যথা, কাশি, গরম লাগা বা সামান্য দুর্বলতা রয়েছে, তাদের জন্য সীমিত তালমিছরি খাওয়া উপকারে আসতে পারে। কিন্তু ডায়াবেটিস, স্থূলতা, লিভার বা কিডনি সমস্যা থাকলে এটি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।
সবশেষে বলা যায়, তালমিছরি হলো প্রকৃতির উপহার, কিন্তু একে বুঝে-শুনে, পরিমিতভাবে খেতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি যেমনই হোক—চিনি, মধু বা তালমিছরি—সবই শরীরের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। তাই আয়ুর্বেদ বা আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানের সুপারিশ মেনে চললে, তালমিছরি হতে পারে মিষ্টি ও নিরাপদ এক প্রাকৃতিক সহচর। তবে মনে রাখতে হবে—সতর্কতাই স্বাস্থ্য রক্ষার প্রথম ধাপ।
এই পাথর ছোট হলে হয়তো আপনি টেরও পাবেন না। কিন্তু যখন পাথরটা বড় হতে থাকে কিংবা কিডনির ভেতর থেকে ইউরেটারে (প্রস্রাবের পথ) নেমে যায়, তখন অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক সময় এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় যে রোগী ব্যথায় ছটফট করতে থাকে, মেঝেতে গড়াগড়ি দেয়, ঠিক মতো দাঁড়াতে বা বসতে পারে না।
১৪ ঘণ্টা আগেগত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের নারীরা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন৷ তারা রাজপথে লড়াই করেছেন৷ মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেনও অনেকে৷ কিন্তু সেই নারীরা যে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে৷
১৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে আমকে কেন্দ্র করে কূটনীতি ও পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিযোগিতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। দিল্লি ও ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের সেরা জাতের আম বিশ্বনেতাদের উপহার দিয়ে আসছে।
১ দিন আগেগ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক কিংবা টেলিটক—স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
২ দিন আগে