অরুণ কুমার
কিছুদিন পর পর এদেশে একদল বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়। তাঁরা দাবি করেন, এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখায়। এ ধরনের যন্ত্রগুলো খুব সামান্য শক্তি দিয়ে একবার চালু করে দিলে পরে আর শক্তি জোগান দেওয়ার দরকার হয় না। নিজেই শক্তি উৎপাদন করে নিজেকে চালু রাখবে। এ ধরনের যন্ত্রকে অবিরাম গতিযন্ত্র বলে।কিছুদিন পর পর এদেশে একদল বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়। তাঁরা দাবি করেন, এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখায়। এ ধরনের যন্ত্রগুলো খুব সামান্য শক্তি দিয়ে একবার চালু করে দিলে পরে আর শক্তি জোগান দেওয়ার দরকার হয় না। নিজেই শক্তি উৎপাদন করে নিজেকে চালু রাখবে। এ ধরনের যন্ত্রকে অবিরাম গতিযন্ত্র বলে।
এই স্বঘোষিত বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই মহা আবিষ্কারের কথা কোনো পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের মহান আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। সাংবাদিকরা সেগুলোর কথা ফলাও করে প্রচার করেন। এই আবিষ্কারের কথা শুনে একদল বাঙালি আবেগে উদ্বেলিত হন, ফেসবুকে এসে ঘোষণা করেন বাঙালি কখনোই তার প্র্যাপ্য মর্যাদা পায় না, আমাদের আবিষ্কারের মূল্য কেউ দেয় না। এসব ফেসবুকবাসী দাবি করেন, সরকারের এখনি উচিৎ এই বিজ্ঞানীর মহান আবিষ্কারটাকে উৎসাহিত করা। তাঁর যন্ত্রটি যাতে বাজারজাত করা যায়, সে ব্যবস্থা করা। মোটকথা স্বঘোষিত বিজ্ঞানীটিকে আর্থিকভাবে সুবিধা দেওয়ার দাবিই তখন বড় হয়ে ওঠে। পেছনের বিজ্ঞানের কথা কেউ তলিয়ে ভাবেন না।
এভাবে আসলে বিজ্ঞানচর্চা হয় না। পদার্থবিদ্যায় বিপ্লবের নজির যেমন অহরহ, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যা ভীষণ রক্ষণশীল। তাই কিছু কিছু ব্যাপারে একদম নড়চড় হয় না। এগুলো ঠিক সূত্র নয়, এগুলোকে নীতি বলা হয়। এর আগে জুড়ে দেওয়া হয় সংরক্ষণশীলতা শব্দটি। এর উদ্ভব শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি থেকে। এই নীতি বলে, মহাবিশ্বের মোট শক্তিকে এতটুকু কমানো বা বাড়ানো সম্ভব নয়। তেমনি এই নীতি বলে, এমন কোনো যন্ত্র তৈরি সম্ভব নয়, যে যন্ত্র যতটুকু শক্তি গ্রহণ করবে, ঠিক ততটুকুই শক্তি উৎপন্ন করবে। যন্ত্রটি চালাতে যে পরিমাণ শক্তির দরকার হবে, ঠিক সেই পরিমাণ শক্তি কোনো যন্ত্র উৎপাদন করতে পারে না। কিছু শক্তি অপচয় হবেই। প্রদান করা শক্তির চেয়ে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ বেশি হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
যদি এমন যন্ত্র পাওয়া যায়, সেটা শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি মানে না, তাহলে সেই যন্ত্রটা নিয়ে সময় নষ্ট না করাই ভালো। কারণ শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি যদি বদলে যায়, তাহলে বদলে ফেলতে এ পর্যন্ত পদার্থবিদ্যা, রসায়ন কিংবা জীববিজ্ঞানের সকল শাখা। তারচেয়ে বরং নতুন এই যন্ত্রটাকেই চোখবুজে বাতিল করে দেওয়া ভালো। দুদিন পর নিশ্চিত দেখা যাবে, স্বঘোষিত বিজ্ঞানী আসলে ভুয়া জিনিস দেখিয়ে মানুষখে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
কিছুদিন পর পর এদেশে একদল বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়। তাঁরা দাবি করেন, এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখায়। এ ধরনের যন্ত্রগুলো খুব সামান্য শক্তি দিয়ে একবার চালু করে দিলে পরে আর শক্তি জোগান দেওয়ার দরকার হয় না। নিজেই শক্তি উৎপাদন করে নিজেকে চালু রাখবে। এ ধরনের যন্ত্রকে অবিরাম গতিযন্ত্র বলে।কিছুদিন পর পর এদেশে একদল বিজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়। তাঁরা দাবি করেন, এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখায়। এ ধরনের যন্ত্রগুলো খুব সামান্য শক্তি দিয়ে একবার চালু করে দিলে পরে আর শক্তি জোগান দেওয়ার দরকার হয় না। নিজেই শক্তি উৎপাদন করে নিজেকে চালু রাখবে। এ ধরনের যন্ত্রকে অবিরাম গতিযন্ত্র বলে।
এই স্বঘোষিত বিজ্ঞানীরা তাঁদের এই মহা আবিষ্কারের কথা কোনো পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের মহান আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। সাংবাদিকরা সেগুলোর কথা ফলাও করে প্রচার করেন। এই আবিষ্কারের কথা শুনে একদল বাঙালি আবেগে উদ্বেলিত হন, ফেসবুকে এসে ঘোষণা করেন বাঙালি কখনোই তার প্র্যাপ্য মর্যাদা পায় না, আমাদের আবিষ্কারের মূল্য কেউ দেয় না। এসব ফেসবুকবাসী দাবি করেন, সরকারের এখনি উচিৎ এই বিজ্ঞানীর মহান আবিষ্কারটাকে উৎসাহিত করা। তাঁর যন্ত্রটি যাতে বাজারজাত করা যায়, সে ব্যবস্থা করা। মোটকথা স্বঘোষিত বিজ্ঞানীটিকে আর্থিকভাবে সুবিধা দেওয়ার দাবিই তখন বড় হয়ে ওঠে। পেছনের বিজ্ঞানের কথা কেউ তলিয়ে ভাবেন না।
এভাবে আসলে বিজ্ঞানচর্চা হয় না। পদার্থবিদ্যায় বিপ্লবের নজির যেমন অহরহ, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যা ভীষণ রক্ষণশীল। তাই কিছু কিছু ব্যাপারে একদম নড়চড় হয় না। এগুলো ঠিক সূত্র নয়, এগুলোকে নীতি বলা হয়। এর আগে জুড়ে দেওয়া হয় সংরক্ষণশীলতা শব্দটি। এর উদ্ভব শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি থেকে। এই নীতি বলে, মহাবিশ্বের মোট শক্তিকে এতটুকু কমানো বা বাড়ানো সম্ভব নয়। তেমনি এই নীতি বলে, এমন কোনো যন্ত্র তৈরি সম্ভব নয়, যে যন্ত্র যতটুকু শক্তি গ্রহণ করবে, ঠিক ততটুকুই শক্তি উৎপন্ন করবে। যন্ত্রটি চালাতে যে পরিমাণ শক্তির দরকার হবে, ঠিক সেই পরিমাণ শক্তি কোনো যন্ত্র উৎপাদন করতে পারে না। কিছু শক্তি অপচয় হবেই। প্রদান করা শক্তির চেয়ে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ বেশি হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
যদি এমন যন্ত্র পাওয়া যায়, সেটা শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি মানে না, তাহলে সেই যন্ত্রটা নিয়ে সময় নষ্ট না করাই ভালো। কারণ শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতি যদি বদলে যায়, তাহলে বদলে ফেলতে এ পর্যন্ত পদার্থবিদ্যা, রসায়ন কিংবা জীববিজ্ঞানের সকল শাখা। তারচেয়ে বরং নতুন এই যন্ত্রটাকেই চোখবুজে বাতিল করে দেওয়া ভালো। দুদিন পর নিশ্চিত দেখা যাবে, স্বঘোষিত বিজ্ঞানী আসলে ভুয়া জিনিস দেখিয়ে মানুষখে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখা। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী নরম ও মানানসই একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় বা ব্রণের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত ফেসওয়াশ ভালো কাজ করবে।
৯ ঘণ্টা আগেমুগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলেই দুর্গটির নির্মাণ শুরু হয়। তখন বাংলার সুবাদার ছিলেন মীর জুমলা, যিনি শুধু যুদ্ধকৌশলেই পারদর্শী ছিলেন না, বরং নদীপথে প্রতিরক্ষা গড়ার জন্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রশাসক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলার নদীপথ ছিল বাণিজ্য ও যুদ্ধের মূল কেন্দ্র। বিশেষ করে
২ দিন আগেদারুচিনি শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন অনেক রোগের মূল কারণ হতে পারে, যেমন আর্থ্রাইটিস বা হৃদরোগ। দারুচিনির ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মার্কিন গবেষক ড. জর্জ স্যাভান্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “দারুচিনির মধ্যে থাকা পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টিঅক্
২ দিন আগে