পাকিস্তানিদের শেষ ভরসা সপ্তম নৌ বহরও পরিণত মরীচিকায়

নাজমুল ইসলাম হৃদয়

১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর। ঢাকার চারপাশের বৃত্ত বা ‘লুপ’ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ ঢাকা থেকে বের হওয়ার বা ঢাকায় ঢোকার সব রাস্তা তখন যৌথ বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। এই দিনেই মুক্ত হয় নরসিংদী, যার মধ্য দিয়ে ঢাকার পূর্বাঞ্চলীয় দরজা ভেঙে ফেলা হয় এবং টাঙ্গাইল হয়ে উত্তর দিক থেকে আসা বাহিনী জয়দেবপুরের দিকে ধাবিত হয়।

রণাঙ্গনের এই বারুদের গন্ধের চেয়েও ১২ ডিসেম্বর বেশি আলোচিত ছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। মার্কিন সপ্তম নৌ বহর বা ‘সেভন্থ ফ্লিট’ বঙ্গোপসাগরের দিকে পূর্ণ গতিতে এগিয়ে আসছে— এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্নায়ুযুদ্ধের পারদ তখন তুঙ্গে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, পারমাণবিক শক্তিচালিত এই রণতরীর হুমকিও লুঙ্গি পরা, খালি পায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের মনে বিন্দুমাত্র ভয় ধরাতে পারেনি। বরং তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল, বিদেশিরা আসার আগেই তারা ঢাকার মাটিতে বিজয়ের পতাকা ওড়াবে।

১২ ডিসেম্বর ছিল সেই দিন, যেদিন পাকিস্তানি জেনারেলরা আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজছিল চীনা বিমান, আর মাটির দিকে তাকিয়ে দেখছিল কেবলই মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ধত বেয়োনেট।

এ দিন শুরু হয় নরসিংদী ও রায়পুরা মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে, যা ছিল ঢাকার পতনের পথে এক বিশাল মাইলফলক। মেঘনা হেলি-ব্রিজ অপারেশনের সফলতার পর মিত্রবাহিনীর ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন ও ৩১১ মাউন্টেন ব্রিগেড মেঘনা পাড়ি দিয়ে নরসিংদীর মাটিতে শক্ত অবস্থান নেয়।

মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহর ‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের বিবরণ অনুযায়ী, নরসিংদী ছিল ঢাকার পূর্ব দিকের সর্বশেষ বড় বাধা। পাকিস্তানিরা ভেবেছিল, মেঘনা পার হওয়ার পর মিত্রবাহিনী বিশ্রাম নেবে বা রি-গ্রুপিং করবে। কিন্তু জেনারেল সগত সিং ও সেক্টর কমান্ডাররা পাকিস্তানিদের সেই সুযোগ দেননি।

১২ ডিসেম্বর সকালে নরসিংদীর বাউশিয়া ও রায়পুরা এলাকা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। নরসিংদীর সাধারণ জনগণ, যারা পাকিস্তানি বাহিনীর পোড়ামাটি নীতির কারণে ঘরবাড়ি হারিয়েছিল, তারা এ দিন তাদের মুক্তিদাতাদের বরণ করে নেয় এক আবেগঘন পরিবেশে। স্থানীয় জনতা মিত্রবাহিনীর গোলন্দাজ ইউনিটের ভারী কামানগুলো ঠেলে কাদা মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

নরসিংদী পতনের ফলে ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেটের স্থলপথের যোগাযোগ চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর যৌথ বাহিনীর লক্ষ্য ছিল সোজা ডেমরার দিকে অগ্রসর হওয়া, যা ছিল ঢাকার প্রবেশদ্বার। নরসিংদীর পতনের খবর ঢাকায় পৌঁছানোর পর জেনারেল নিয়াজি বুঝতে পারেন, মেঘনা নদী নামক প্রাকৃতিক ঢালটি আর তাকে রক্ষা করতে পারছে না।

একই সময়ে ঢাকার উত্তর প্রান্তে, অর্থাৎ টাঙ্গাইল ও জয়দেবপুর রণাঙ্গনে ঘটছিল এক অভূতপূর্ব সামরিক মিলনমেলা। আগের দিন টাঙ্গাইলে নামা ভারতীয় প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে ১২ ডিসেম্বর সকালে কাদেরিয়া বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ সংযোগ ঘটে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার দিকে আসার রাস্তা বা ‘রোড টু ঢাকা’ পরিষ্কার করতে শুরু করে।

মেজর জেনারেল ডি কে পালিতের ‘দ্য লাইটনিং ক্যাম্পেইন’ বইতে উল্লেখ আছে, ১২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ৯৫ মাউন্টেন ব্রিগেড ও কাদেরিয়া বাহিনী যৌথভাবে মির্জাপুর ও কালিয়াকৈরের দিকে অগ্রসর হয়। পাকিস্তানি ৯৩ ব্রিগেডের সৈন্য, যারা ময়মনসিংহ ও জামালপুর থেকে পালিয়ে আসছিল, তারা এই যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়ে।

সারা দিন ধরে চলা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তাদের বহু গাড়ি, রসদ ও অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে। কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় ভৌগোলিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানি কনভয়গুলোকে একের পর এক অ্যামবুশ করে।

এ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ। গ্রামের সাধারণ মানুষ গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে দিয়েছিল, যেন পাকিস্তানিরা দ্রুত পালাতে না পারে। ১২ ডিসেম্বরের এই বিজয়ের ফলে ঢাকার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা ব্যূহ বা ‘নর্দান ডিফেন্স লাইন’ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে এবং জয়দেবপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি দখলের পথ সুগম হয়।

রণাঙ্গনের এ বিপর্যয়ের মধ্যেই ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে এক চরম নাটকীয়তা তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও হেনরি কিসিঞ্জারের নির্দেশে পাঠানো সপ্তম নৌ বহর ‘টাস্ক ফোর্স-৭৪’ এ দিন মালাক্কা প্রণালী অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রবেশ করতে শুরু করে।

মঈদুল হাসানের ‘মূলধারা ’৭১’ ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দলিলপত্র অনুযায়ী, এই নৌ বহরে ছিল পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ’, উভচর আক্রমণকারী জাহাজ ‘ত্রিপোলি’ ও একাধিক ডেস্ট্রয়ার। এ খবর ঢাকা পৌঁছালে পাকিস্তানি জেনারেলদের মধ্যে সাময়িক উল্লাস দেখা দেয়।

জেনারেল নিয়াজি ও রাও ফরমান আলীরা একে অন্যকে বলতে থাকেন, ‘আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আমেরিকানরা এসে আমাদের উদ্ধার করবে।’ কিন্তু তাদের এই উল্লাস ছিল মরীচিকার মতো। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়নও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। সোভিয়েত নৌ বহর ভারত মহাসাগরে মার্কিন বহরের পিছু নেয় এবং জানিয়ে দেয়, আমেরিকা যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে সোভিয়েত ইউনিয়নও বসে থাকবে না।

পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও প্রবাসী সরকার ছিল অটল। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১২ ডিসেম্বর এক বেতার ভাষণে বলেন, ‘সপ্তম নৌ বহর আমাদের স্বাধীনতা আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা ১০০ বছর যুদ্ধ করব, তবু বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না।’

এ ভাষণ রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ধমনিতে নতুন রক্তস্রোত জাগিয়ে তোলে। তারা বুঝতে পারেন, এখন আর পেছনে তাকানোর সময় নেই। হয় ঢাকা বিজয়, নয় মৃত্যু।

অবরুদ্ধ ঢাকা নগরীতে ১২ ডিসেম্বর ছিল এক অদ্ভুত গুমোট ভাব ও আতঙ্কের দিন। শহিদ জননী জাহানারা ইমাম তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’তে এ দিনের এক হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আজ ১২ ডিসেম্বর। রোববার। আজ সকাল থেকেই শুনছি সপ্তম নৌ বহর আসছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, আমেরিকা কি সত্যি সত্যি আমাদের মারতে আসবে? পাড়ার মোড়ে মোড়ে জটলা, সবার কানে রেডিও। বিবিসি বলছে ঢাকার পতন আসন্ন, আর রেডিও পাকিস্তান বলছে তারা নাকি জিতে যাচ্ছে। বিকেলে হঠাৎ করে ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে আছি। রুমি নেই, কিন্তু ওর স্বপ্নটা কি সত্যি হবে? নাকি সব শেষ হয়ে যাবে?’

জাহানারা ইমামের এ লেখায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে অবরুদ্ধ ঢাকাবাসীর মনের দোলাচল। শহরের বিহারী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এদিন আবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ভেবেছিল আমেরিকানরা এসে তাদের বাঁচাবে। কিন্তু সাধারণ বাঙালিরা তখন গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল তাদের মুক্তিদাতাদের বরণ করার জন্য। ঢাকার রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর টহল জিপগুলোর গতিবিধি ছিল অত্যন্ত দ্রুত ও অস্থির। তারা কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। এমনকি নিজেদের ছায়ার দিকেও তারা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল।

১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হাইকমান্ডের অন্দরমহলে, বিশেষ করে ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারে চলছিল এক ট্র্যাজিক কমেডি। ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লিখেছেন, এ দিন জেনারেল নিয়াজি বারবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। তিনি জানতে চাইছিলেন, ‘চীনা বন্ধুরা কখন আসবে? উত্তরের আকাশ দিয়ে কি তারা নামছে?’

রাওয়ালপিন্ডি থেকে তাকে বলা হচ্ছিল, ‘অপেক্ষা করো, তারা আসছে।’ কিন্তু বাস্তবে চীন তখন শীতে জমে যাওয়া হিমালয় পেরিয়ে কোনো সৈন্য পাঠানোর বিন্দুমাত্র প্রস্তুতি নিচ্ছিল না। এটি ছিল কেবল পাকিস্তানকে যুদ্ধে টিকিয়ে রাখার একটি মিথ্যা কৌশল।

১২ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি পিনপয়েন্ট অ্যাটাকে গভর্নর হাউজ ও পিজি হাসপাতালের আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। এই হামলায় পাকিস্তানি হাইকমান্ডের মনোবল আরও ভেঙে যায়। জেনারেল রাও ফরমান আলী বুঝতে পারেন, খেলা শেষ। তিনি এ দিন থেকেই আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীকে নির্দেশ দেন ‘বুদ্ধিজীবী নিধন’ পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য।

রাও ফরমান আলী বুঝে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই। তাই তিনি চেয়েছিলেন এ নতুন রাষ্ট্রটিকে মেধাশূন্য করে দিয়ে যেতে। ১২ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়, যা ১৪ ডিসেম্বরের নির্মমতার ভিত্তি রচনা করে।

দেশের অন্যান্য রণাঙ্গনেও ১২ ডিসেম্বর ছিল বিজয়ের দিন। কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা মুক্ত হওয়ার পর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা গোয়ালন্দ ঘাটের দিকে অগ্রসর হয়। গোয়ালন্দ ঘাট ছিল পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকায় আসার অন্যতম পথ। পাকিস্তানিরা এখানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ১২ ডিসেম্বর বিমান হামলার মুখে তারা টিকতে পারেনি।

উত্তরের বগুড়া শহরে এ দিন তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। হিলি থেকে পালিয়ে আসা পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার তাজাম্মুল হোসেন মালিক বগুড়া শহরে নিজেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। যৌথ বাহিনী বগুড়া শহর চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম রণাঙ্গনেও যৌথ বাহিনী সীতাকুণ্ড অতিক্রম করে শহরের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর তখন পুরোপুরি অচল। পাকিস্তানিরা বুঝতে পারছিল, পালানোর জন্য সমুদ্র বা আকাশ কোনোটাই আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।

বারোই ডিসেম্বরের রাতটিও ছিল সম্ভবত যুদ্ধের অন্যতম দীর্ঘ রাত। ঢাকার উপকণ্ঠে তখন হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সৈন্য অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত সংকেতের জন্য। ডেমরা, টঙ্গী ও সাভার— তিন দিক থেকেই ঢাকার ওপর চাপ বাড়ছিল। পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের বাংকারে বসে মদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে হয়তো সপ্তম নৌ বহরের স্বপ্ন দেখছিলেন, কিন্তু তাদের অজান্তেই তাদের ‘ফোর্ট্রেস ঢাকা’ পরিণত হয়েছিল এক ইঁদুরের ফাঁদে।

তথ্যসূত্র

  • একাত্তরের দিনগুলি – জাহানারা ইমাম
  • মূলধারা ’৭১ – মঈদুল হাসান
  • উইটনেস টু সারেন্ডার (Witness to Surrender) – ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক
  • দ্য লাইটনিং ক্যাম্পেইন (The Lightning Campaign) – মেজর জেনারেল ডি কে পালিত
  • মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ – মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম
  • সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা (Surrender at Dacca) – লেফট্যানেন্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব
  • এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য – মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী বীর বিক্রম
  • লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে – মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড) – তথ্য মন্ত্রণালয়
  • চরমপত্র – এম আর আখতার মুকুল
  • একাত্তরের রণাঙ্গন – শামসুল হুদা চৌধুরী
  • বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ – এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ
  • মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অবমুক্ত দলিল (Declassified Documents)
ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

মেঘনা পাড়ে মৃত্যুফাঁদ— রাও ফরমান আলীর পালানোর আকুতি

তবে এ দিনের সবচেয়ে বড় ‘নাটক’ মঞ্চস্থ হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে নয়, বরং ঢাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে এবং নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। খোদ পাকিস্তানি জেনারেল রাও ফরমান আলী রাওয়ালপিন্ডির অনুমতি ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, ‘খেলা শেষ’।

৫ দিন আগে

‘বাঘ’ এখন বিড়াল: ৭ ডিসেম্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জেনারেল নিয়াজি!

ঢাকায় তখন এক ভিন্ন দৃশ্য। যে জেনারেল নিয়াজি দম্ভভরে বলতেন ‘বাংলার মানুষ আমাকে বাঘের মতো ভয় পায়’, সেই নিয়াজি এ দিনেই গভর্নর হাউজে বসে প্রথমবারের মতো কান্নায় ভেঙে পড়েন। ৭ ডিসেম্বর কেবল ভূখণ্ড জয়ের দিন ছিল না, এটি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অহংকারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার দিন।

৬ দিন আগে

‘মানচিত্রে নতুন দেশ’— চূর্ণ দখলদার বাহিনীর মেরুদণ্ড

এদিন বিশ্ব মানচিত্রে প্রথমবারের মতো একটি নতুন রাষ্ট্রের নাম খোদাই করা হলো, ‘বাংলাদেশ’। একদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের ফানুস ফুটো হয়ে গেল, অন্যদিকে রণাঙ্গনে ভেঙে পড়ল তাদের অহংকারের প্রতীক ‘যশোর ক্যান্টনমেন্ট’।

৭ দিন আগে

খালেদা জিয়ার জন্য আসছে জার্মান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কী আছে তাতে

খালেদা জিয়ার জন্য কাতার আমিরের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পাঠানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব হয়নি। এর বদলে কাতারই জার্মানির একটি প্রাইভেট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে।

৭ দিন আগে