বিবিসি বাংলা
হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির আগে তেলআবিবের এক সমাবেশে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
সেই সমাবেশে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, "জিম্মিরা ঘরে ফিরে আসছে"। তিনি গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের ফেরানোর বিষয়টিকে সম্ভব করে তোলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।
ওদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার পর গত দুই দিনে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরে এসেছে।
এদিকে যুদ্ধ অবসানের সমঝোতা চূড়ান্ত করতে একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিশর।
ট্রাম্পসহ প্রায় কুড়িজন নেতা শারম আল-শায়েখে সোমবার ওই বৈঠকে অংশ নিবেন বলে মিশরের প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বৈঠকের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে মিশরে যাওয়ার আগে ইসরায়েলে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও শনিবারের সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতার আওতায় হামাসকে সোমবার স্থানীয় সময় বারটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিলো ৪৮ জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হয়।
হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ওসামা হামদান এএফপিকে বলেছেন, সমঝোতা অনুযায়ী সোমবার সকালে বন্দি বিনিময় শুরু হবে।
আভিভ হাভরনের পরিবারের সদস্যদের ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরে হামাসের হামলার সময় হত্যা করা হয়েছিলো। তার পরিবারের ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিলো তখন।
তেলআবিবে বিবিসিকে তিনি বলেছেন, "এটা কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে তারা ফিরে আসছে। এটা ছাড়া আমরা আমাদের জীবন আবার শুরু করতে পারি না"।
"আমার বোনেরা ও দুই ভগ্নীপতি খুন হয়েছিলো। পরিবারের ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে-আমার সবচেয়ে বড় বোন অপহৃত, তার কন্যা, তার নাতি। কমিউনিটির চারজনের মৃতদেহ এখনো গাজায়"।
শুলামিট ও ডেভিড গিনাট বলছেন, সব জিম্মিদের অবশ্যই রক্ষা করা দরকার।
"তারা আমাদের ভাই ও বোন। আমরা ক্ষত কাটিয়ে ওঠতে চাই। আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে ক্ষত উপশম করতে চাই"।
তেলআবিবের সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেকে বলেছেন, 'ধন্যবাদ, ট্রাম্প'। আবার উইটকফ যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করেন, তখন অনেকে দুয়ো ধ্বনি দেন।
ওদিকে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা যেসব এলাকা ছেড়ে গেছে, সেখানকার নিয়ন্ত্রণের জন্য হামাস তাদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছে।
অবশ্য কে গাজা শাসন করবে- এই অনিশ্চয়তা ও অভ্যন্তরীণ সহিংসতার আশংকার মধ্যে এটাই প্রত্যাশিত ছিলো। হামাস ও গাজার কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘরবাড়ি হারানো ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরের দিকে আসা অব্যাহত রেখেছে। অনেকেই এসে তাদের ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখছেন।
"এখানে আর কোনো ঘর নেই। সব শেষ," গাজা থেকে বলছিলেন আইনজীবী মোসা আলদৌস। রাজা সালমি নামে একজন এএফপিকে বলেছেন তার সব স্মৃতি ধূলায় মিশে গেছে।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতা অনুযায়ী গাজায় আরও ত্রাণ বাহী লরি যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যায় ত্রাণ বাহী লরি এখনো গাজায় প্রবেশ করেনি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের লক্ষ্য শহর জুড়ে ১৪৫টি জায়গায় নিয়মিত খাদ্য বিতরণ আবার শুরু করা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার ৫০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে।
ইসরায়েল এসব প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, কোথাও ক্ষুধা দেখা গেলে তার দায় সাহায্য সংস্থা ও হামাসের।
হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির আগে তেলআবিবের এক সমাবেশে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
সেই সমাবেশে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, "জিম্মিরা ঘরে ফিরে আসছে"। তিনি গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের ফেরানোর বিষয়টিকে সম্ভব করে তোলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।
ওদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার পর গত দুই দিনে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরে এসেছে।
এদিকে যুদ্ধ অবসানের সমঝোতা চূড়ান্ত করতে একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিশর।
ট্রাম্পসহ প্রায় কুড়িজন নেতা শারম আল-শায়েখে সোমবার ওই বৈঠকে অংশ নিবেন বলে মিশরের প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বৈঠকের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে মিশরে যাওয়ার আগে ইসরায়েলে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারও শনিবারের সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতার আওতায় হামাসকে সোমবার স্থানীয় সময় বারটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিলো ৪৮ জিম্মির সবাইকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হয়।
হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ওসামা হামদান এএফপিকে বলেছেন, সমঝোতা অনুযায়ী সোমবার সকালে বন্দি বিনিময় শুরু হবে।
আভিভ হাভরনের পরিবারের সদস্যদের ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরে হামাসের হামলার সময় হত্যা করা হয়েছিলো। তার পরিবারের ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিলো তখন।
তেলআবিবে বিবিসিকে তিনি বলেছেন, "এটা কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে তারা ফিরে আসছে। এটা ছাড়া আমরা আমাদের জীবন আবার শুরু করতে পারি না"।
"আমার বোনেরা ও দুই ভগ্নীপতি খুন হয়েছিলো। পরিবারের ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে-আমার সবচেয়ে বড় বোন অপহৃত, তার কন্যা, তার নাতি। কমিউনিটির চারজনের মৃতদেহ এখনো গাজায়"।
শুলামিট ও ডেভিড গিনাট বলছেন, সব জিম্মিদের অবশ্যই রক্ষা করা দরকার।
"তারা আমাদের ভাই ও বোন। আমরা ক্ষত কাটিয়ে ওঠতে চাই। আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে ক্ষত উপশম করতে চাই"।
তেলআবিবের সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেকে বলেছেন, 'ধন্যবাদ, ট্রাম্প'। আবার উইটকফ যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করেন, তখন অনেকে দুয়ো ধ্বনি দেন।
ওদিকে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা যেসব এলাকা ছেড়ে গেছে, সেখানকার নিয়ন্ত্রণের জন্য হামাস তাদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছে।
অবশ্য কে গাজা শাসন করবে- এই অনিশ্চয়তা ও অভ্যন্তরীণ সহিংসতার আশংকার মধ্যে এটাই প্রত্যাশিত ছিলো। হামাস ও গাজার কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘরবাড়ি হারানো ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরের দিকে আসা অব্যাহত রেখেছে। অনেকেই এসে তাদের ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখছেন।
"এখানে আর কোনো ঘর নেই। সব শেষ," গাজা থেকে বলছিলেন আইনজীবী মোসা আলদৌস। রাজা সালমি নামে একজন এএফপিকে বলেছেন তার সব স্মৃতি ধূলায় মিশে গেছে।
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সমঝোতা অনুযায়ী গাজায় আরও ত্রাণ বাহী লরি যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যায় ত্রাণ বাহী লরি এখনো গাজায় প্রবেশ করেনি।
সংস্থাটি বলছে, তাদের লক্ষ্য শহর জুড়ে ১৪৫টি জায়গায় নিয়মিত খাদ্য বিতরণ আবার শুরু করা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার ৫০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে।
ইসরায়েল এসব প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, কোথাও ক্ষুধা দেখা গেলে তার দায় সাহায্য সংস্থা ও হামাসের।
মুতাকি বলেন, এত আন্তরিক অভ্যর্থনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী, ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। আমরা নতুন কূটনীতিক পাঠাব এবং আশা করি আপনাদের কেউ কেউও কাবুল সফরে যাবেন। দিল্লিতে যেভাবে আমাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, তাতে আমি ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সম্ভাবনা দেখছি।
১৫ ঘণ্টা আগেভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের আপসহীন নেত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ বলেছে, শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প নোবেল না জিতলেও তিনি শান্তির জন্য কাজ করে যাবেন।
১ দিন আগে