
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হওয়া বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে এখন থেকে হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
ড. আজহারুল বলেন, “নাম পরিবর্তন হলেও আয়োজনের মূল ভাবনা, চেতনা ও প্রতিবাদী রূপ অক্ষুণ্ন থাকবে।”
তবে এ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে প্রবল প্রতিক্রিয়া। প্রশ্ন উঠছে— এটি কি শুধুই একটি নাম বদল, না কি এর পেছনে আছে সংস্কৃতি ও রাজনীতির গভীর টানাপোড়েন?
মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিকথা
মঙ্গল শোভাযাত্রা কয়েক যুগ ধরে বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিল। পেয়েছিল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। সেই ঐতিহ্যেই এবার ছেদ পড়তে যাচ্ছে, এর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে।
ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে ছায়ানট রমনার বটমূলে শুরু করে বর্ষবরণের আয়োজন। এরপর প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়—সেখানে লেখা ছিল “এসো হে বৈশাখ”।
১৯৮৫ সালে যশোরের চারুপীঠ একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করে, যা ঢাকার চারুকলাকে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় চারুকলার শিক্ষার্থীদের ত্রাণ তৎপরতা থেকে তৈরি হয় পারস্পরিক বন্ধন। ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়, যার ভিতরে ছিল প্রতিবাদী মঙ্গল চেতনা।
ওয়াহিদুল হক, ইমদাদ হোসেন, রফিকুন নবীর মত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এই উদ্যোগে ভূমিকা রাখেন। যদিও প্রথমদিকে ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে সংশয় থাকলেও পরে সেটিই প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্লোগান ও সময়কে ধারণ করা
মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু উৎসব নয়—সময়ের প্রতিবিম্ব। প্রতিবছরের প্রতিপাদ্য স্লোগান হয়ে ওঠে সমাজ ও রাজনীতির এক প্রতীকী ভাষ্য।
নতুন নাম, পুরোনো বার্তা?
২০২৫ সালের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য—“নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”—একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। অথচ এর নাম বদলে এমন নিরপেক্ষ টোনে যাওয়ায় বিভ্রান্ত বোধ করছেন অনেকেই।
সাংস্কৃতিক কর্মী রুবিনা আক্তার বলেন, “শুধু আনন্দ নয়, শোভাযাত্রা ছিল মানবিকতা ও প্রতিবাদের প্রতীক। নামের এই পরিবর্তন তার স্পষ্ট বার্তাকেই ধোঁয়াটে করে দিচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও বলছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এই পরিবর্তন, তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—বহু বছরের ঐতিহ্য ও প্রতিরোধের চেতনাকে কি এভাবে বদলে দেওয়া যায়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হওয়া বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে এখন থেকে হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
ড. আজহারুল বলেন, “নাম পরিবর্তন হলেও আয়োজনের মূল ভাবনা, চেতনা ও প্রতিবাদী রূপ অক্ষুণ্ন থাকবে।”
তবে এ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে প্রবল প্রতিক্রিয়া। প্রশ্ন উঠছে— এটি কি শুধুই একটি নাম বদল, না কি এর পেছনে আছে সংস্কৃতি ও রাজনীতির গভীর টানাপোড়েন?
মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিকথা
মঙ্গল শোভাযাত্রা কয়েক যুগ ধরে বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিল। পেয়েছিল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। সেই ঐতিহ্যেই এবার ছেদ পড়তে যাচ্ছে, এর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে।
ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে ছায়ানট রমনার বটমূলে শুরু করে বর্ষবরণের আয়োজন। এরপর প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়—সেখানে লেখা ছিল “এসো হে বৈশাখ”।
১৯৮৫ সালে যশোরের চারুপীঠ একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করে, যা ঢাকার চারুকলাকে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় চারুকলার শিক্ষার্থীদের ত্রাণ তৎপরতা থেকে তৈরি হয় পারস্পরিক বন্ধন। ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়, যার ভিতরে ছিল প্রতিবাদী মঙ্গল চেতনা।
ওয়াহিদুল হক, ইমদাদ হোসেন, রফিকুন নবীর মত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এই উদ্যোগে ভূমিকা রাখেন। যদিও প্রথমদিকে ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে সংশয় থাকলেও পরে সেটিই প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্লোগান ও সময়কে ধারণ করা
মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু উৎসব নয়—সময়ের প্রতিবিম্ব। প্রতিবছরের প্রতিপাদ্য স্লোগান হয়ে ওঠে সমাজ ও রাজনীতির এক প্রতীকী ভাষ্য।
নতুন নাম, পুরোনো বার্তা?
২০২৫ সালের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য—“নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”—একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। অথচ এর নাম বদলে এমন নিরপেক্ষ টোনে যাওয়ায় বিভ্রান্ত বোধ করছেন অনেকেই।
সাংস্কৃতিক কর্মী রুবিনা আক্তার বলেন, “শুধু আনন্দ নয়, শোভাযাত্রা ছিল মানবিকতা ও প্রতিবাদের প্রতীক। নামের এই পরিবর্তন তার স্পষ্ট বার্তাকেই ধোঁয়াটে করে দিচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও বলছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এই পরিবর্তন, তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—বহু বছরের ঐতিহ্য ও প্রতিরোধের চেতনাকে কি এভাবে বদলে দেওয়া যায়?

১৩ ডিসেম্বর ঢাকার আকাশ, বাতাস এবং মাটি সব কিছুই যেন পাকিস্তানি জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। জেনারেল নিয়াজি তার ক্যান্টনমেন্টের সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে বসে ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন যে, পালানোর আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
৫ দিন আগে
পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও প্রবাসী সরকার ছিল অটল। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১২ ডিসেম্বর এক বেতার ভাষণে বলেন, ‘সপ্তম নৌ বহর আমাদের স্বাধীনতা আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা ১০০ বছর যুদ্ধ করব, তবু বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না।’
৬ দিন আগে
কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা প্যারাট্রুপারদের পথ দেখিয়ে পুংলি ব্রিজের দিকে নিয়ে যায় এবং ব্রিজটি দখল করে নেয়। এর ফলে ময়মনসিংহ ও জামালপুর থেকে পিছু হটা পাকিস্তানি ৯৩ ব্রিগেডের সৈন্যরা ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে আটকা পড়ে।
৭ দিন আগে
ঢাকার চারপাশের বৃত্ত বা ‘লুপ’ ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে যায়। উত্তরে ময়মনসিংহ মুক্ত হওয়ার পর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে ছুটছে, পূর্বে মেঘনা পাড় হয়ে নরসিংদীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিশাল বহর, আর পশ্চিমে পদ্মার পাড়ে চলছে তুমুল প্রস্তুতি।
৮ দিন আগে