
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

নতুন বছরের প্রথম দিনটি দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা এম মোহাইমিন ও তার স্ত্রী সাদিয়া শাহনাজের জন্য ছিল চরম উৎকণ্ঠার। তাদের পরিবারের প্রিয় সদস্য, দেড় বছরের পোষা কুকুর মাইলো হারিয়ে যায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে।
আতশবাজির বিকট শব্দে ভীত মাইলো বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়, তখন গেট খোলা ছিল। সে রাতে শুরু হয় তাদের প্রাণপণ চেষ্টা মাইলোকে ফিরে পাওয়ার।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন মোহাইমিন। সেখানে লেখেন, “আমার মাইলোকে খুঁজে দিন, বিনিময়ে জীবন দেব।”
মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়। হাজারো মানুষ পোস্টটি শেয়ার করেন, অনেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মাইলোর খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
মাইলোকে খুঁজে পাওয়ার আকুলতা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, কেন মাইলো তাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে দেড় বছর আগে।
এক বর্ষার রাতে, তাদের পোষা পাখির কবর দিতে গিয়ে তারা দেখতে পান ছোট্ট এক কুকুরছানা মাটির ওপর ভেজা অবস্থায় কাঁদছে। বয়স তখন ১৫-২০ দিনের বেশি হবে না। চোখ পুরোপুরি ফুটেনি, হাঁটতে পারে না। মা এসে মাঝে মাঝে তাকে দুধ খাইয়ে যায়। সেই অসহায় ছানাটিকে গ্যারেজে এনে রাখেন তারা। পরে মায়ার বন্ধনে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন।
এভাবেই রাস্তার মাইলো হয়ে ওঠে তাদের পরিবারের অংশ।
“মাইলো আমাদের প্রথম সন্তান। সেই দিন থেকে ও আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে,” বলেন সাদিয়া।
নতুন বছরের রাতটি ছিল আতশবাজি আর উচ্চ শব্দের দাপটে ভরা।
৩১ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে ছিলেন না মোহাইমিন ও সাদিয়া। গেট খোলা ছিল, তখনই আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে মাইলো বেরিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে মাইলোকে না পেয়ে তারা তৎক্ষণাৎ খোঁজ শুরু করেন।
প্রথমে ভবনের চারপাশ, পরে পুরো বনশ্রী এলাকা চষে ফেলেন তারা। ভোর ৩টার সময় ফেসবুকে পোস্ট করেন মাইলোর ছবি ও তার খোঁজ চেয়ে আকুল আবেদন
“আমাদের মাইলোকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন। বিনিময়ে যা চাইবেন দেব।”
পরদিন সকালেই বনশ্রী এলাকায় পোস্টার ছাপিয়ে টাঙানো হয়। মাইকিং করা হয়। মাইলোর সন্ধান দিতে পারলে ৮ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন মোহাইমিন। ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হতে থাকে। হাজারো মানুষ শেয়ার করেন, কেউ কেউ খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তিন দিন ধরে দিন-রাত মাইলোর খোঁজ চলে। বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা সকলে একত্রে মাইলোর জন্য চেষ্টা চালান। নতুন বছরের উৎসব, বন্ধুদের আমন্ত্রণ, এমনকি পরিবারের অন্য অনুষ্ঠানও তাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
“আমার মনে হতো, প্রতিদিন যত যাচ্ছে, মাইলো তত দূরে চলে যাচ্ছে। আমি আর কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছিলাম না,” বলেন মোহাইমিন।
সাদিয়া জানান, তাদের পরিবার এতটাই বিধ্বস্ত ছিল যে, নতুন বছরের প্রথম ক’দিন তারা বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করেননি।
৪ জানুয়ারির রাতে, খোঁজাখুঁজি শেষে ক্লান্ত হয়ে তারা বনশ্রীর একটি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই, সাদিয়া গাড়ির ভেতর থেকে মাইলোকে দেখতে পান।
নাম ধরে ডাক দিলে মাইলো কিছুক্ষণ থমকে থাকে। এরপর দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাদিয়ার বুকে। সেই আবেগঘন মুহূর্তটি মোহাইমিনের ভাগ্নি ভিডিও করেন, যা পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভিডিও দেখে হাজারো মানুষ স্বস্তি পেয়েছে, অনেকে চোখের জল আটকে রাখতে পারেনি।
মাইলোর ফিরে আসায় শান্তি পেলেও, এই ঘটনার মাধ্যমে মোহাইমিন ও সাদিয়া আরও একটি কঠিন সত্য উপলব্ধি করেছেন।
আতশবাজি, ফানুশ এবং উচ্চ শব্দ কেবল মানুষ নয়, প্রাণীদের জন্যও বিপজ্জনক। মাইলোকে খুঁজতে গিয়ে তারা দেখতে পান, কত কুকুর-বিড়াল রাস্তায় ভীত ও আহত অবস্থায় ঘুরছে। একটি কুকুরের ঘাড়ে আতশবাজি পড়ায় তার চামড়া পুড়ে গিয়ে মাংস বেরিয়ে গেছে।
মাইলোর ফিরে আসা যেমন তাদের জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে, তেমনি নতুন এক লক্ষ্যও তৈরি করেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নতুন বছরে প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন।
“আমরা দেখতে পেয়েছি কত প্রাণী এই আতশবাজির কারণে কষ্ট পায়। আগামীতে এমন কিছু যেন আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাই,” বলেন সাদিয়া।
মাইলোর জন্য পুরো এলাকার মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। “আমরা হয়তো নিজেরাই মাইলোকে খুঁজে পেয়েছি, কিন্তু এই যাত্রায় যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ,” বলেন মোহাইমিন।
মাইলোর গল্প শুধু একটি পোষা প্রাণীর ফিরে আসার গল্প নয়; এটি মায়া, ভালোবাসা, এবং দায়িত্ববোধের একটি উদাহরণ। মোহাইমিনের সেই কথাটি সত্যি: “আমার কাছে আর কিছু নেই দেওয়ার মতো, তাই জীবন দিয়েই দেব বলেছিলাম।”

নতুন বছরের প্রথম দিনটি দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা এম মোহাইমিন ও তার স্ত্রী সাদিয়া শাহনাজের জন্য ছিল চরম উৎকণ্ঠার। তাদের পরিবারের প্রিয় সদস্য, দেড় বছরের পোষা কুকুর মাইলো হারিয়ে যায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে।
আতশবাজির বিকট শব্দে ভীত মাইলো বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়, তখন গেট খোলা ছিল। সে রাতে শুরু হয় তাদের প্রাণপণ চেষ্টা মাইলোকে ফিরে পাওয়ার।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন মোহাইমিন। সেখানে লেখেন, “আমার মাইলোকে খুঁজে দিন, বিনিময়ে জীবন দেব।”
মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়। হাজারো মানুষ পোস্টটি শেয়ার করেন, অনেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মাইলোর খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
মাইলোকে খুঁজে পাওয়ার আকুলতা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, কেন মাইলো তাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে দেড় বছর আগে।
এক বর্ষার রাতে, তাদের পোষা পাখির কবর দিতে গিয়ে তারা দেখতে পান ছোট্ট এক কুকুরছানা মাটির ওপর ভেজা অবস্থায় কাঁদছে। বয়স তখন ১৫-২০ দিনের বেশি হবে না। চোখ পুরোপুরি ফুটেনি, হাঁটতে পারে না। মা এসে মাঝে মাঝে তাকে দুধ খাইয়ে যায়। সেই অসহায় ছানাটিকে গ্যারেজে এনে রাখেন তারা। পরে মায়ার বন্ধনে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন।
এভাবেই রাস্তার মাইলো হয়ে ওঠে তাদের পরিবারের অংশ।
“মাইলো আমাদের প্রথম সন্তান। সেই দিন থেকে ও আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে,” বলেন সাদিয়া।
নতুন বছরের রাতটি ছিল আতশবাজি আর উচ্চ শব্দের দাপটে ভরা।
৩১ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে ছিলেন না মোহাইমিন ও সাদিয়া। গেট খোলা ছিল, তখনই আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে মাইলো বেরিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে মাইলোকে না পেয়ে তারা তৎক্ষণাৎ খোঁজ শুরু করেন।
প্রথমে ভবনের চারপাশ, পরে পুরো বনশ্রী এলাকা চষে ফেলেন তারা। ভোর ৩টার সময় ফেসবুকে পোস্ট করেন মাইলোর ছবি ও তার খোঁজ চেয়ে আকুল আবেদন
“আমাদের মাইলোকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন। বিনিময়ে যা চাইবেন দেব।”
পরদিন সকালেই বনশ্রী এলাকায় পোস্টার ছাপিয়ে টাঙানো হয়। মাইকিং করা হয়। মাইলোর সন্ধান দিতে পারলে ৮ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন মোহাইমিন। ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হতে থাকে। হাজারো মানুষ শেয়ার করেন, কেউ কেউ খোঁজ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তিন দিন ধরে দিন-রাত মাইলোর খোঁজ চলে। বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা সকলে একত্রে মাইলোর জন্য চেষ্টা চালান। নতুন বছরের উৎসব, বন্ধুদের আমন্ত্রণ, এমনকি পরিবারের অন্য অনুষ্ঠানও তাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
“আমার মনে হতো, প্রতিদিন যত যাচ্ছে, মাইলো তত দূরে চলে যাচ্ছে। আমি আর কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছিলাম না,” বলেন মোহাইমিন।
সাদিয়া জানান, তাদের পরিবার এতটাই বিধ্বস্ত ছিল যে, নতুন বছরের প্রথম ক’দিন তারা বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করেননি।
৪ জানুয়ারির রাতে, খোঁজাখুঁজি শেষে ক্লান্ত হয়ে তারা বনশ্রীর একটি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই, সাদিয়া গাড়ির ভেতর থেকে মাইলোকে দেখতে পান।
নাম ধরে ডাক দিলে মাইলো কিছুক্ষণ থমকে থাকে। এরপর দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাদিয়ার বুকে। সেই আবেগঘন মুহূর্তটি মোহাইমিনের ভাগ্নি ভিডিও করেন, যা পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভিডিও দেখে হাজারো মানুষ স্বস্তি পেয়েছে, অনেকে চোখের জল আটকে রাখতে পারেনি।
মাইলোর ফিরে আসায় শান্তি পেলেও, এই ঘটনার মাধ্যমে মোহাইমিন ও সাদিয়া আরও একটি কঠিন সত্য উপলব্ধি করেছেন।
আতশবাজি, ফানুশ এবং উচ্চ শব্দ কেবল মানুষ নয়, প্রাণীদের জন্যও বিপজ্জনক। মাইলোকে খুঁজতে গিয়ে তারা দেখতে পান, কত কুকুর-বিড়াল রাস্তায় ভীত ও আহত অবস্থায় ঘুরছে। একটি কুকুরের ঘাড়ে আতশবাজি পড়ায় তার চামড়া পুড়ে গিয়ে মাংস বেরিয়ে গেছে।
মাইলোর ফিরে আসা যেমন তাদের জীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে, তেমনি নতুন এক লক্ষ্যও তৈরি করেছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নতুন বছরে প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন।
“আমরা দেখতে পেয়েছি কত প্রাণী এই আতশবাজির কারণে কষ্ট পায়। আগামীতে এমন কিছু যেন আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাই,” বলেন সাদিয়া।
মাইলোর জন্য পুরো এলাকার মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। “আমরা হয়তো নিজেরাই মাইলোকে খুঁজে পেয়েছি, কিন্তু এই যাত্রায় যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ,” বলেন মোহাইমিন।
মাইলোর গল্প শুধু একটি পোষা প্রাণীর ফিরে আসার গল্প নয়; এটি মায়া, ভালোবাসা, এবং দায়িত্ববোধের একটি উদাহরণ। মোহাইমিনের সেই কথাটি সত্যি: “আমার কাছে আর কিছু নেই দেওয়ার মতো, তাই জীবন দিয়েই দেব বলেছিলাম।”

গত ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে ভোর সাড়ে তিনটায় জন্ম হয় জিবরান আনামের। জেমসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যও তখন উপস্থিত ছিলেন।
১৫ দিন আগে
নভেম্বর মাসে শুধু দিনে ভ্রমণ, রাত যাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে সীমিত রাত যাপন।
১৫ দিন আগে
সত্তর বছর বয়সী দৃষ্টিহীন রোগী শিলা আরভিন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে আবার বই পড়তে এবং ক্রসওয়ার্ড মেলাতে পারছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এক অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেন।
১৬ দিন আগে